বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সেন্সর বোর্ড সদস্যদের আবু সাইয়ীদের ধিক

  •    
  • ১৭ অক্টোবর, ২০২১ ০৯:২৬

পরিচালক আবু সাইয়ীদ ফেসবুকে লেখেন, ‘১৯৯১ সালে আমার দ্বিতীয় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‌ধূসর যাত্রা আট মাস সেন্সরে আটকে ছিল। দুজন সদস্যের নাম মনে আছে। দুজনই সাংবাদিক, রুহুল আমিন গাজী ও শওকত মাহমুদ। আপিলে ছবিটি সেন্সর সার্টিফিকেট পায়। আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন প্রবীণ সাংবাদিক এবং চলচ্চিত্র পরিচালক ওবায়েদ-উল হক।

দেশের প্রেক্ষাগৃহে শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে সিনেমা চন্দ্রবতী কথা। সিনেমাটি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সরকারি অনুদান পায়। অনুদানের ৫ বছরের বেশি সময় পর সিনেমাটি মুক্তি পেল। সিনেমাটি পরিচালনা করেন এন রাশেদ চৌধুরী।

পাঁচ বছরের মধ্যে দেড় বছর সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডেই আটকে ছিল বলে দাবি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও কিত্তনখোলা খ্যাত পরিচালক আবু সাইয়ীদের।

চন্দ্রাবতী কথা সিনেমাটি এত দিন আটকে রাখার জন্য সেন্সর বোর্ড সদস্যদের ধিক্কার জানান তিনি।

শনিবার রাতে ফেসবুক স্ট্যাটাসে আবু সাইয়ীদ লেখেন, ‘গল্প বলার ক্ষেত্রে এন রাশেদ চৌধুরীর চন্দ্রাবতী কথা আর দশটি সিনেমার মতো নয়, যেভাবে সাধারণত আমাদের দেশে গল্প বলা হয়ে থাকে। এই সিনেমাটি সেন্সর বোর্ড নাকি দেড় বছর আটকে রেখেছিল, এর গল্প বলার ধরনের কারণে।

‘সিনেমাটি দেখার পর মনে হলো, এই বোর্ডের সদস্যদের নাম লিপিবদ্ধ করে রাখা উচিত। আমরা সাধারণত এসব অপকর্মকারীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে পারি না। আইনে বোধ হয় এদের শাস্তিরও বিধান নেই, কিন্তু এভাবে তাদের ছেড়ে দেয়ার কোনো মানে হয় না। বিভিন্ন প্রকাশনায় তাদের নাম আসা উচিত। তাতে কিছুটা আক্কেল হতে পারে।’

নিজের পরিচালিত সিনেমার ক্ষেত্রেও এমন ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি আবু সাইয়ীদের। সেসব ঘটনার উল্লেখ করে তিনি লেখেন, ‘১৯৯১ সালে আমার দ্বিতীয় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ধূসর যাত্রা আট মাস সেন্সরে আটকে ছিল। দুজন সদস্যের নাম মনে আছে। দুজনই সাংবাদিক, রুহুল আমিন গাজী ও শওকত মাহমুদ। আপিলে ছবিটি সেন্সর সার্টিফিকেট পায়। আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন প্রবীণ সাংবাদিক এবং চলচ্চিত্র পরিচালক ওবায়েদ-উল হক।

‘২০০৫ সালে নিরন্তর সিনেমাটিও কয়েক মাস সেন্সরে আটকে ছিল। সেন্সর বোর্ডের শুধু একজন সদস্যের নাম মনে আছে। তিনি হলেন চলচ্চিত্র পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। কোন প্রক্রিয়ায় শেষ পর্যন্ত নিরন্তর সেন্সর সার্টিফিকেট লাভ করে তা আমার জানা নেই, সেটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জানে।’

ধিক্কার জানিয়ে তিনি লেখেন, ‘সেন্সর বোর্ডের যেসব সদস্য চন্দ্রাবতী কথা আটকে রেখেছিল, তাদের প্রতি ধিক্কার।’

চন্দ্রবতী কথার পরিচালক ও টিমকে অভিনন্দন জানান আবু সাইয়ীদ। প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে সবাইকে সিনেমাটি দেখার আহ্বান জানান তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর