বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এক শরতে এসে রয়ে গেলেন

  •    
  • ৩১ আগস্ট, ২০২১ ১৫:৩০

সফল চলচ্চিত্র পরিচালক, অভিনেতা, লেখক, সম্পাদকের পাশাপাশি ঋতুপর্ণ ঘোষ গীতিকারও বটে। ‘পিয়া তোরা ক্যায়সা আভিমান’, ‘মথুরা নাগারপতি’, ‘বাহু মনোরথ’, ‘আকেলে হাম নাদিয়া কিনারে’, ‘আজিব দাওয়াত’- এর মতো কিছু গান তিনি উপহার দিয়ে গেছেন।

চোখে কাজল পরে, চুলে ফুল গুঁজে, নীল শাড়িতে নিজেকে সাজিয়েছেন রাধা। যমুনার পাড়ে তিনি যাবেন তার কৃষ্ণের সঙ্গে দেখা করতে। কৃষ্ণ যে সেখানে তারই অপেক্ষায়।

এত আয়োজন, এত প্রেম, আকাঙ্ক্ষা নিয়ে রাধা গেলেন ঠিকই, কিন্তু রাত পেরিয়ে গেলেও কৃষ্ণের দেখা মিলল না। ভগ্ন হৃদয়ে ফিরতে হলো। এই লজ্জা তিনি কোথায় রাখবেন?

আর কখনও কৃষ্ণ মিলনের আশায় ছুটে যাবেন না বলে পণ করেন রাধা। রাখতে পারেন কি নিজেকে দেয়া নিজের এই কথা?

না, সব কষ্ট, গ্লানি ঝেড়ে রাধা আবারও নিজেকে তৈরি করেন তার কৃষ্ণের জন্য।

প্রেমিকের প্রতি প্রেমিকার এই আকুলতা ঋতুপর্ণ ফুটিয়ে তুলেছেন তার ‘বাহু মনোরথ’ গানে। এই গান শুনে খুব সহজে নিজেকে কল্পনা করে নেয়া যায় রাধার জায়গায়। বারবার ব্যর্থ হলেও প্রেমিকের প্রতি প্রগাঢ় আকর্ষণ কি চাইলেই ঝেড়ে ফেলা যায়?

সফল চলচ্চিত্র পরিচালক, অভিনেতা, লেখক, সম্পাদকের পাশাপাশি ঋতুপর্ণ ঘোষ গীতিকারও বটে। ‘পিয়া তোরা ক্যায়সা আভিমান’, ‘মথুরা নাগারপতি’, ‘বাহু মনোরথ’, ‘আকেলে হাম নাদিয়া কিনারে’, ‘আজিব দাওয়াত’-এর মতো কিছু গান তিনি উপহার দিয়ে গেছেন।

ঋতুপর্ণ ঘোষ। ছবি: সংগৃহীত

সিনেমার দৃশ্যগুলোর সঙ্গে তার প্রতিটি গান যেমন মিলে যায়, মুহূর্তগুলোকে পূর্ণতা দেয়। তেমনি চোখ বুজে শুধু গানগুলো শুনে গেলেও কোনো কিছুর যেন কমতি মনে হয় না। এত মায়া, এত আকুলতা, না পাওয়ার বেদনা, হাহাকার ঋতুর প্রতিটি গানে!

ঋতুপর্ণ ঘোষ। ছবি: সংগৃহীত

শরতের এক দিনে কলকাতায় ঋতুর জন্ম। সময়ের হিসাবে সেটা ঠিক ৫৮ বছর আগে, ১৯৬৩ সালের ৩১ আগস্টে। মারা যান ২০১৩ সালের ৩০ মে। ৪৯ বছরের জীবনে কতটা কী পেয়েছেন সে হিসাব ঋতুর জন্যই তোলা থাক। নিজের সঙ্গে, সমাজের সঙ্গে কম লড়াই তো ছিল না।

ঋতুপর্ণ ঘোষ। ছবি: সংগৃহীত

তবে ভক্তদের তিনি দিয়ে গেছেন অসাধারণ কিছু সিনেমা, গান। সেগুলোতে এতটুকু কোনো বাড়াবাড়ি নেই, অতি আবেগের আতিশয্য নেই। মনে হয় যেন আমাদের সাধারণ জীবনের সাধারণ মুহূর্ত, দৃশ্য, কথাগুলোই তিনি শুধু ফ্রেমে ও সুরে আবদ্ধ করেছেন। ভীষণ ছুঁয়ে যায় তার কাজগুলো।

ঋতুপর্ণ ঘোষ। ছবি: সংগৃহীত

অভিমানী ঋতুর প্রতি ভক্তদেরও কিন্তু অভিমান আছে। বড্ড তাড়াহুড়ো করে তিনি চলে গেলেন। কোন অসুখ-এর দহনে পুড়ে তিনি এত তাড়াতাড়ি বিদায় নিলেন? আরও কত সিনেমার শুভ মহরত নিয়ে তো উনিশে এপ্রিল উৎসব হতে পারত! পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নিলেও আবহমান তিনি থাকবেন অসংখ্য ভক্ত, অনুরাগীর মনের অন্তরমহলে।

এ বিভাগের আরো খবর