এরিয়াল সিল্ক অ্যাক্ট মূলত নৃত্যের ফরম্যাট। সহজ করে বললে, উঁচুতে কাপড় বেঁধে, সেই কাপড় ধরে শূন্যে নৃত্যের ফর্মকে এরিয়াল সিল্ক অ্যাক্ট বলে।
এবার সেটাই করেছেন অভিনেত্রী নওশাবা। এটা তার থিয়েটারের বা নাটক-বিজ্ঞাপনের কাজ নয়। কাজটি তিনি করেছেন সিনেমার জন্য।
নওশাবা নিউজবাংলাকে জানান, অনন্য মামুন পরিচালিত অমানুষ সিনেমায় একটি গানের সঙ্গে শূন্যে ঝুলে নাচতে দেখা যাবে তাকে। এর কোরিওগ্রাফি করেছেন মোফাসসাল আল আলিফ।
বর্ণনা দিয়ে নওশাবা বলেন, ‘সিনেমায় আমার চরিত্রটি গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু আমার কোনো গানে পারফর্ম করার কথা ছিল না। হঠাৎ করেই পরিচালক অনন্য মামুন বললেন যে, আমাকে একটি গানে পারফর্ম করতে হবে এবং গানটি রবীন্দ্রসংগীত।
‘রবীন্দ্রসংগীতের কথা শুনে আমি মনে মনে এরিয়াল সিল্ক অ্যাক্টের কথা চিন্তা করি। কারণ নৃত্যের এই ফরম্যাটটা আমার দেখতে খুব ভালো লাগে। এই নৃত্য আমি কখনোই করিনি। আমি কোরিওগ্রাফার আলিফকে বিষয়টি জানালাম। তিনিও খুব সাহস দিলেন। কিন্তু পরিচালককে বলতে সাহস পাচ্ছিলাম না। তবে যখন বললাম, তিনি রাজি হয়ে গেলেন।’
পরিচালক ও কোরিওগ্রাফারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান নওশাবা। তাদের সহযোগিতা ছাড়া কাজটি সম্ভব হতো না বলে মনে করেন তিনি।
গানটির দৃশ্যধারণের সেটে অনন্য মামুন (বাঁ থেকে) নিরব, নওশাবা ও আলিফ। ছবি: সংগৃহীত
নওশাবা বলেন, ‘এই ফরম্যাটটা চূড়ান্ত হবার পর আমরা তিন দিন রিহার্সাল করেছি ইনডোরে। আর ফাইনালি যখন দৃশ্যধারণ হয়েছে, তখন শুটিং করেছি রাজধানীর তিনশ ফিট নামের যে জায়গাটি আছে তার থেকে আরও অনেক ভেতরে। একটি বটগাছের সঙ্গে কাপড় বেঁধে এরিয়াল সিল্ক অ্যাক্টটা করেছি।’
বিশেষ এ নৃত্যটি করতে বেশ কিছু শারীরিক চ্যালেঞ্জ ছিল নওশাবার। তিনি বলেন, ‘এটা করতে প্রচণ্ড শারীরিক শক্তি লাগে। আমি ২০১০-১২ প্যারালাইডজ ছিলাম, মা হয়ে গিয়েছি; এসবের কারণে এরিয়াল সিল্ক অ্যাক্টটা করা নিয়ে শঙ্কায় ছিলাম। তবে আলিফ আমাকে অনেক সাহায্য করেছে, সাহস জুগিয়েছে।’
আগস্টের ১৮ তারিখে হয়েছে গানের দৃশ্যের শুটিং। ‘আমার হিয়ার মাঝে’ রবীন্দ্রসংগীতের সঙ্গে এরিয়াল সিল্ক অ্যাক্টের কিছু অংশ দেখা যাবে। কাজটি করতে পেরে খুবই উচ্ছ্বসিত নওশাবা।
অমানুষ সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন নিরব, মিথিলা, মিশা সওদাগরসহ অনেকে।