রাজধানীর আধুনিক প্রেক্ষাগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় স্টার সিনেপ্লেক্স। ৭ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহ চেইনটির ১৭ বছর পূর্ণ হলো। একই দিনে স্টার সিনেপ্লেক্স জেমস বন্ড: নো টাইম টু ডাই সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এই সিনেমা দেখানোর মাধ্যমে স্টার কর্তৃপক্ষ মিরপুরে তাদের নতুন শাখা চালু করল।
আয়োজেনে শিল্পী কলাকুশলীরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। উপমহাদেশের বিশেষ করে ভারতীয় সিনেমা আমদানির ক্ষেত্রে যে নিয়মতান্ত্রিক জটিলতা রয়েছে তা তুলে দেয়ার আবেদন জানান স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান রুহেল।
সিনেমা হল টিকিয়ে রাখতে এবং দেশের সিনেমাকে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আরও উন্নত করতে সিনেমা আমদানির বিধিনিষেধ তুলে দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন মাহবুব রহমান।
তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে মাহবুব বলেন, ‘সিনেমা ইনড্রাস্ট্রিকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে সরকারের শুধু অনুদান দিলেই হবে না, সব খুলে দিতে হবে। এখন আমরা ডিজিটাল যুগে বাসায় বসে যে কোনো কিছু দেখতে পারি। কোনো কিছু কিন্তু বন্ধ নেই। আমরা হিন্দি, নেপালি, উর্দু, আরবি কনটেন্ট সবই দেখতে পাচ্ছি।
‘এখনও যদি সিনেমা হলকে রেস্ট্রিকটেড করে রাখি, যদি বলি এটা দেখা যাবে না, ওটা করা যাবে না তাহলে কিন্তু আমরা আগাতে পারব না। আমাদের সবই খুলে দেয়া উচিৎ।
পাকিস্তানের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানে ভারতীয় সিনেমা মুক্তি পাওয়ার পর কিন্তু সেখানকার সিনেমাও উন্নত হয়েছে, ভালো ভালো সিনেমা নির্মিত হচ্ছে সেখানে। বক্স অফিস থেকে তাদের ইনকামও ভালো। আমি মনে করি আমাদের এমন গ্লোবালি চিন্তা করতে হবে।’
মাহবুব রহমানের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি।
তিনি বলেছেন, ‘জেমস বন্ডের সিনেমা নো টাইম টু ডাই, মরার সময় নাই, এটা বাংলায় বানালে অসুবিধা কি? আমার চলচ্চিত্রশিল্পীরা, আমার নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েদের মেধা কোনো দেশের মানুষের চেয়ে কম নয়। রুহেল ভাই (মাহবুব রহমান) এর পর আপনি আমন্ত্রণ জানাবেন, এই বিগ স্ক্রিনে সামনের সিটগুলোতে বসে এই মিরপুরের মাটিতে আমরা বাংলা সিনেমা দেখতে চাই।’