বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আলোকিত বাংলাদেশের প্রত্যাশা

  • দীপংকর গৌতম   
  • ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৪:২৩

আমাদের গণতান্ত্রিক চেতনার মূল পরিচায়ক হচ্ছে নির্বাচন। এই নির্বাচন একসময় ছিল উৎসবমুখর। এই সেদিন গ্রামগঞ্জে কবিয়ালরা নির্বাচন নিয়ে প্রার্থীর পক্ষে গান বাঁধত। মাইকের প্রচারণায় কান ঝালাপালা হয়ে যেত। বাড়ি বাড়ি যেত প্রার্থীরা। হাটবাজার থাকত উৎসবমুখর। প্রতীক যে যেমন পেত সেটাই নিত। তখন নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী গোলমাল করত না তা নয়। তবে তা ছিল সহনীয় পর্যায়ে ও মীমাংসাযোগ্য। কিন্তু এখন দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার কারণে সবারই নেশা ক্ষমতা আর আধিপত্য বিস্তারের।

শীত বাড়ছে। পরিযায়ী পাখির ডানায় সকাল হয়, বিকেল হয়। ঘনিয়ে এসেছে দিন বদলের প্রহর। আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে আরও একটি বছর। পাতা ঝরছে। প্রকৃতির সমান্তরালে জীবনের এই ঝরে পড়া নিত্যদিনের কথা। দিন বদলে গেলেও সবদিন ভোলার নয়। গত ও চলতি বছর করোনা, অর্থনৈতিক সংকট ছিল মূল বিষয়। সরকার করোনা নিয়ন্ত্রণে তৎপর ছিল বিধায় ইউরোপ-আমেরিকার মতো আমাদের দেশে মৃত্যু ছড়ায়নি। তবু যা হয়েছে তাও কম নয়। এ সময় যেসব জীবনকে হারিয়েছি তার ক্ষতিপূরণ সম্ভব নয়।

আবার চোখ রাঙাচ্ছে করোনার আরেক ধরন ওমিক্রন। আমরা সামনে কেমন থাকব কতোটা ভালো থাকব এটা একটা বিষয়। এ বিষয় মাথায় রেখেই নতুন বর্ষকে বরণ করতে হবে। তবে কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের ভাবা দরকার। সেই বিষয়গুলো একটু ছুঁয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি মাত্র।

আমাদের গণতান্ত্রিক চেতনার মূল পরিচায়ক হচ্ছে নির্বাচন। এই নির্বাচন একসময় ছিল উৎসবমুখর। এই সেদিন গ্রামগঞ্জে কবিয়ালরা নির্বাচন নিয়ে প্রার্থীর পক্ষে গান বাঁধত। মাইকের প্রচারণায় কান ঝালাপালা হয়ে যেত। বাড়ি বাড়ি যেত প্রার্থীরা। হাটবাজার থাকত উৎসবমুখর। প্রতীক যে যেমন পেত সেটাই নিত। তখন নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী গোলমাল করত না তা নয়। তবে তা ছিল সহনীয় পর্যায়ে ও মীমাংসাযোগ্য। কিন্তু এখন দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার কারণে সবারই নেশা ক্ষমতা আর আধিপত্য বিস্তারের।

সরকার দলের সিল থাকলে যেটা সহজ হয়। এখন প্রচুর টাকা খরচ হয়। আয়ও হয় অনেক টাকা। কারণ জননীতি বলতে এখন কিছু আছে বলে মনে হয় না। তাই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ভয়াবহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দফায় দফায় বাড়ছে সহিংসতা। সেসাথে বাড়ছে প্রাণহানির সংখ্যা। এ বছর জুন থেকে শুরু হওয়া ইউপি নির্বাচনের এরই মধ্যে তৃতীয় ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনি সহিংসতায় নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে ৯২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আর ডিসেম্বর পর্যন্ত আরও ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ৪র্থ ধাপের নির্বাচনসহ এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে সারা দেশে অন্তত ৯৭ জন নিহত হয়েছেন।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্যমতে, জানুয়ারি থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় অনুষ্ঠিত ইউপি, উপজেলা, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৪৬৯টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। তাতে আহত হয়েছেন ৬ হাজার ৪৮ জন এবং নিহত হয়েছেন ৮৫ জন। নিহতদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ৪১, বিএনপির ২, সাধারণ মানুষ ২২, পুলিশের গুলিতে ১৫ এবং ১ জন সাংবাদিক মারা গেছেন। বেশিরভাগ সংঘাত ও সহিংসতার ঘটনা আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর সমর্থক ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হয়েছে। দেখার বিষয়, নির্বাচনি মাঠে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নেই। এ নির্বাচনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার হিড়িক চলছে। এ ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনকে নির্বাচন বলা যায় না। এ অর্থহীন নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের মধ্যে হানাহানি মারামারিতে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটছে।

এতে নির্বাচনি ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থাহীনতা বাড়ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ও উদ্বেগের বিষয়। আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব ইচ্ছা করলে এ সহিংসতা বন্ধ করতে পারত। কারণ দুপক্ষই তাদের দলের। কিন্তু নেতৃত্বের, আইনশৃঙ্খলাবাহিনী, নির্বাচন কমিশন কারো তৎপরতাই চোখে পড়ার মতো ছিল না। সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ এ নির্বাচনে চোখে পড়ার মতো এখনও নয়। তারপরও ইউপি নির্বচনের মতো একটি উৎসবমুখর নির্বাচনে যাতে আর স্বজনের বিলাপ শুনতে না হয় সেটা করার পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।দুই.চলছে শীতকাল। এসময় মাঠে থরে থরে শিশির ভেজা সবজি দেখলে কার না লোভ জাগে!। কিন্তু বাজারে সবজির দাম চড়া, চড়া চালের দামও। ভরা মৌসুমে কেন সব সাধারণ মানুষের কেনা-বেচার জন্য হিসাবের বাইরে চলে যাচ্ছে সেটা বোধগম্য নয়। করোনার পর থেকেই সাধারণ মানুষ অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল। কিন্তু এ সময় সিন্ডিকেট করে সব জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোনো কিছু নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে বলে মনে হয় না। যার যেমন ইচ্ছে দাম হাঁকলেই হলো। সক্রিয় সিন্ডিকেট। এই সিণ্ডিকেট কোথাও ভাঙা যাচ্ছে না। কেন যাচ্ছে না?

সিন্ডিকেট যারা করে তাদের হাত কি অনেক বড়? শীতকালের ভরা মৌসুমেও চড়া যাচ্ছে সবজির বাজার। সাম্প্রতিক এক নীরিক্ষায় দেখা গেছে, বগুড়ার কৃষক ২০ টাকা দরে যে কাঁচামরিচ বিক্রি করছেন, ঢাকার মানুষ তা কিনছেন ৮০ টাকায়। একইভাবে নাটোরে ১৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা শিম ঢাকায় বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। ১৫ টাকার ফুলকপি প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। উৎপাদকের হাত থেকে ভোক্তার কাছে আসতে আসতেই দাম বেড়ে যায় তিন থেকে চার গুণ। বার বার হাতবদল, অতিরিক্ত মুনাফার প্রবণতা, পথে পথে চাঁদাবাজি, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার অজুহাত এবং বাজারে যথাযথ নজরদারির অভাবে বেড়েছে সবজির দাম।

গ্রামের সবজি রাজধানীতে ভোক্তার ঘরে যেতে কৃষকের পর অন্তত চারটি হাত ঘোরে। কৃষকের ক্ষেতের সবজি প্রথম যায় পাইকারি ব্যবসায়ীর হাতে। এরপর যায় ঢাকার আড়তে, তারপর ছোট পাইকারি ব্যবসায়ী, এরপর খুচরা বিক্রেতা এবং সবশেষে ভোক্তার কাছে। প্রতিটি হাত বা স্তরে বাড়তি ব্যয় ও দাম যুক্ত হতে থাকে। বগুড়ার মহাস্থানগড় ও নাটোরের হয়বতপুর পাইকারি সবজির হাট থেকে প্রতিদিন কাঁচামরিচ, শিম, ফুলকপিসহ অন্যান্য সবজি ঢাকার কারওয়ান বাজারে আসে।

সম্প্রতি বগুড়ার মহাস্থানগড় হাটে কাঁচামরিচ মানভেদে ১৮-২০, শিম ২০-২৫ ও ফুলকপি ২৫-৩০ টাকা কেজি (ঢাকায় পিস হিসেবে বিক্রি হয়, আকারভেদে ফুলকপি আধা কেজি থেকে এক কেজির বেশি ওজনেরও হয়ে থাকে) দরে কিনছেন পাইকাররা। আর আমাদের হাতে আসতে আসতে দাম দেড়গুণ বা দ্বিগুণ হয়ে যায়। এখন বাজারের কফি ৪০, শিম ৫০ ও মরিচ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকার মহল্লার কাঁচাবাজারে সেই শিম ৬০ টাকা ও মরিচ ১০০ টাকা হয়ে যায়। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ‘নানা রকম’ খরচের কারণে দাম বেড়ে যায় তার মানে কৃষক দাম পায় না। কৃষক যে দামে পণ্য বিক্রি করে তাতে তার লাভ খুব হয় এমন না। বেশির ভাগ সময় লোকসান গুণতে হয়। কিন্তু নানারকম খরচ করতে যেটা বোঝা যায়, সেটা চাঁদাবাজির বিষয়টিই বোঝানো হচ্ছে।

নির্বিঘ্নে ব্যবসা করতে হলে পুলিশ ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিনিধিকে নিয়মিত চাঁদা দিতে হয়। সেই খরচও যুক্ত হয় সবজির দামে। তার মানে রাজনৈতিক নেতা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে মধ্যস্বত্ত্বভোগীরা লাভবান হয়। আর কৃষক ঠকে, ঠকে সাধারণ ক্রেতা। এটাও সিন্ডিকেটেরে কাজ। সিণ্ডিকেট না ভাঙলে সাধারণ কৃষক পথে বসবে আর কোটিপতি হবে মধ্যস্বত্বভোগী। আগামী বছরে আর সিন্ডিকেট শব্দ যাতে না শুনি- সে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।৩. একটি বুর্জোয়া সমাজের নিয়মই রাষ্ট্র সবসময় ধনিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাবশালী গোষ্ঠীর পক্ষে থাকে। ধনিক শ্রেণির সুরক্ষা দিতেই বুর্জোয়া রাষ্ট্রের গঠন প্রক্রিয়া চলে। কিন্তু আমরা নয় মাস যুদ্ধ করে জয়ী হওয়া একটি দেশ। আমাদের এমন ভাবনা ভাবার কথা ছিল না। আমাদের নদীমাতৃক দেশ। জালের মতো ছড়ানো নদী সারা দেশে। সাধারণ মানুষের সময় সাশ্রয় হয়, কারণ রাতে ঘুমিয়ে সে ঢাকায় এসে কাজ করে আবার রাতে ফিরে সকালে যথারীতি কাজ করতে পারে। ভাড়া কম- পণ্য পরিবহনের নদীপথ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

নৌপথ তাই জনজীবন থেকে অর্থনৈতিক জীবনে বিশাল অবদান রাখে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক দুর্ঘটনায় নৌপথ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। গত শুক্রবার ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চে সংঘটিত ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন বলে স্বজনরা দাবি করছেন। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বাংলাদেশের নৌ-ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

দেশে নৌ-দুর্ঘটনা নিয়মিত একটি বিষয়ে রূপ নিয়েছে। প্রতি বছরই এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। নিয়মিত মামলা হয়। কিন্তু মামলাগুলো নিষ্পত্তির রেকর্ড খুব একটা নেই। কোনো কোনো তদন্ত কমিটি এ ধরনের ঘটনা এড়াতে কিছু সুপারিশও পেশ করে। কিন্তু পরে তা আর খুব একটা বাস্তবায়ন হয় না। নৌপথে কেন এমন সব মর্মান্তিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে? এ প্রশ্নে নৌ বিশেষজ্ঞ ও খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন, নৌযানের ফিটনেস না থাকা, খারাপ আবহাওয়া এবং অদক্ষ চালকের কারণে বার বার নৌ-দুর্ঘটনা ঘটছে। গত ৯ বছরের মধ্যে চলতি সালে সবচেয়ে বেশি ৩৯টি নৌযান দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে সরকারি হিসাবেই মারা গেছেন ১৪০ জন। বেসরকারি হিসাবে সংখ্যা আরও বেশি।

এছাড়া নিখোঁজ হয়েছেন অর্ধশতাধিক। এ সময়ে কমেছে নৌ-দুর্ঘটনায় দায়ের মামলা নিষ্পত্তির হার। বাংলাদেশ নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরে দেশের একমাত্র নৌ-আদালতে গত ১৮ বছরে দুর্ঘটনাজনিত ২৫২টি মামলা হয়েছে। এ সময়ে নিষ্পত্তি হয়েছে ১০৬টির। এর মধ্যে ৮৮টিতে সাজা হয়েছে এবং ১৮ মামলায় অব্যাহতি পেয়েছেন আসামিরা। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, দুর্ঘটনায় মানুষের প্রাণহানির পর জড়িতরা অল্প সাজাতেই পার পেয়ে যান। অনেক ক্ষেত্রে শুধু আর্থিক দণ্ড দেয়া হয়। এর অন্যতম কারণ আইনে কঠোর সাজার বিধান নেই। অন্যদিকে মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতা, সাক্ষীর অনুপস্থিতি, তদন্ত প্রতিবেদনের ত্রুটি, ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে আপসসহ আরও কিছু কারণে পার পেয়ে যায় দায়ীরা।

সব মিলিয়ে নৌপথ ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। সব জায়গা যদি মানুষের আওতার বাইরে চলে যায় তাহলে মানুষ যাবে কোথায়? সড়ক এবং জলপথের দুর্ঘটনা সমান হয়ে যাচ্ছে। কারণ অদক্ষতা, পরিহনের অক্ষমতা, সরকার নির্ধারিত কোনো কিছুই পরিবহনে নেই। জাহাজের মতো লঞ্চ; তাতে টাইলস বসানো, দামি সোফা, লিফট আছে- শানসৈকতের অভাব নেই। শুধু অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র নেই- বয়া বাঁধা থাকে যা সহজে খোলা যায় না, লাইফ জ্যাকেট থাকে না। যার দাম সেফা টাইলস বা লিফটের চেয়ে খুবই কম। দুর্ঘটনায় বিচারে দায়ীদের শাস্তি হয় কম।

জীবনের গুরুত্বটাই কম। এটা কোনো স্বাভাবিক বিষয় নয়। এই অব্যবস্থার পরিবর্তন দরকার, দরকার আইনের সংশোধন। মানুষ যাতে সবকিছুতে আস্থা না হারায় সে ব্যবস্থা করা জরুরি। মানুষ আস্থা হারালে পরিস্থিতি কখন পাল্টে যাবে তা কেউ জানে না। এটা বিশ্বের ইতিহাস। নতুন বছরে চাই সিন্ডিকেটহীন সব অনিয়মের অন্ধকার দূর করা এক আলোকিত বাংলাদেশ।লেখক: গবেষক, প্রবন্ধকার-সাংবাদিক।

এ বিভাগের আরো খবর