সংগীতশিল্পীর সৃষ্টিকর্মকে সংরক্ষণ ও স্বল্প সুরক্ষায় বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের এক ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেশের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী প্রয়াত আইয়ুব বাচ্চুর সংগীতজীবনের মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ ও ডিজিটাল আর্কাইভিং কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়। ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর এ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রতিমন্ত্রী কে এম খালেদ এমপি।
কর্মসূচি বাস্তবায়নের পর স্থানীয় একটি পেশাদার এমসিএন কোম্পানি জেডএম স্টুডিওর সহযোগিতায় আইয়ুব বাচ্চুর কপিরাইট নিবন্ধিত ২৭২ গানের বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া যেমন: ইউটিউব, আই-টিউন, ফেসবুক, অ্যামাজন ইত্যাদি ডিজিটাল মাধ্যমে চ্যানেল ওপেন করে মনিটাইজিং Digital Sinking এর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
গত এক বছরে ওই সোশ্যাল মিডিয়া ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের আইয়ুব বাচ্চুর রেজিস্টার্ড অ্যাকাউন্ট ‘এবি কিচেন’-এর রয়্যালটি হিসেবে ৫০১৪.০৮ মার্কিন ডলার জমা হয়েছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস।
আরও জানানো হয়, আইয়ুব বাচচুর গানসমূহকে দুটি মোবাইল কোম্পানি ও একটি স্থানীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারের জন্য ‘গ্যাক মিডিয়া’ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে।
রয়্যালটি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ও অতিথিরা। ছবি: সংগৃহীত
চুক্তি অনুসারে গ্যাক মিডিয়া এককালীন ৫ লাখ টাকার অগ্রিম চেক আইয়ুব বাচ্চুর পরিবারকে হস্তান্তর করে। উল্লেখ্য, এই টাকা ওই দুটি মোবাইল কোম্পানি ও ওটিটি প্ল্যাটফর্ম থেকে অর্জিত রয়্যালটি থেকে সমন্বয় করা হবে।
ওই কোম্পানি এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্ম থেকে অর্জিত রয়্যালটির মাসিক প্রতিবেদন আইয়ুব বাচ্চুর পরিবারকে নিয়মিতভাবে দেয়া হবে, যা বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস থেকে মনিটরিং করা হবে।
বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস মূলত দুটি উদ্দেশে এ পরিকল্পনার উদ্যোগ গ্রহণ করে। প্রথমত, একজন সৃজনশীল কিংবদন্তি শিল্পীর সারা জীবনের গল্প ও সৃষ্টিকে একটি ফ্রেমে এনে সুরক্ষিত করা এবং এর মাধ্যমে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের পক্ষ থেকে একজন অকাল প্রয়াত খ্যাতিমান ও জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীর প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন।
দ্বিতীয়ত, বিভিন্ন মাধ্যম বিশেষভাবে ডিজিটাল মাধ্যমে সংগীতের কপিরাইট লঙ্ঘনের বিষয়ে সর্বস্তরে সচেতনতা ও প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং সংগীতসংশ্লিষ্ট সকলকে নিজ নিজ কর্ম সুরক্ষায় উদ্বুদ্ধ করা।