জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারা পৃথিবীতে অনুকরণীয়-অনুসরণীয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান।
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ফারুক খান বলেন, ‘আজকের দিনটির জন্য আমরা ধন্য। কারণ এই দিনটি সারা বিশ্বের নির্যাতিত মানুষের নেতা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন।’
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শতায়ু হলে এ দেশ অনেক আগেই উন্নতির স্বর্ণ শিখরে পৌঁছে যেত।
‘১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট তাকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির পথ অবরুদ্ধ করা হয়েছিল। তারই কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক যুদ্ধের মধ্য দিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।’
আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিলে বলেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। পৃথিবীর মানচিত্রে একটি নতুন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল বলেই বাঙালি জাতি পৃথিবীতে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।
‘পৃথিবীর মানুষ বাঙালি জাতিকে চিনতে ও জানতে পেরেছে। আজকে সেই ঐতিহাসিক দিন। এ দিনে আমাদের প্রত্যাশা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শন নিয়ে বাঙালি জাতি এগিয়ে যাবে।’
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় অর্জন হলো স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। আমরা তারই নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছি।’
এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় রাষ্ট্রপতির পক্ষে সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাউদ্দিন ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমেদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহিদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করেন।
এরপর কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব) মুহাম্মদ ফারুক খানের নেতৃত্বে দলীয় সভাপতির পক্ষে ও পরে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। পরে নেতারা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহিদদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত করেন।
এ সময় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, শাজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সের বকুলতলা চত্বরে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী অনুশা এঞ্জেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শিশু সমাবেশে ভার্চুয়ালি যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শিশুদের উদ্দেশে ভাষণ দেন। পরে তিনি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে নারী ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা শিশুদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মদিনের কেক কাটেন।