রংপুর মহানগরীতে দুটি স্বর্ণের দোকানে চুরি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
বেতপট্রির কালেক্টরেট শপিং কমপ্লেক্সের স্মৃতি জুয়েলার্স ও মডার্ন জুয়েলার্স নামের দোকান দুটিতে শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন।
তবে কী পরিমাণ মালামাল চুরি গেছে, তা নিশ্চিত করেনি পুলিশ।
স্মৃতি জুয়েলার্সের মালিক বাদশা মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার আমরা দোকান করে সবাই রাতে যে যার মতো বাসায় যাই। শনিবার সকাল পৌনে দশটার দিকে দোকান খুলতে যায় কর্মচারী আব্দুর রহমান। আমি পাশের দোকানে চা খাচ্ছিলাম।
‘দোকান খুলেই আব্দুর রহমান দেখে সব জিনিসপত্র এলোমেলো পড়ে আছে। ভল্ট আর ক্যাশ ছিল ভাঙা। ওর চিৎকার শুনে গিয়ে দেখি সবকিছুই নিয়ে গেছে। কিছুই নাই। আমার সব সম্বল শেষ। আমি এখন কী করে খাব।’
দোকানের দেয়ালে দেখা গেছে এমন গর্ত। ছবি: নিউজবাংলা
বাদশার দাবি, দোকান থেকে ৬১ ভরি স্বর্ণ, ১০৫ ভরি রুপা ও ৫০ হাজার টাকা খোয়া গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, স্মৃতি জুয়েলার্সের পাশেই রিয়াজ স্টিল নামে আরেকটি দোকান আছে। ওই দোকানের ওপরের টিন কাটা দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেখান দিয়েই চোর ভেতরে ঢুকেছে। এরপর ওয়াল ভেঙে স্মৃতি জুয়েলার্সে ঢোকে। আবার স্মৃতি জুয়েলার্সের ওয়াল ভেঙে ঢোকে পাশের মডার্ন জুয়েলার্সে।
মডার্ন জুয়েলার্সের মালিক এনামুল হক সোহেল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রথমে বাদশা ভাই দোকান খুলে সব তছনছ দেখেন। সেখানে পুলিশ আসে। এরপর দেখতে পায় তার দোকানের ওয়াল ভেঙে আমার দোকানে চোর ঢুকেছে।
‘আমার সব স্বর্ণ ভল্টে ছিল। ভল্টের বাইরের তালা ভেঙেছে। আমাদের কাছে যে চাবি আছে, সেই চাবি দিয়ে ভল্ট খুলছে না। আমরা এখনও বুঝতে পারছি না, আমাদের দোকানের কিছু লুট হয়েছে কিনা।’
স্মৃতি জুয়েলার্স থেকে ৬১ ভরি স্বর্ণ খোয়া গেছে বলে মালিক দাবি করেছেন। ছবি: নিউজবাংলা
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন মেট্রোপলিটন পুলিশের ক্রাইম ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
উপপুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করছি। অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।’