আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনের জন্য সড়ক অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে অবস্থানসহ আরও কর্মসূচি নিয়েছেন তারা।
রোববার সকালে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর এ কথা জানান আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অমিত হাসান রক্তিম।
তিনি বলেন, ‘রোববার ও সোমবার দুইদিন সড়ক অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করেছি আমরা। সোমবার বিক্ষোভ মিছিল, পোস্টার প্রেজেন্টেশন ও মশাল প্রজ্বালন করব। তবে মঙ্গলবার থেকে আবারও সড়ক অবরোধে যাব।’
তিন দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা অনড় অবস্থানে থাকবেন বলেও জানান তিনি।
তাদের তিনটি দাবি হলো- চিহ্নিত হামলাকারীদের মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা, তাদের গ্রেপ্তার করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
পরে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীরা গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান।
অবস্থান কর্মসূচির পর শিক্ষার্থীরা ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে ববি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল
অন্যদিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দু্ই পরিবহন শ্রমিককে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বরিশাল রূপতলী পরিবহন শ্রমিকরা মুক্তির দাবিতে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ রুটে বাস চলাচল বন্ধ রেখে ধর্মঘট শুরু করেন। রোববার তাদের কর্মসূচিও স্থগিত আছে।
বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওসার হোসেন শিপন জানান, গ্রেপ্তার শ্রমিকদের মুক্তি দেয়া না হলে মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সাময়িকভাবে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হলেও ছুটি শেষে সোমবার থেকে আবারও অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট দেয়া হবে।
গত মঙ্গলবার নগরীর রূপাতলী এলাকায় মেসে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ মামলায় শুক্রবার রাতে রূপাতলী বাস টার্মিনাল থেকে সাউথ বেঙ্গল পরিবহনের হেলপার মো. ফিরোজ মুন্সী ও এমকে পরিবহনের সুপারভাইজার আবুল বাশার রনিকে গ্রেপ্তার করা হয়।