চলচ্চিত্র পরিচালক রাশিদ পলাশের নামে লিখিত অভিযোগ করেছেন চলচ্চিত্র কর্মী ও শিক্ষক সৈয়দ নাজমুস সাকিব।
৮ অক্টোবর মুক্তি পায় রাশিদ পলাশ পরিচালিত সিনেমা পদ্মাপুরাণ। সিনেমার রিভিউ লেখা-না লেখা নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা।
১৯ অক্টোবর বিকেলে রাশিদ পলাশ তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সৈয়দ নাজমুস সাকিবের নাম উল্লেখ করে লেখেন, ‘তার মানে শুধু টাকা দিতে পারিনি বলে সিনেমার রিভিউ করলেন না সিনেমা প্রেমিক সৈয়দ নাজমুস সাকিব। আপনাদের বাংলা সিনেমার প্রতি এই দরদটা মনে থাকবে ভাই। কি মনে হয়, আপনারা না লিখলে সিনেমা চলবে না? কিংবা টাকা না দিলে পোলাপান দিয়ে নেগেটিভ রিভিউ করাবেন?’
এ সব ছাড়াও আরও কিছু কথা লেখেন পলাশ। তবে মূল আলোচনা টাকার বিনিময়ে রিভিউ লেখার অভিযোগ নিয়ে।
রাশিদ পলাশের এই স্ট্যাটাসেই মন্তব্যের ঘরে বিষয়টি নিয়ে উত্তর দেন সৈয়দ নাজমুস সাকিব। পলাশের ওই স্ট্যাটাসের তিন ঘণ্টা পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সাকিব এর বিস্তারিত লিখে জানান।
সাকিব তার দীর্ঘ স্ট্যাটাসে রিভিউ ও পদ্মাপুরাণ সিনেমাটি প্রসঙ্গে লেখেন, ‘সম্প্রতি রিলিজ পাওয়া পদ্মাপুরাণ সিনেমার পরিচালক রাশিদ পলাশ আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন, তিনি টাকা দেননি বলে নাকি আমি তার সিনেমার রিভিউ লিখি নাই। আমি যে তার কাছে লেখার বিনিময়ে টাকা চেয়েছি, সেটার সপক্ষে কোনো ধরনের প্রমাণ তিনি হাজির করেন নি। কোনো লিখিত ধরনের বা যেকোনো ধরনের প্রমাণ- কিচ্ছু না। জাস্ট দুম করে একটা স্ট্যাটাস দিয়েই খালাস।’
সিনেমাটি দেখার পর তার কাছে ভালো লাগেনি বলে দাবি করেন সাকিব।
কোনো রকম প্রমাণ ছাড়াই সাকিবের নামে- ‘টাকা দিতে পারিনি বলে সিনেমার রিভিউ করলেন না’- অভিযোগ আনায় চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিতে পরিচালক রাশিদ পলাশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন সাকিব।
শনিবার দুপুরে সমিতিতে লিখিত অভিযোগটি জমা দেন সাকিব। বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
সাকিব বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনার চারদিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও পরিচালক রাশিদ পলাশ তার অভিযোগের স্বপক্ষে কোনো ধরনের তথ্য-প্রমাণ দিতে পারেননি। তাই আমার দাবি, তার বিষয়টি নিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে।’
লিখিত অভিযোগে ক্ষমা চাওয়ার কোনো সময় নির্ধারণ করে না দিলেও যতো দ্রুত সম্ভব এটা করতে হবে বলে জানান সাকিব। স্ট্যাটাস দেয়ার পর দুজনের কোনো যোগাযোগও হয়নি, জানান সাকিব।
এ বিষয়কে কথা বলতে রাশিদ পলাশের দুটি ফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ করার বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও লিখেছেন সৈয়দ নাজমুস সাকিব।