বিয়ে করেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। তার স্ত্রী শাম্মা দেওয়ান যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
অপূর্বর বিয়ে নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন অপূর্বর সাবেক স্ত্রী নাজিয়া হাসান অদিতি। লিখেছিলেন, ‘চার বছরের প্রেম সফল হলো মাশাআল্লাহ্…।’
এরপর থেকে গুঞ্জন ওঠে, তাহলে কি অদিতির সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদের আগেই শাম্মার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন অপূর্ব?
অপূর্ব জানান, তার ও নতুন স্ত্রী শাম্মার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে কিছু কিছু অমুলক মন্তব্য অপূর্বর নজরে এসেছে যা সম্পূর্ণরূপে অসত্য ও ভিত্তিহীন।’
শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এ কথা লেখেন অভিনেতা।
অপূর্ব আরও লেখেন, ‘আমার সমস্ত ভক্ত, দর্শক ও শুভানুধ্যায়ীদের আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমি আমার জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছি। শাম্মা দেওয়ান, আমার স্ত্রী, তাকে নিয়েই আমার এই যাত্রা।’
২০১১ সালের ১৪ জুলাই পারিবারিকভাবে অপূর্বর সঙ্গে বিয়ে হয় অদিতির। আয়াশ নামে তাদের এক পুত্রসন্তানও রয়েছে।
অদিতিকে নিয়ে অপূর্ব লেখেন, ‘আমার এবং আয়াশের মায়ের আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয়ে গেছে ২০১৯ সালে, যদিও তা গণমাধ্যমে পরে প্রকাশিত হয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবে আমরা এই বিষাদময় অধ্যায়ের পর সময় নিয়েছি, ভেবেছি এবং নিজ নিজ পরিবারের সাথে আলাপেও গেছি। আমরা দুজনই প্রাপ্ত বয়স্ক। আমরা একজন আরেকজনের প্রতি পূর্ণ সম্মান রেখেই আমাদের নিজেদের জীবন পথ বেছে নিয়েছি।’
অদিতিকেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে হেয় করেছেন। সে বিষয় নিয়েও কথা বলেন অপূর্ব।
তিনি লেখেন, ‘তবে আমি খুবই দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, আয়াশের মায়ের নতুন জীবনের সংবাদ প্রকাশের পর অনেকেই তাকে অপবাদ দিয়েছেন এই বলে যে, তিনি নাকি পরকীয়া করে বিয়ে করেছেন। আমি এটি নিশ্চিত করে বলতে চাই যে, এই ধরনের তথ্য একেবারেই মিথ্যা।
‘আমাদের সবাইকে আপনারা আপনাদের প্রার্থনা ও শুভকামনায় রাখবেন। ভালোবাসা রইল…’