ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমনির বাসায় র্যাবের অভিযান থেকে শুরু করে, তার বিরুদ্ধে মাদক মামলা, রিমান্ড, কারাদণ্ড ও কারামুক্ত হওয়া পর্যন্ত সবই ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
৪ আগস্ট বিকেলে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। তার পর থেকে ২৭ দিন পরীমনি বন্দি ছিলেন। ১ সেপ্টেম্বর জামিনে কারামুক্ত হন পরীমনি।
বন্দি অবস্থায় তাকে দেখা গেছে আদালতে নেয়ার সময়। তাকে দেখে বিধ্বস্ত বা ভেঙে পড়া কোনো মানুষের মতো মনে হয়নি। আর মুক্তির দিন যে ভঙ্গিতে তিনি গাড়ির ছাদ খুলে সবাইকে হাত নেড়ে সাড়া দিয়েছেন, তাতে তাকে বলিষ্ঠই মনে হয়েছে।
রোববার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী পরীমনি। যেখানে তিনি জানিয়েছেন কী তার শক্তির উৎস।
যে ছবিটি পরীমনি পোস্ট করেছেন, সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কাগজে লেখা, ‘নানু, আমি ভালো আছি। কোনো চিন্তা করবা না। তোমার সাথে শীঘ্রই দেখা দিব।’
এই চিঠিটি পরীমনিকে লিখেছেন তার নানা শামসুল হক গাজী। চিঠির শেষে নামটি লেখা রয়েছে।
এই ছবিটি নিয়ে পরীমনি এর ক্যাপশনে লিখেছেন-
‘একটা চিঠি
আমার সব শক্তির গল্প
এখানেই’
পরীমনির বন্দিজীবনের সময় একাধিকবার আদালত চত্বরে দেখা গেছে শামসুল হক গাজীকে। প্রথম ১০ আগস্ট তিনি জান আদালতে। শতবর্ষী নানাকে দেখে পরীমনিও কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। সে সময় বারবার মুখ চেপে কান্না থামানোর চেষ্টা করতে দেখা যায় তাকে।