বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নাসিক নির্বাচনের হিসাব-নিকাশ

  • এরশাদুল আলম প্রিন্স   
  • ১৫ জানুয়ারি, ২০২২ ১৪:৪৭

ভোটের দিন সকাল পর্যন্ত এমনকি ভোট প্রদান শেষ না হওয়া পর্যন্তও চলে ভোটের হিসাব-নিকাশ। রাজনীতিকদের হিসাব-নিকাশ আর জনগণের হিসাব-নিকাশ যার পক্ষে যায়, শেষ হাসি তিনিই হাসেন। নাসিক নির্বাচনে শেষ হাসি কে হাসবেন সেটা শুধু নাসিকবাসী নয়, পুরো দেশবাসীই দেখার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। বিজয়ী যিনিই হোন না কেন, মূল বিজয়টি যেন গণতন্ত্রেরই হয়।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ভোট নিয়ে জল্পনা-কল্পনা ততই বাড়ছে। নাসিক নির্বাচনে পাওয়া যাচ্ছে জাতীয় নির্বাচনের আমেজ।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী। ২০১১ সালে শেখ হাসিনা তাকে মনোনয়ন দেননি। দিয়েছিলেন শামীম ওসমানকে। সেবার স্বতন্ত্র প্রার্থী আইভী ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৮০ হাজার। আর শামীম ওসমান পেয়েছিলেন ৮০ হাজার। সরকারদলীয় প্রার্থীর চেয়ে ১ লাখ ভোট বেশি পেয়েছিলেন আইভী। আইভী ২০১১ সালে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন। তাই, পরবর্তী সময়ে নেত্রীও তাকে কাছে টেনে নিয়েছেন। নিয়েছেন তার প্রমাণ পরবর্তী নির্বাচনে আইভীর হাতেই নৌকা তুলে দেয়া।

২০১১ সালে নাসিক নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন তৈমূর আলম খন্দকার। কিন্তু ভোটের আগের রাতে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন। তখন তৈমূরের কিছু ভোট আইভীর বাক্সে পড়ায় শামীমের চেয়ে তিনি এখানেও এগিয়ে যান। এছাড়া আওয়ামী লীগের শামীমবিরোধী ভোট ও সাধারণ ভোটও আইভীর বাক্সে পড়ায় তিনি সহজেই জয়ী হন।

২০১৬ সালে শামীম প্রার্থী ছিলেন না। আওয়ামী লীগের পুরো ভোটই আইভীর পাওয়ার কথা। নারায়ণগঞ্জে ভোটের রাজনীতিতে দুটি ধারা বিদ্যমান। একটি অংশের নেতৃত্বে আছেন শামীম ওসমান। আরেকটি অংশের নেতৃত্বে আছেন সেলিনা হায়াৎ আইভী।

২০১৬-তে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন শাখাওয়াত হোসেন। তিনি বিজয়ী হতে পারেননি কিন্তু শেষপর্যন্ত নির্বাচনে ছিলেন। ভোট পেয়েছিলেন ৯৬ হাজার। আর আইভী পেয়েছেন ১ লাখ ৭৫ হাজার। তখন শামীম নির্বাচনে না থাকায় তার ভোট বিভক্ত হয়ে কিছু গিয়েছে আইভীর বাক্সে আর বাকি শাখাওয়াতের বাক্সে।

সম্প্রতি শামীম ওসমান সংবাদ সম্মেলন করে আইভীকে সমর্থন করার কথা বলেছেন। কিন্তু সংবাদ সম্মেলন করা মানে শামীমের সব আইভী পাওয়া নয়। একই দলের দুই নেতা কখনই একজন আরেকজনকে একনিষ্ঠ সমর্থন করেন না। যদি তাই হতো তবে শামীমকে ম্যানেজ করার জন্য কেন্দ্র থেকে নানককে পাঠাতে হতো না।

একটি বড় দলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে ইউপি নির্বাচনেও আমরা দলীয় প্রার্থী ও নেতাদের মধ্যে ভোটের মাঠে টানাপোড়েন দেখি। এই টানাপোড়েনের মধ্যে সাধারণত বিরোধীপক্ষই সুবিধা নেয়।

এবারের ইউপি নির্বাচন তারই প্রকৃষ্ট উদাহরণ। ইউপি নির্বাচনে মনোনীতদের বিদ্রোহী প্রার্থীরা সেভাবে সমর্থন না দেয়ায় আওয়ামীবিরোধী প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বেশি জয়ী হয়েছে। ইউপিতে আওয়ামী লীগ কৌশলগত কারণেই এবার বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় দেখা যাচ্ছে, এবারের নির্বাচনে ২০১৬ সালেরই পুনরাবৃত্তি হওয়ার কথা। কারণ, ২০১৬ সালে শামীম ওসমান প্রার্থী ছিলেন না। এবারও তিনি নেই। বিএনপি সেবার মাঠে ছিল, এবারও আছে। বিএনপির শাখাওয়াতের চেয়ে তৈমূর হয়তো আরও জনপ্রিয়। তবে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে তৈমূর শাখাওয়াতের চেয়ে বেশি ভোট (৯৬ হাজারের চেয়ে বেশি) পাবেন কি না তা নিশ্চিত করে বলা যায় না।

শামীম প্রকাশ্যে সংবাদ সম্মেলন করে যদিও নেতাকর্মীদের আইভীর পক্ষে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন, তবে গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী তার নেতাকর্মীদের সেভাবে আইভীর পক্ষে মাঠে দেখা যায়নি। শামীমের সংবাদ সম্মেলনের পরে আইভী যদিও শামীমের সমালোচনায় অতটা সরব নন, কিন্তু তারপরও তিনি অভিযোগ করেছেন যে, নেতাকর্মীরা সেভাবে মাঠে নেই।

২০১৬ সালে শামীমের ভোট তার প্রার্থিতার অনুপস্থিতিতে বিভক্ত হয়েছে, সেটাই স্বাভাবিক। এবারও যদি সে রকম হয় সেক্ষেত্রেও আইভীর পাল্লাই ভারী হওয়ার কথা। ২০১৬ সালেও তাই হয়েছিল। জনপ্রিয়তার কারণে তৈমূর শাখাওয়াতের চেয়ে বেশি ভোট পেলে ভোটের ব্যবধান কিছুটা কমতে পারে, কিন্তু তাতে জয়-পরাজয়ের ফলাফল ভিন্ন হওয়ার কথা নয়। কারণ, ২০১১ ও ২০১৬ সালে উভয় নির্বাচনেই আইভী ৮০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন। তাই হাতির জোয়ার হলেও তাতে নৌকার গতি কিছু কমার কথা নয়।

শামীম ওসমান সংবাদ সম্মেলন করে নৌকাকে সমর্থনের কথা বললেও তার সমর্থকরা সেভাবে মাঠে নেই যা আগেই বলা হয়েছে। উপরন্তু আইভী অভিযোগ করেছেন যে, ‘আমাকে পরাজিত করার জন্য অনেক পক্ষ এক হয়ে গেছে। পক্ষগুলো ঘরের হতে পারে, বাইরেরও হতে পারে। সবাই মিলেমিশে চেষ্টা করছে কীভাবে আমাকে পরাজিত করা যায়।’ তার অভিযোগের তির মূলত শামীমের দিকে। অভিযোগ সত্য-মিথ্যা প্রমাণসাপেক্ষ। তবে, তাকে পরাজিত করতে হলে সব পক্ষেরই এক হতে হবে বলেই মনে হয়।

সব পক্ষ মানে মূলত শামীম ও তৈমূর। কিন্তু শামীম আইভীকে হারাতে চাইলেও যে তার সব ভোট নৌকার বিপক্ষে (আইভীর বিপক্ষে) যাবে বিষয়টি সেরকম নয়। কারণ, শামীমের সব নৌকাসমর্থক হাতিকে ভোট দিতে যাবে না। তারা হয়তো নৌকায় বা আইভীকে ভোটদানে বিরত থাকতে পারে। কিন্তু তারা সবাই হাতিকে ভোট দিতে যাবে না। সেক্ষেত্রে আইভীর ভোট কিছু কমলেও হাতির ভোট বাড়বে না।

আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ সমর্থকরা যা-ই হোক না কেন নৌকার গলুইতেই আশ্রয় নেবে, তাও হাতির পিঠে চড়বেন না। একইভাবে ধানের শীষের একনিষ্ঠ সমর্থকরা হাতির পিঠে না উঠলেও নৌকায় চড়বে না। তবে নৌকা ও ধানের শীষের একনিষ্ঠ সমর্থকদের বাইরেও অনেক ভোটার আছেন যাদেরকে আমরা বলি ফ্লোটিং ভোটার। যেকোনো নির্বাচনের ফলাফলে এই ফ্লোটিং ভোটারই বড় ফ্যাক্টর। নাসিক নির্বাচনেও তার ব্যতিক্রম হবে না।

ফ্লোটিং ভোটারের সঙ্গে যোগ হয়েছে নতুন ভোটার। জয়-পরাজয়ে এদেরও রয়েছে বড় ভূমিকা। এছাড়া নারী ভোটাররা হয়তো আইভীকেই বেছে নেবে। নতুন ভোটাররা রাজনীতিবিমুখ তবে রাজনীতিতে অজ্ঞ নয়। তারা সবকিছু বুঝেশুনেই ভোট দেবে।

একটি নির্বাচনে ভোটাররা অনেক কিছু বিবেচনা করে ভোট দেয়। কেউ কেউ প্রার্থীর যোগ্যতা-অযোগ্যতা বিবেচনা করে আবার কেউবা বিবেচনা করে প্রতীক। এছাড়া ব্যক্তি-ইমেজও বিবেচ্য।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরেও নারায়ণগঞ্জে জাতীয় পার্টিও একটি ফ্যাক্টর। সেলিম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ ও সেই সঙ্গে ওসমান পরিবারের সদস্য ও শামীম ওসমানের বড় ভাই। নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে শুধু শামীম ওসমানই গুরুত্বপূর্ণ নন, ওসমান পরিবারও গুরুত্বপূর্ণ। নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ওসমান পরিবার ও চুনকা পরিবার দুটোই গুরুত্বপূর্ণ।

নাসিম, সেলিম ও শামীম ওসমানের দাদা এম ওসমান আলী আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আর তাদের বাবা একেএম শামসুজ্জোহা বাংলাদেশের প্রথম সংসদের সদস্য। শামীম ওসমান নিজে ১৯৯৬ সাল থেকে সংসদ সদস্য। আর আইভীর বাবা আলী আহাম্মদ চুনকা স্বাধীনতার পর থেকে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার প্রথম চেয়্যারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। স্থানীয় রাজনীতিতে আইভী তারই উত্তরাধিকার। কাজেই নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে দুই পরিবারই গুরুত্বপূর্ণ।

এদিকে তৈমূর আলম খন্দকারের রাজনীতি শুরু আইভীর বাবা আলী আহাম্মদ চুনকার হাত ধরে। আইভী তৈমূরকে চাচা বলেই সম্মোধন করেন।

কাজেই নাসিকের লড়াইটা প্রকাশ্যে যদিও চাচা-ভাতিজির লড়াই। কিন্তু পর্দার অন্তরালে চলমান ভাই-বোনের (শামীম আইভীকে বোন বলেই সম্মোধন করেন) লড়াইয়ের ফলাফলের ওপরই নির্ভর করে চাচা-ভাতিজির লড়াইয়ের ফলাফল। তাই এ লড়াইয়ে ওসমান পরিবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর।

দলীয় কারণে শামীম ওসমান প্রত্যক্ষভাবে আইভীর বিপক্ষে যেতে না পারলেও সেলিম ওসমানের সে সমস্যা নেই। আর জাতীয় পার্টি (জাপা) যদিও জোটবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিন্তু সেটা কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে। মাঠের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের চেয়ে বিএনপির কাছাকাছি অবস্থান করে। সে হিসেবে ওসমান পরিবারের সমর্থনের একটি অংশ তৈমূরের পক্ষেই যাওয়ার কথা।

সেলিম তৈমূরের পক্ষে না গেলেও জাপার সমর্থন যে নৌকায় যাবে না তা মাঠের প্রচারণায়ও স্পষ্ট। জাপার মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা তৈমূরের সঙ্গেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সেলিম ওসমান প্রকাশ্যভাবে তৈমূরকে সমর্থন না দিলেও তার নীরব সমর্থন রয়েছে। সেটাও যদি না হয়, অন্তত সেলিমের প্রকাশ্য সমর্থন যে আইভীর জন্য নেই, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে সেলিম প্রকাশ্যভাবে আইভীর বিরোধিতা করবেন বলে মনে হয় না।

জোটের রাজনীতির কারণেই তিনি আওয়ামী লীগের কাছেও দায়বদ্ধ। এছাড়া আগামী নির্বাচনে আসন ভাগাভাগির প্রশ্নেও সেলিম ওসমান জোটের প্রধান শরিক আওয়ামী লীগের পছন্দকে অবজ্ঞা করবেন না। প্রশ্ন আসতে পারে, আগামী নির্বাচনে জাপা যে আওয়ামী লীগের সঙ্গেই জোট করবে সেটিতো নিশ্চিত না। ঠিক একই কারণে তিনি বিএনপির তৈমূরেরও বিরোধিতা করবেন না, জোট বিএনপির সঙ্গেও হতে পারে।

মূল কথা, ওসমান পরিববার কৌশলগত কারণেই আইভীর প্রকাশ্য বিরোধিতা করছে না। অথবা বলা যায়, অন্তরালে আইভীর বিরোধিতা করলেও প্রকাশ্যে নৌকারই সমর্থন করছেন। কৌশল হিসেবে এটি মন্দ নয়। কারণ, হারলে আইভী হারবেন, জিতলে নৌকা জিতবে-শামীম ওসমান এ কৌশলেই এগোচ্ছেন। সে কারণেই তার মাঠকর্মীরা ‘আইভী আইভী’ না করে ‘নৌকা নৌকা’ করছে।

এ নির্বাচনে আইভীকে ডুবিয়ে কি নৌকা ভাসিয়ে রাখা যাবে? বাহ্যিক দৃষ্টিতে আইভীর ভরাডুবিতে শামীমের লাভ হলেও নৌকা ডুবিয়ে শেষমেষ তার ভেসে থাকাও কঠিন হতে পারে। শামীম ওসমান অন্তত সেটা চাইবেন না। আর দুই ভাই দুই দলের হলেও তাদের পারিবারিক বন্ধন অত্যন্ত মজবুত। হাতিকে জেতাতে বা আইভীকে হারাতে সেলিম ওসমানও ভাইকে ডোবাবেন না। নৌকা ভাসলে ভাসবে সবাই। সে কারণেই দুভাই আইভীকেই নীরব সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন।

দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা পরপর দুবার আইভীকে মনোনয়ন দিয়েছেন। এবার তিনি শুধু মনোনয়নই দেননি আইভীর জন্য নানককে পাঠিয়ে নারায়ণগঞ্জে আইভী বিরোধিতার অবসান চেয়েছেন। সবাইকে বিরোধিতা পরিহার করে আইভীর জন্যই কাজ করতে বলেছেন। শেখ হাসিনা নানককে ফোন করে জিজ্ঞেস করেছেন, ‘আমার আইভীর কী খবর?’ কাজেই আইভীর ভালো খবরের জন্য স্থানীয় সব নেতাকর্মীকেই যে কাজ করতে হবে শেখ হাসিনা সে বার্তাটি পরিষ্কার করেই বলেছেন। শামীম ওসমান বা স্থানীয় নেতাকর্মীরা নিশ্চয় শেখ হাসিনার আইভীর ভালো খবরের জন্যই কাজ করবে।

সব কথার শেষ কথা- রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। ভোটের দিন সকাল পর্যন্ত এমনকি ভোট প্রদান শেষ না হওয়া পর্যন্তও চলে ভোটের হিসাব-নিকাশ। রাজনীতিকদের হিসাব-নিকাশ আর জনগণের হিসাব-নিকাশ যার পক্ষে যায়, শেষ হাসি তিনিই হাসেন। নাসিক নির্বাচনে শেষ হাসি কে হাসবেন সেটা শুধু নাসিকবাসী নয়, পুরো দেশবাসীই দেখার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। বিজয়ী যিনিই হোন না কেন, মূল বিজয়টি যেন গণতন্ত্রেরই হয়। সেটি সম্ভব শুধু একটি সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে।

লেখক: আইনজীবী ও কলাম লেখক

এ বিভাগের আরো খবর