বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অবস্থান একই আছে, কোনো মিথ্যাচার নাই: জায়েদ

  •    
  • ২৬ আগস্ট, ২০২১ ১৭:৫০

সমিতির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার কারণে পরীমনির সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। তিনি যদি নির্দোষ হয়ে ফিরে আসেন, তাহলে তাকে বরণ করে নেয়া হবে। আর দোষী হলে স্থায়ীভাবে সদস্যপদ বাতিল হবে বলে নিউজবাংলাকে জানান জায়েদ খান।

ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমনি ৫ আগস্ট গ্রেপ্তারের পর ৭ আগস্ট সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। সেখানে নেতারা ঘোষণা দেন সমিতিতে পরীমনির সদস্যপদ সাময়িক স্থগিতের।

সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেছিলেন, ‘আমরা একটা জরুরি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি কার্যনির্বাহী পরিষদের সবাই মিলে। আমাদের উপদেষ্টারাও সেখানে যুক্ত ছিলেন। আমাদের শ্রদ্ধেয় সোহেল রানা, ইলিয়াস কাঞ্চন, উজ্জ্বল ভাই, আলমগীর ভাই, ফারুক ভাই অসুস্থ, মাসুম বাবুল, সবাই মিলে এবং কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেটা পড়ে শোনাবেন আমাদের সভাপতি মিশা সওদাগর।’

জ্যেষ্ঠদের সঙ্গে পরীমনির সদস্যপদ নিয়ে কথা হয়েছে উল্লেখ করলেও জ্যেষ্ঠ শিল্পী উজ্জ্বল, ইলিয়াস কাঞ্চন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তারা পরীমনির সদস্যপদ সাময়িক স্থগিত করতে বলেননি।

অভিনয়শিল্পী, প্রযোজক, পরিচালক সোহেল রানা স্থগিতের পক্ষে ছিলেন বলে জানিয়েছেন গণমাধ্যমে।

আর অভিনেতা, পরিচালক আলমগীরের সঙ্গে এ বিষয়ে কথাই হয়নি বলে গণমাধ্যমকে জানান তিনি।

জ্যেষ্ঠদের মধ্যে শুধু একজন পরীমনির সদস্যপদ সাময়িক স্থগিতের পক্ষে থাকার পরও কেন সদস্যপদ সাময়িক স্থগিত করা হলো, জানতে চাইলে জায়েদ খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের সিনিয়রদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তার প্রমাণ তারা নিজেরাই দিয়েছেন। তারা আমাদের কী বলেছেন সেটা তারা গণমাধ্যমে জানিয়েছেনও, কিন্তু আমি এসব বিষয় বলতে চাই না।

‘তারা আমাদের যা বলেছেন সেসব কথা নিয়ে আমরা কার্যনির্বাহী পরিষদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্তটা নিয়েছি এবং এটা কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত। এটা কিন্তু সিনিয়রদের সিদ্ধান্ত না।’

জায়েদ আরও বলেন, ‘সিনিয়রদের কাছ থেকে আমরা পরামর্শ নিয়েছি। কিন্তু তাদের কথায় আমরা সিদ্ধান্ত নিইনি, এটা কার্যনির্বাহী পরিষদ নিয়েছে। সিনিয়রদের কথায় যে আমরা সিদ্ধান্ত নেইনি, তার প্রমাণও আপনারা পেয়েছেন। কারণ তাদের দুই-তিনজনের মতামত যা গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে, তার সঙ্গে কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্তের মিল নেই।’

জায়েদ খান তার কথায় জানিয়েছিলেন, পরীমনি ইস্যুতে জ্যেষ্ঠ অভিনেতা, পরিচালক আলমগীরের সঙ্গেও তাদের কথা হয়েছে। অথচ আলমগীর গণমাধ্যমে জানিয়েছেন তার সঙ্গে কোনো কথাই বলা হয়নি পরীমনিকে নিয়ে।

এ ব্যাপারে জায়েদের কাছে জানতে চাইলে জায়েদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা আমাদের উপদেষ্টাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি তো একা সবার সঙ্গে কথা বলিনি, মিশা ভাইও বলেছেন। আলমগীর ভাই শিল্পী সমিতির উপদেষ্টা নন, তারপরও আমরা তার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম; কিন্তু আমাদের কথা হয়নি।’

সংবাদ সম্মেলনে পরীমনির সদস্যপদ সাময়িক স্থগিত করা হলেও তার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন শিল্পী সমিতির নেতারা। তার কিছুই দৃশ্যমান নয় কেন?

জায়েদ বলেন, ‘আমরা এখনও পরীমনির পাশে আছি। আমাদের আইন উপদেষ্টা কাউসার হোসেন প্রতিদিনই কোর্টে যাচ্ছেন। কিন্তু খোঁজখবর নেয়া ছাড়া তার কিছু করার থাকছে না।’

জায়েদ খান আরও বলেন, ‘আমরা এখনও বলছি, পরীমনির কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে আমরা আছি তার পাশে। অর্থ, আইন, উকিল যা লাগে। প্রয়োজনের কথা তো বলতে হবে।’

জায়েদের দাবি, তারা প্রথম থেকেই একই অবস্থানে আছেন, একই রকম কথা বলছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের অবস্থান একই আছে। এখানে কোনো মিথ্যাচার নাই।’

সমিতির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার কারণে পরীমনির সদস্যপদ সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। তিনি যদি নির্দোষ হয়ে ফিরে আসেন, তাহলে তাকে বরণ করে নেয়া হবে। আর দোষী হলে স্থায়ীভাবে সদস্যপদ বাতিল হবে বলে নিউজবাংলাকে জানান জায়েদ খান।

এ বিভাগের আরো খবর