বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাইপলাইনে বিপুল সিনেমা

  •    
  • ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২১:৫৬

সিনেমাগুলো নির্মিত হলে দেশের যে সিনেমাসংকটের কথা বলা হচ্ছে, সেটি কেটেও যেতে পারে। একই সঙ্গে হলমালিকরাও তাকিয়ে আছেন অপেক্ষমাণ সিনেমাগুলোর মুক্তির আশায়।

দেশি সিনেমার সংকটকাল কাটছে না। হলমালিকরা অনেক দির ধরে সিনেমা আমদানির দাবি জানিয়ে আসছেন। তাদের ভাষ্য, সিনেমা ব্যবসার জন্য যে পরিমাণ ভালো সিনেমা প্রয়োজন হয়, দেশের প্রযোজক-পরিচালকরা সেই পরিমাণ সিনেমা তাদের দিতে পারছেন না।

একদিকে যেমন ব্যবসা হচ্ছে না, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন প্রযোজকরা। একই সঙ্গে সিনেমা হল না চলায় বন্ধ করে দিতে হচ্ছে প্রেক্ষাগৃহ।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাণিজ্যিক, অবাণিজ্যিক ও অনুদানের ছবি মিলিয়ে ৫০টির বেশি চলচ্চিত্র এখন মুক্তির জন্য অপেক্ষমাণ। আরও বেশ কিছু ছবির নির্মাণকাজ অনেকখানি এগিয়ে গেছে। এগুলো মুক্তি পেলে সিনেমার খরা অনেকখানিই কেটে যাবে।

নির্মাণ হয়ে থাকা কিছু সিনেমা করোনার কারণে আটকে আছে মুক্তির প্রতীক্ষায়। সেগুলোর মধ্যে আছেমিশন এক্সট্রিম, শান, পরান, জ্বীন, বিক্ষোভ, ক্যাসিনো, আনন্দ অশ্রু, অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন, অপারেশন সুন্দরবন, গিরগিটি, সিক্রেন্ট এজেন্ট, ইত্তেফাক, বিদ্রোহী, অন্তরাত্মা, হাওয়া, পাপপুণ্য, দামাল ওস্তাদ, মুখোশ, চোখ, লিডার- আমিই বাংলাদেশ ও রিভেঞ্জ।

এগুলো ছাড়া আরও বেশ কিছু সিনেমা রয়েছে পরিচালকদের হাতে, যার মধ্যে সরকারি অনুদানের বেশ কটি সিনেমা জমা হয়েছে গত দুই বছরে।

২০১৯-২০ অর্থবছরে অনুদান পাওয়া ১৬টি পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমার মধ্যে আছে মুশফিকুর রহমানের টুঙ্গিপাড়ার দুঃসাহসী খোকা, গিয়াসউদ্দিন সেলিমের কাজলরেখা, এস এ হক অলিকের যোদ্ধা, বদরুল আনাম সৌদের শ্যামা কাব্য, প্রদীপ ঘোষের ভালোবাসা প্রীতিলতা, ইস্পাহানী আরিফ জাহানের হৃদিতা, ফজলুল কবীর তুহিনের গাঙকুমারী, ইফতেখার আলমের লেখক ও মনজুরুল ইসলামের বিলডাকিনী।

পঙ্কজ পালিতের একটি না বলা গল্প, অনম বিশ্বাসের ফুটবল ৭১, আউয়াল রেজার মেঘ রোদ্দুর খেলা ও নুরে আলমের রাসেলের জন্য অপেক্ষা হাতে আছে।

এ ছাড়া বাঁধন বিশ্বাসের ছায়াবৃক্ষ, রোজিনার ফিরে দেখা, মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের আশীর্বাদ-এর দৃশ্যধারণ সম্প্রতি শেষ হয়েছে।

পূর্ণদৈর্ঘ্য ছাড়া স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমাও আছে অনেক পরিচালকের হাতে। অনুদানের স্বল্পদৈর্ঘ্য নির্মাণ করবেন প্রবীর কুমার সরকার, শরীফ রেজা মাহমুদ, এ বি এম নাজমুল হুদা, সাজেদুল ইসলাম, দেবাশীষ দাশ, ফাখরুল আরেফীন খান, সোহেল আহমেদ সিদ্দিকী, মিতালি রায় ও চৈতালি সমাদ্দার।

২০২০-২১ অর্থবছরে পূর্ণদৈর্ঘ্য ২০টি চলচ্চিত্রকে অনুদান দেয় সরকার। জাহাঙ্গীর হোসেন মিন্টুর ক্ষমা নেই, নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুলের সাড়ে তিন হাত ভূমি, উজ্জ্বল কুমার মণ্ডলের মৃত্যুঞ্জয়ী, হাসান জাফরুল ও এফ এম শাহীনের মাইক, লুবানা শারমিনের নুলিয়াছড়ির সোনার পাহাড় নির্মাণপর্বে আছে।

এ ছাড়া কাজী হায়াতের জয় বাংলা, অনিরুদ্ধ রাসেলের জামদানী, জাহিদুর রহিম অঞ্জনের চাঁদের অমাবস্যা, মেজবাউর রহমান সুমনের রইদ, অরুণ চৌধুরীর জলে জ্বলে, অরুণা বিশ্বাসের অসম্ভব, মীর্জা শাখাওয়াত হোসেনের ভাঙন অপেক্ষমাণ।

রকিবুল হাসান চৌধুরী পিকলুর দাওয়াল, ইকবাল হোসাইন চৌধুরীর বলি, আব্দুস সামাদ খোকনের শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়, আশুতোষ সুজনের দেশান্তর, এস এ হক অলিকের গলুই, ইব্রাহিম খলিল মিশুর দেয়ালের দেশ এবং অপূর্ব রানার জলরঙ অনুদান পেয়েছে। এগুলোও নির্মীয়মাণ।

এ ছাড়া স্বল্পদৈর্ঘ্যের আরও ১০টি সিনেমাকে ২০২০-২১ অর্থবছরে দেয়া হয়েছে অনুদান। এর মধ্যে মেহেদী হাসান অর্ণব জল পাহাড় আর পাতাদের গল্প, স্বপ্ন সমুদ্র রূপালী আঁশ, শায়লা রহমান তিথি যুদ্ধজয়ের কিশোর নায়ক, নাসরিন ইসলাম স্বাধীনতার পোস্টার, শামসুদ্দীন আহমদ শিবলু হাওয়াই সিঁড়ি, রাসেল রানা সোনার তরী, ফজলে হাসান শিশির ঝিরি পথ পেরিয়ে, তাসমিয়াহ আফরিন আমার নানুর বাড়ি, মেহজাদ গালিব বিন্দু থেকে বৃত্ত: একজন বকুলের আখ্যান ও এমদাদুল হক খান শিরিনের একাত্তর যাত্রা নির্মাণ করবেন।

অনুদানের সিনেমা ছাড়াও নির্মাতা রাশিদ পলাশের পদ্মাপুরাণ মুক্তির জন্য প্রস্তুত। তিনি আরও পরিচালনা করছেন প্রীতিলতা। এ ছাড়া নাম চূড়ান্ত না হওয়া একটি সিনেমা রয়েছে পিপলু আর খানের হাতে, যাতে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান।

দেশা: দ্য লিডার-খ্যাত পরিচালক সৈকত নাসিরের হাতে রয়েছে মাসুদ রানা, ক্যাশ ও তালাশসহ কয়েকটি ওয়েব কনটেন্ট। নির্মাতা ইফতেখার চৌধুরী প্রযোজিত প্রথম সিনেমা মুক্তির অধিকাংশ কাজ শেষ হয়েছে।

অনন্ত জলিলের একাধিক সিনেমা আছে শুটিং ফ্লোরে। যৌথ প্রযোজনার সিনেমাগুলোর কাজ শেষ করতে ও মুক্তি পেতে সময় লাগবে।

সম্প্রতি রায়হান রাফি শুরু করেছেন নূর নামে একটি সিনেমার নির্মাণ। ঢাকা অ্যাটাক-খ্যাত পরিচালক দীপঙ্কর দীপন পরিচালনা করছেন অন্তর্জাল নামে একটি সিনেমা। সঞ্জয় সমদ্দার নির্মাণ করবেন বায়োপিক নামে একটি সিনেমা।

পরিচালক অনন্য মামুনের হাতেও আছে অনেক সিনেমার প্রজেক্ট। যার মধ্যে বেশ কয়েকটি ওয়েব কনটেন্ট হলেও অভিনয় নামের একটি সিনেমাও রয়েছে।

জাগো সিনেমার পরিচালক খিজির হায়ত খান ঘোষণা দিয়েছেন নতুন একটি সিনেমা নির্মাণের। সিনেমাটির নাম ওরা ৭ জন। এটি মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্রযোজক সেলিম খান ১০০ সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন। সেখান থেকে এরই মধ্যে ৩০টির মতো সিনেমা নির্মাণের কাজ অনেকখানি এগিয়ে গেছে। সিনেমাগুলো প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে নাকি সেলিম খানে সিনেমা দেখার অ্যাপ সিনেবাজে মুক্তি পাবে, তা নিশ্চিত করে জানাননি তিনি।

ঠিকভাবে সিনেমাগুলো নির্মিত হলে দেশের যে সিনেমাসংকটের কথা বলা হচ্ছে, সেটি কেটেও যেতে পারে। একই সঙ্গে হলমালিকরাও তাকিয়ে আছেন অপেক্ষমাণ সিনেমাগুলো মুক্তির আশায়।

এগুলো মুক্তি পেলে প্রেক্ষাগৃহে দর্শক আসবেন বলে মনে করেন অনেকে। কিন্তু বড় বাজেটের সিনেমা মুক্তি পওয়ার পরও প্রেক্ষাগৃহে দর্শক আসবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে প্রযোজকদের।

এ বিভাগের আরো খবর