বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঋত্বিক কুমার ঘটক: যার প্রতি ফ্রেমেই বারুদ

  •    
  • ৪ নভেম্বর, ২০২১ ০৮:৩২

ঋত্বিক ঘটক চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন নিমাই ঘোষের ছিন্নমূল (১৯৫১) সিনেমার মধ্য দিয়ে। তিনি একই সঙ্গে অভিনয় এবং সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। এর দুই বছর পর তার একক পরিচালনায় মুক্তি পায় নাগরিক। সিনেমাটি ভারতীয় চলচ্চিত্রের গতানুগতিক ধারাকে জোর ঝাঁকুনি দিতে সমর্থ হয়েছিল।

মেঘে ঢাকা তারা (১৯৬০), কোমল গান্ধার (১৯৬১), সুবর্ণরেখা (১৯৬২) সিনেমাগুলো একজনকে ব্যাখ্যা করার জন্য যথেষ্ট। এসব সিনেমাতেই নিজেকে চিনিয়ে গেছেন একজন। তিনি ঋত্বিক কুমার ঘটক।

ওপরের তিনটি চলচ্চিত্রকে ত্রয়ী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। যেখানে কলকাতার তৎকালীন অবস্থা এবং উদ্বাস্তু জীবনের রুঢ় বাস্তবতা চিত্রিত হয়েছে।

ঋত্বিক কুমার ঘটক যিনি ঋত্বিক ঘটক হিসেবেই পরিচিত। বিংশ শতাব্দীর একজন খ্যাতিমান বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক। বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে তার নাম বহুল উচ্চারিত।

ঋত্বিক প্রথম নাটক কালো সায়র লেখেন ১৯৪৮ সালে। ধীরে ধীরে নাটক লেখার পাশাপাশি পরিচালনা শুরু করেন ও অভিনয় করেন।

ঋত্বিক ঘটক চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন নিমাই ঘোষের ছিন্নমূল (১৯৫১) সিনেমার মধ্য দিয়ে। তিনি একই সঙ্গে অভিনয় এবং সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেন।

এর দুই বছর পর তার একক পরিচালনায় মুক্তি পায় নাগরিক। সিনেমাটি ভারতীয় চলচ্চিত্রের গতানুগতিক ধারাকে জোর ঝাঁকুনি দিতে সমর্থ হয়েছিল।

ঋত্বিক ১৯৬৫ সালে ভারতীয় চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন ইনস্টিটিউটে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে যোগদান করেন ও পরবর্তীকালে ভাইস প্রিন্সিপাল হন।

সত্তরের দশকে দেশভাগের ব্যথা বুকে নিয়ে তিনি নির্মাণ করেন তিতাস একটি নদীর নাম।

খারাপ স্বাস্থ্য এবং অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে নিয়মিত কাজ চালিয়ে যাওয়া তার পক্ষে প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। অল্প কয়েক বছরে যেসব সিনেমা তিনি দিয়ে গেছেন তা একেকটা বারুদ হয়ে আছে ভারতবর্ষের সিনেমা ইতিহাসে।

১৯২৫ সালের ৪ নভেম্বর রাজশাহীতে জন্ম ঋত্বিক ঘটক মারা যান ১৯৭৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি। আজ এ খ্যাপাটে কিন্তু মেধাবী পরিচালকের ৯৬তম জন্মদিন।

এ বিভাগের আরো খবর