দেশের জনপ্রিয় নায়িকা মাহিয়া মাহির বিয়ের গুঞ্জন গত জুন মাস থেকেই। শোনা যাচ্ছিল, রাকিব সরকার নামের একজন ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিকের সঙ্গে নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন মাহি। রাকিব গাজীপুরে থাকেন।
বিয়ের খবরকে পুরোপুরি গুঞ্জন বলেই উড়িয়ে দিয়েছিলেন মাহিয়া মাহি। গত ২০ জুন প্রকাশিত ‘বিয়ে করেছেন মাহি!’ শিরোনামের সংবাদে মাহি নিউজবাংলাকে বলেছিলেন, ‘এসব গুঞ্জন। রাকিব ও আমি ভালো বন্ধু। আমাদের একটা সার্কেল তৈরি হয়েছে। আরেকটা অনুরোধ, এসব বাজে কথা বা গুঞ্জন ছড়াবেন না। আমি ও আমার বন্ধুরা এতে খুব বিব্রত হই।’
রাকিব সরকারের সঙ্গেও কথা হয়েছিল নিউজবাংলার। বিষয়টি গুঞ্জন বলে জানিয়েছিলেন রাকিব।
সম্প্রতি মাহি-রাকিবের বিয়ের গুঞ্জনটি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। কারণ তাদের দুজনের একটি ছবি হাতে এসেছে নিউজবাংলার। ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও পাওয়া যাচ্ছে এখন।
সেই ছবিতে মাহি ও রাকিবকে দেখা যাচ্ছে হাস্যোজ্জ্বল, তারা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছেন। মাহির পরনে শাড়ি আর রাকিবের পরনে পাঞ্জাবি।
মজার বিষয় হলো, মাহি যে শাড়িটি পরে আছেন, সেই শাড়ি পরে তিনি ১১ জুন ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ছবি পোস্ট করেছিলেন এবং ক্যাপশনে লিখেছিলেন ‘আলহামদুলিল্লাহ’। ১৩ জুন মাহি নিউজবাংলাকে জানিয়েছিলেন, তার কোনো এক বন্ধুর বিয়েতে গিয়েছিলেন তিনি।
মাহি-রাকিব পাশাপাশি দাঁড়ানো যে ছবিটি পাওয়া গেছে সম্প্রতি, সেই ছবিটি মাহিকে পাঠিয়ে তার কাছে কিছু প্রশ্ন রেখেছিল নিউজবাংলা।
নিউজবাংলা মাহির কাছে জানতে চেয়েছিল, আপনার কাছে এ ছবির ব্যাপারে জানতে চাইছি। হতে পারে এটা এডিট করা ছবি। হতে পারে আসল ছবি। হতে পারে দুজন পাশাপাশি ছবি তুলেছেন। হতে পারে আপনারা বিয়ে করেছেন। যেটাই হোক, এর উত্তর দিতে চাইলে, লিখতে পারেন, ফোন করতে পারেন অথবা ভয়েস মেইল পাঠাতে পারেন।
দুই সেপ্টেম্বর এর উত্তর চাইলেও এখন পর্যন্ত কোনো উত্তর আসেনি। একই দিন কয়েকবার ফোন করলে মাহি একবার ফোন রিসিভ করে দুই সেকেন্ড পর কেটে দেন এবং পরবর্তী সময়ে আর ফোন ধরেননি।
দুই সেপ্টেম্বর নিউজবাংলার সঙ্গে কথা হয় রাকিব সরকারের। তিনি বলেন, ‘আমি এর আগেও আপনাদের জানিয়েছি মাহি ও আমি ভালো বন্ধু। তারপরও আপনারা নিউজ করেছেন। এখনও বলছি, আমরা ভালো বন্ধু।’
রাকিবকে ছবিটি পাঠাতে চাওয়ার কথা বললে তিনি বলেন, ‘পাঠিয়ে দেন, দেখি কী ছবি।’
কিন্তু পরে ছবিটি তাকে আর পাঠানো যায়নি। কারণ রাকিবের যে নম্বরে যোগাযোগ করা হয়েছে, সে নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ নেই।
ছবিটি কীভাবে পাঠানো যাবে জানতে চেয়ে দুইবার তাকে এসএমএস করলেও তার কোনো উত্তর আসেনি।
এদিকে মাহি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ৬ দিন আগে লিখেছিলেন, ‘১৩ সেপ্টেম্বর আমি তোমাকে একটা চমক দিতে যাচ্ছি।’
গত ৬ সেপ্টেম্বর মাহির দেয়া ফেসবুক পোস্ট। ছবি: সংগৃহীত
গত জুন মাসে গাজীপুরের স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এবং রাকিব সরকারের কাছের একাধিক সূত্র নিউজবাংলাকে বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নিউজবাংলাকে জানিয়েছিল, গাজীপুরেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মাহিকে গাড়ি উপহার দেয়া এবং দুজন মিলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ঘুরতে যাওয়ারও কথা শোনা গিয়েছিল সে সময়।
মাহির বিয়ের গুঞ্জন শুরু ১১ জুন রাত থেকে। সেই রাতে তিনি মেহেদি রাঙা হাতে, কাতান শাড়ি আর নাকফুল পরে একটি ছবি পোস্ট করেন ফেসবুকে। সেই ছবির ক্যাপশনে লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ’।
এই ছবিটি গত ১১ জুন পোস্ট করেন মাহি। ছবি: সংগৃহীত
মাহি ২৩ মে জানান, তিনি তার স্বামী মাহমুদ পারভেজ অপুর সঙ্গে থাকছেন না। পরদিন অপুও জানান, তারা আর একসঙ্গে নেই। তবে সে বিচ্ছেদ আইনসিদ্ধ ছিল না।
১৯ জুন আইনি সেই আনুষ্ঠানিকতার বিষয়টি নিউজবাংলাকে জানান মাহমুদ পারভেজ অপু। বলেছিলেন, ‘আমি আইনি আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছি। কয়েক দিন আগেই কাগজপত্র জমা দিয়েছি।’