ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় বৃহস্পতিবার গভীররাতে তাসলিমা আক্তার (২৮) নামে এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে শ্বশুরবাড়িতে।
তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলছেন, স্ট্রোকে মারা গেছেন তাসলিমা। তবে তার স্বজনরা বলছেন, মরদেহ দাফনের আগে গোসলের সময় গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাই তাসলিমার স্বামী এবং শ্বশুর-শাশুড়িসহ চার জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন তার ভাই মোস্তাকিম।
মামলায় শুক্রবার দুপুরে তাসলিমার শাশুড়ি নুরুন নাহারকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে ঈশ্বরগঞ্জ ইউনিয়নের চরপুবাইল গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে মারা যান তাসলিমা আক্তার। শুক্রবার দুপুরে ওই বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত তাসলিমা উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের আবদুস সালামের মেয়ে।
পুলিশ জানায়, চরপুবাইল গ্রামের অলুম উদ্দিনের ছেলে সোহেল মিয়ার (৩০) সঙ্গে সাত বছর আগে বিয়ে হয় তাসলিমার। তাদের এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে তাসলিমা অসুস্থ বলে তার বাবার বাড়িতে খবর দেয়া হয়।
দ্রুত না গেলে পরিবারের লোকজন তাকে জীবিত অবস্থায় দেখতে পারবে না বলেও জানানো হয়। রাতেই স্বজনরা তাসলিমাকে দেখতে যান। তার আগেই তার মৃত্যু হয়। শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাদের জানান, স্ট্রোকে মারা গেছেন তাসলিমা।
শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে জানাজার প্রস্তুতি শুরু হয়। মরদেহ গোসলের সময় তাসলিমার চাচী বেদেনা খাতুন তার গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। বিষয়টি জানাজানি হলে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান তাসলিমার স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে তাসলিমার বাবার বাড়ির স্বজনরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
প্রতিবেশীরা জানান, বিয়ের পর থেকে নানা কারণে তাসলিমাকে নির্যাতন করতেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, নিহতের ভাই মোস্তাকিম শুক্রবার বিকালে চার জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় তাসলিমার শাশুড়িতে গ্রেফতার করা হয়েছে।