চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ হোসেন হত্যা মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ছবি তুলতে গিয়ে লাঞ্ছিত হয়েছেন কয়েকজন সংবাদকর্মী।
রোববার সকালে চট্টগ্রামের বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের সামনে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নেজামুদ্দিনের সমর্থকরা এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে সংবাদকর্মীরা অভিযোগ করেছেন।
লাঞ্ছিত সাংবাদিকরা হলেন- বেসরকারি যমুনা টিভির জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হোসাইন জিয়াদ, সময় টিভির জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক পার্থ প্রতিম বিশ্বাস, ডিবিসি নিউজের রিপোর্টার শহীদুল সুমন, অনলাইন নিউজপোর্টাল জাগো নিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক আবু আজাদ, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ক্যামেরাপারসন আবু জাহেদ, দীপ্ত টিভির ক্যামেরাপারসন সায়মন আল মুরাদ, চ্যানেল আইয়ের ক্যামেরাপারসন মো. নবাব, ডিবিসি নিউজের ক্যামেরাপারসন পারভেজ, একাত্তর টিভির ক্যামেরাপারসন জহির, সময় টিভির ক্যামেরাপারসন আতিক।
জাগো নিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক আবু আজাদ জানান, রোববার আমজাদ হোসেন হত্যা মামলার আসামিদের পুলিশ ভ্যানে করে আদালতে নিয়ে আসা হয়। তাদের গাড়ি থেকে নামানোর পর পুলিশসহ আসামিদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেন আসামি নেজামুদ্দিনের সমর্থকরা। তখন ছবি ও ভিডিও করতে গেলে তারা সাংবাদিকদের দিকে তেড়ে এসে ছবি তুলতে বাধা দেন। ক্যামেরা-মোবাইল কেড়ে নেয়ার চেষ্টা চালান।
তিনি বলেন, ‘আসামিদের আদালতের তৃতীয় তলায় নেয়ায় সময় পুলিশের সামনেই সাংবাদিক, আইনজীবী ও জনতাকে লাঞ্ছিত করে নেজামুদ্দিনের সমর্থকরা। এ সময় আমি দ্বিতীয় তলায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। তারা শারীরিকভাবে হেনস্তার পাশাপাশি তারা আমার মোবাইল কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে।’
২০ মিনিটের মতো অবরুদ্ধ করে রাখার পর অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে সাংবাদিকদের সরিয়ে নেয়।
জানতে চাইলে নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি জোন) নোবেল চাকমা বলেন, ‘আজ বড় একটি মামলার রায় ছিল। বিষয়টি দেখার কথা জেলা পুলিশের, কিন্তু তাদের কোনো কর্মকর্তা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। সাংবাদিকদের নাজেহাল হওয়ার খবর পেয়ে আমরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
রোববার সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ হত্যা মামলার রায় দেয়। রায়ে নিজামুদ্দিনসহ ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। রায়ে চার জনকে খালাস দেয়া হয়েছে।