মাদক আইনে কারাগারে থাকা পরীমনির জন্য সুবিচার চেয়ে অবশেষে মুখ খুলেছে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি। এই অভিনেত্রীর জামিন চেয়েছে সংগঠনটি।
এ বিষয়ে সোমবার পরিচালক সমিতি থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি কোনো ঘটনার সত্য-মিথ্যা না জেনে তৎক্ষণাৎ মন্তব্য থেকে বিরত থাকে এবং পরীমনির ঘটনার সত্য মিথ্যা জানার কোনো উপায় আমাদের ছিল না। চেষ্টা করা সত্ত্বেও পরীমনির সঙ্গে যোগাযোগ করার কোনো সুযোগ পাওয়া যায়নি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে প্রসঙ্গে পরীমনিকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে সেই সম্পর্কে শতভাগ আমরা নিশ্চিত নই।
‘আর এই পরীমনি বড় শিল্পী হওয়ায় তার ঘটনা নিয়ে এত দ্রুত সত্য-মিথ্যা খুঁজে বের করার চেষ্টা করা দুরূহ ব্যাপার ছিল এবং সেই প্রসঙ্গে যারা তৎক্ষণাৎ বিবৃতি দিয়েছেন তা নিয়ে বিভিন্ন পক্ষ-বিপক্ষ তৈরি হয়ে ঘটনাকে এমন একটা সংঘাতময় রূপ দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে যে, যার থেকে আসল ঘটনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়া যায়নি।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা সমিতিগতভাবে পরিষ্কার জানাতে চাই পরীমনি আমাদের একজন প্রিয় শিল্পী। পরীমনির গ্রেপ্তারের ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হয়েছে। জামিন পেলে পরীমনি পালিয়ে যাবে বলে একজন উকিল পত্রিকায় প্রকাশিত যে উক্তি করেছেন তা ঠিক না বলে আমরা মনে করি। পরীমনি কোনো খুনের বা বিরাট কোনো ঘটনার আসামি নয়, যে পালিয়ে যাবে। পরীমনি আমাদের দেশের একজন জনপ্রিয় শিল্পী।’
পরীমনির জামিন পাওয়ার অধিকার রয়েছে উল্লেখ করে পরিচালক সমিতি বলছে, ‘বহুল প্রচারিত একটি বাক্য- শত অপরাধী খালাস হতে পারে কিন্তু একজন নিরপরাধী যেন শাস্তি না পায়। সুতরাং আমরা মনে করি ন্যায়বিচারের স্বার্থে পরীমনিকে অবিলম্বে জামিন দিয়ে সত্য-মিথ্যা প্রমাণ করার সুযোগ দেয়া হোক এবং পরীমনির প্রতি যথাযথ সুবিচার করা হোক।’
পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে গত ৪ আগস্ট মাদকদ্রব্যসহ আটক করে র্যাবের একটি দল। পরের দিন তাকে আটকের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। ওই দিনই বনানী থানায় এই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করে বাহিনীটি।
এই মামলায় পরীমনিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হলে চার দিনের রিমান্ডে পাঠান বিচারক। গত ১০ আগস্ট সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই অভিনেত্রীকে আরও দুই দিনের রিমান্ড আদেশ দেয় আদালত। সেই রিমান্ড শেষে তাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়। তৃতীয় দফায় ১ দিনের জন্য রিমান্ড দেয়া হয় পরীমনিকে।
৩১ আগস্ট পরীমনির জামিন শুনানি হবে সিএমএম কোর্টে।