নতুন এক মিশনে নেমেছেন কয়েকজন। সেই মিশনের সাত দিন পারও করে ফেলেছেন তারা। মিশনের ময়দান থেকে তোলা একটি ছবি প্রকাশ পেয়েছে। সেই ছবিতে মিশনের পরিচালকের মুখের হাসি দেখে ধারণা হচ্ছে সম্ভবত সফল হয়েছেন তারা।
তবে আরও অনেক কাজ বাকি। রয়েছে আরও অনেক চ্যালেঞ্জ। মিশনের নাম ওরা ৭ জন। এটি মূলত একটি সিনেমা। এটি পরিচালনা করছেন খিজির হায়াত খান। সিনেমার একটি চরিত্রে অভিনয়ও করছেন তিনি।
সিলেটে চলছে সিনেমার দৃশ্যধারণ। শুটিংয়ের ফাঁকে সাতজন মিলে একটি ছবি তুলে পরিচালক তা পোস্ট করেছেন ফেসবুকে।
সেখানে দেখা যাচ্ছে খালিদ মাহবুব তূর্য, নাফিস আহমেদ, ইমতিয়াজ বর্ষণ, খিজির হায়াত খান, ইন্তেখাব দিনার, শাহরিয়ার ফেরদৌস সজীব ও সাইফ খানকে।
১৯৭১ সালের প্রেক্ষাপটে মুক্তিযুদ্ধের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মিত হচ্ছে সিনেমাটি। তাই চরিত্রগুলোর সাজপোশাকেও রয়েছে আগেকার সময়ের ছোঁয়া।
সিনেমার শুটিং শুরু হয় ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে, চলবে নভেম্বর পর্যন্ত। মুক্তিযুদ্ধের ৫ নম্বর সেক্টরে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা পরিচালক সিনেমায় তুলে আনতে চান বলেই সিলেটে হচ্ছে দৃশ্যধারণ।
খিজির হায়াত বলেন, ‘এটি কোনো একজনের গল্প না। এটা কয়েকজনের গল্প একসঙ্গে করে ফিকশন করা হয়েছে।’
সিনেমার নাম ওরা ৭ জন হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে খিজির হায়াত বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে ৭ সংখ্যাটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যেমন- ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠ, ৭ মার্চ। আমার সিনেমাতে অনেক অভিনয়শিল্পী থাকলেও ৭ জনের ভূমিকা বা ৭ জনের মাধ্যমে গল্পটি এগিয়ে যাবে।’
সিনেমায় আরও আছেন শিবা শানু, তাসনিম তাসফি, জয়রাজ ও হামিদুর রহমান।
সিনেমায় চিকিৎসকের চরিত্রে দেখা যাবে ইন্তেখাব দিনারকে। মমর চরিত্রের নাম অর্পণা সেন। ইমতিয়াজ বর্ষণ আছেন সোলাইমান কাজীর চরিত্রে। সাব-ইন্সপেক্টর শাফির চরিত্রে সাইফ খান, পাকিস্তানি মেজর শাহরিয়ারের চরিত্রে হামিদুর রহমান, নাফিস আহমেদের চরিত্রের নাম সুমিত। জয়রাজকে দেখা যাবে চেয়ারম্যান আওয়ালের ভূমিকায়।
শাহরিয়ার ফেরদৌস সজীব থাকছেন সার্জেন্ট মুক্তাদিরের ভূমিকায়। শিবা শানু অভিনয় করবেন ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মোশাররফের চরিত্রে। তাসনিয়ার চরিত্রের নাম স্নিগ্ধা।