ভারত ও পাকিস্তানের রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ছড়িয়েছে ক্রিকেটের সবুজ ঘাসেও। কয়েক মাস ধরে ২০২১ সালের এশিয়া কাপ নিয়ে জল্পনাকল্পনা শেষে এখন বিষয়টি দাঁড়িয়েছে এমন, ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশই অংশ নিতে চায় না এশিয়ার এই বিশ্বকাপে।
কাহিনির সূত্রপাত ভারত থেকে। আয়োজক হিসেবে ভারতের নাম ঘোষণা দেয়া হলে পাকিস্তানের অংশ নেয়া নিয়ে শঙ্কা শুরু হয়।
অন্যদিকে আইপিএলকে প্রাধান্য দেয়াতে আসরটিই পিছিয়ে যায় আরেক ধাপ। এরপর ভেন্যু ছিল পাকিস্তান। করোনার কারণে সেখানেও স্থগিত হয়ে যায় টুর্নামেন্টটি। শেষে শ্রীলঙ্কাকেই আয়োজক হিসেবে দায়িত্ব দেয় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)।
পাকিস্তান-ভারত দ্বন্দ্ব যাতে খেলার মাঠে না ছড়ায় তাই নিরপেক্ষ ভেন্যুতে দেয়ার পরেও কাহিনি শেষ হচ্ছে না। এবার নতুন ‘ফান্ডা’ যোগ হয়েছে।
জুনে এশিয়া কাপ শুরু হওয়ার কথা। তবে ওই মাসের মাঝামাঝি সময়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলতে পারে ভারত। তাই এশিয়া কাপ ছেড়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে মনোযোগ দিতে চায় বিসিসিআই।
অন্যদিকে পাকিস্তানও ওই একই সময়ে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিসিএল) বাকি অংশ আয়োজন করতে চায়। করোনার কারণে চলমান পিসিএল স্থগিত করতে হয়েছিল। সেই টুর্নামেন্ট আবারও মাঠে নামাতে চাইছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
সম্প্রতি পিসিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজ মালিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে পাকিস্তান। বৈঠকে জুনে খেলা আয়োজনের কথা বলা হয়। সে হিসেবে এশিয়া কাপে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ অনিশ্চিত। বহুজাতিক এই টুর্নামেন্ট থেকে শেষ পর্যন্ত নিজেদের নাম সরিয়ে নিতে পারে ভারত ও পাকিস্তান; না হলে পরের বছর পর্যন্ত পেছাতে পারে আসরটি।