বলিউডে প্রায় দুই দশকের পথচলা মল্লিকা শেরাওয়াতের। ২০০৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল তার প্রথম সিনেমা খোয়াইশ।
এর পরের বছরই মার্ডার সিনেমায় অভিনয় দিয়ে সমালোচকদের প্রশংসা কুড়ান মল্লিকা। এর পরে দুই ডজনের বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।
প্রায় সব সিনেমায় চুম্বন ও খোলামেলা দৃশ্যের জন্য ‘সাহসী’ অভিনেত্রীর তকমা পেলেও মানসিক হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে বলে জানান মল্লিকা।
তিনি জানান, হেনস্তার মাত্রা এতই বেড়ে গিয়েছিল যে, তাকে দেশ পর্যন্ত ছাড়তে হয়েছে।
মল্লিকা সম্প্রতি এক সংবাদ সংস্থাকে এসব কথা জানান বলে ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
বলিউড অভিনেত্রী মল্লিকা শেরাওয়াত। ছবি: সংগৃহীত
কীভাবে কঠিন পরিস্থিতিতে নিজেকে সামলেছেন, সে বিষয়ে মল্লিকা বলেন, ‘আমি দেশ ছেড়ে চলে যাই। এইভাবেই সামলাই নিজেকে।’
মল্লিকার কথায়, সংবাদমাধ্যম এবং জনসাধারণের একটি অংশের কাছে অপদস্থ ও হেনস্তা হতে হয় তাকে। তিনি স্রেফ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।
সেই সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, অসম্ভব মানসিক চাপ তিনি নিতে পারেননি। তার মন ভেঙে গিয়েছিল।
বলিউড অভিনেত্রী মল্লিকা শেরাওয়াত। ছবি: সংগৃহীত
তিনি আরও বলেন, মানসিক সুস্থতা ফিরে পাওয়ার জন্য তাকে দেশ ছাড়তেই হতো।
মল্লিকার দাবি, সে সময় সংবাদমাধ্যমগুলোর একটি অংশের কাছে তিনি সমর্থনও পেয়েছেন। আরেকটি অংশ যথেষ্ট অনৈতিক ছিল।
অভিনেত্রী বলেন, ‘ওরা আমার নামে মিথ্যা কথা লিখত; ঘটনা অতিরঞ্জিত করে লিখত। অনেক মূলধারার সাংবাদিক ছিলেন, যারা আমার নামের পাশে এমন উক্তি বসিয়ে দিতেন, যা আমি বলিনি। নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তির সঙ্গে আমার নাম জড়ানো হয়েছিল।’
এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে হয় বলে জানান মল্লিকা।
বলিউড অভিনেত্রী মল্লিকা শেরাওয়াত। ছবি: সংগৃহীত
বর্তমানে নারীদের জন্য পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে বলে মনে করেন মল্লিকা। তার মতে, আগের তুলনায় অনেক বেশি যৌন দৃশ্য এখন সিনেমায় দেখা যায়। সাহসী চরিত্রের জন্য অভিনেত্রীদের এখন আর নিচু চোখে দেখা হয় না।