বিশ্বখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ক্রিস্টোফার নোলান। টেনেট তার পরিচালিত মুক্তি পাওয়া শেষ সিনেমা। এবার নতুন সিনেমা নির্মাণে মনোযোগী হচ্ছেন নোলান।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে নোলানের নতুন সিনেমার পটভূমি হবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
জে রবার্ট ওপেনহাইমার একজন পদার্থবিজ্ঞানী। ফাদার অব দ্য অ্যাটমিক বম্ব বলা হয় তাকে। ওপেনহাইমার ও তার কাজ নিয়ে ব্যাপক গবেষণায় আছেন নোলান। নতুন সিনেমায় পদার্থবিজ্ঞানীর বড় একটা ভূমিকা থাকবে তা বোঝাই যাচ্ছে।
তবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, ‘পদার্থবিজ্ঞানীর বায়োপিক এটি নয়। নোলানের ভাবনা কখনও সরলরেখায় চলে না। নতুন সিনেমাটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত হবে।’
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে ম্যানহাটন প্রকল্পের সাহায্যে প্রথম আণবিক বোমা আবিষ্কারের জন্যে এনরিকো ফার্মির পাশাপাশি জে রবার্ট ওপেনহাইমারকেও আণবিক বোমার জনকরূপে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে।
১৬ জুলাই, ১৯৪৫ তারিখে নিউ মেক্সিকোতে ট্রিনিটি টেস্ট নামে পরিচিত প্রথম আণবিক বোমার সফল পরীক্ষামূলক পর্যায়ের পর ওপেনহেইমার পবিত্র ধর্মগ্রন্থ ভগবদ্গীতা থেকে উদ্বৃতি দিয়ে বলেছিলেন, ‘এখন আমি মৃত্যুর কারণ হতে পারি, বিশ্বকে ধ্বংস করে দিতে পারি।’
সিনেমার শিল্পীদের নাম ঘোষণা হয়নি এখনও। তবে নোলানের পছন্দের অভিনেতা কিলিয়ান মার্ফি থাকতে পারেন সিনেমায়। ইনসেপশন, ডানকার্ক-এ ছিলেন তিনি।
নোলানের নতুন সিনেমার খবর প্রকাশ্যে আসার পরপরই শুরু হয়ে গেছে কোন স্টুডিওর সঙ্গে তিনি কাজটি করবেন।
গত বিশ বছর ধরে ওয়ার্নার ব্রাদার্সের সঙ্গে সিনেমা করছেন নোলান। কিন্তু টেনেট এর মুক্তি নিয়ে স্টুডিও এবং পরিচালকের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। করোনার মধ্যে নোলান জোর করেই সিনেমাটি মুক্তি করান, তাতে ব্যবসার বেশ ক্ষতি হয়।
অন্যদিকে ওয়ার্নার ব্রাদার্সের ‘হাইব্রিড’ রিলিজ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন নোলান। অন্যান্য স্টুডিওর সঙ্গে আপাতত আলোচনা চালাচ্ছেন পরিচালক।