বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নিয়ে নাট্যোৎসব

  •    
  • ২ অক্টোবর, ২০২১ ১৫:১০

২০২৩ সালে ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহযোগিতায় ঢাকায় ৮টি বিভাগের ৮টি নাট্য প্রযোজনার সঙ্গে দক্ষিণ এশীয় রাষ্ট্রগুলোর বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নাট্য প্রযোজনা নিয়ে আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসব সেমিনার, সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করা হবে।

ব্রিটিশ কাউন্সিল ও ঢাকা থিয়েটারের উদ্যোগে প্রায় এক দশক ধরে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের মূলধারার থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত করার কাজ করা হচ্ছে।

২০১৩ সালে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নিয়ে নাট্যকর্মশালা শুরু হয়। ২০১৬ সালে ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ এবং লন্ডনের গ্রে আই থিয়েটার কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে ঢাকা থিয়েটার উইলিয়াম শেকসপিয়রের গল্প অবলম্বনে ‘আ ডিফারেন্ট রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট’ নাটকটি মঞ্চস্থ করে।

এ ছাড়া চলতি বছর জাপান প্যারালিম্পিকে যুক্তরাজ্য, জাপান ও বাংলাদেশের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন নাট্যবন্ধুদের দ্বারা অভিনীত যৌথ প্রযোজনায় উইলিয়াম শেকসপিয়রের ‘দ্য টেম্পেস্ট’ নাটকটি মঞ্চস্থ হয়।

২০১৯ সালে ব্রিটিশ কাউন্সিল ও ঢাকা থিয়েটারের উদ্যোগে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নাট্য অভিযাত্রায় সহযাত্রী করার জন্য ‘ডেয়ার’ (ডিজেবিলিটি আর্টস: রিডিফাইনিং এমপাওয়ারমেন্ট) প্রোজেক্টটি শুরু করে।

তিন বছরের এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের ও থিয়েটার কর্মীদের এক মঞ্চে এনে কাজ করা– যার মাধ্যমে সমাজের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেয়া যে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন জনগোষ্ঠী কোনোভাবেই অন্যদের থেকে পিছিয়ে নেই।

অতিথিদের সামনে রিহার্সেল করছেন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত

একই সঙ্গে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য প্ল্যাটফর্ম ‘সুন্দরম’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। ব্রিটিশ কাউন্সিল ও ঢাকা থিয়েটারের তত্ত্বাবধায়নে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তি ও থিয়েটার শিল্পীদের নিয়ে ৮টি বিভাগে ৮টি নাট্য প্রযোজনা করার জন্য নাট্যকর্মশালা শুরু করে।

করোনাকালে সরাসরি কর্মশালা ব্যাহত হয়, কিন্তু অনলাইন টিউটরিয়াল চালু ছিল। করোনা-পরবর্তী সময়ে আবার ঢাকায় ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত সরাসরি নাট্যকর্মশালা হয়েছে।

এই নাট্যকর্মশালায় প্রতিবন্ধী শিল্পী ও থিয়েটার শিল্পীদের উৎসাহ প্রদান করার জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা ও চিত্রকর আফজাল হোসেন, শিল্পী ঢালী আল মামুন, উপস্থাপক ফারজানা মিথিলা। ১ অক্টোবর সমাপনী দিনে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এবং জনপ্রিয় অভিনেতা ফারুক আহমেদ।

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেন, ‘সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কল্যাণে অনুদান খাত থেকে অসচ্ছল শিল্পীদের জন্য যে অনুদান প্রদান করা হয়, তার ৫ শতাংশ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য সংরক্ষণ করা হবে।

‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিল্পীদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এ কর্মশালায় অভিনয় ও পারফরম্যান্স দেখে আমি সত্যিই মুগ্ধ ও অভিভূত। তারা যে সত্যিই মেধাবী ও সৃজনশীল এটি তার স্বাক্ষর বহন করে।’

রিহার্সেল করছেন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যাক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের কল্যাণ ও সঠিক বিকাশে বিভিন্ন যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এ ক্ষেত্রে বিশ্বে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ও রোল মডেলের ভূমিকা পালন করছেন।

ঢাকা থিয়েটার ও ব্রিটিশ কাউন্সিল চাইলে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ প্রোগ্রামে অংশীদার হতে আগ্রহী বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

২০২৩ সালে ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহযোগিতায় ঢাকায় ৮টি বিভাগের ৮টি নাট্য প্রযোজনার সঙ্গে দক্ষিণ এশীয় রাষ্ট্রগুলোর বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নাট্য প্রযোজনা নিয়ে আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসব সেমিনার, সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর