বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আদর্শের রাজনীতিকে ঢেলে সাজাতে হবে

  •    
  • ১০ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৯:৩৩

ছয় দফা প্রদানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একক রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলনে সুসংগঠিত উপায়ে নেতৃত্ব প্রদান করেন। সরকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কারারুদ্ধ করেও আন্দোলন দমন করতে পারেনি। পাকিস্তান সরকার আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা রুজু করে বঙ্গবন্ধুসহ রাজনৈতিক নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করে। এর প্রতিক্রিয়ায় পরবর্তী সময়ে ৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়।

অনেক দিন থেকে রাজনীতি-সচেতন ও আওয়ামী লীগের শুভানুধ্যায়ীরা গণমাধ্যমে নানারকম লেখালেখির ভেতর দিয়ে যে বিষয়টি নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছেন তা হলো- আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে দুটি ধারার ক্রমাগত সাংগঠনিক কার্যক্রমকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এর মধ্যে একটি ধারা আওয়ামী লীগের দীর্ঘ আদর্শিক ঐতিহ্যের। অন্যটি আওয়ামী লীগের জন্মলগ্ন থেকে সমাজ ও রাজনীতিতে নেতৃত্বের ভূমিকার কারণে ক্রমেই প্রসারিত হয়েছে।

পঞ্চাশের দশকে আওয়ামী লীগ একটি উদারনৈতিক মতাদর্শের সংগঠন হিসেবে নেতাকর্মীদের ধারণ করার জায়গা করে দিয়েছে। ফলে আওয়ামী লীগ ডানের পাকিস্তানের অসাড়তা তুলে ধরার ক্ষেত্রে যেমন অসামান্য রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পরিচয় দিতে পেরেছে।

একইসঙ্গে বাম ও অতিবামের আদর্শিক রাজনীতির গুরত্বের চাইতে পূর্ব বাংলার জনগণের স্বায়ত্তশাসন, জাতিগত, আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সচেতনতা বৃদ্ধির আন্দোলন-সংগ্রাম এবং কর্মসূচি বাস্তবায়নে গুরত্ব প্রদান করে। এটি ছিল আওয়ামী লীগের দূরদর্শিতা ও বাস্তবতাবোধের পরিচয়। ষাটের দশকে আওয়ামী লীগ আরও প্রজ্ঞার পরিচয় দিতে সক্ষম হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ গড়ে ওঠে পূর্ব বাংলায় সচেতন রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের প্রধান সংগঠন হিসেবে।

ছয় দফা প্রদানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একক রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলনে সুসংগঠিত উপায়ে নেতৃত্ব প্রদান করেন। সরকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কারারুদ্ধ করেও আন্দোলন দমন করতে পারেনি। পাকিস্তান সরকার আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা রুজু করে বঙ্গবন্ধুসহ রাজনৈতিক নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করে। এর প্রতিক্রিয়ায় পরবর্তী সময়ে ৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়।

ফলে পাকিস্তানের সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়ে যায়। পূর্ব বাংলা স্বাধীন বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার শক্তি অর্জন করে। ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ এরই প্রমাণ বহন করে। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ একটি আদর্শিক রাজনৈতিক দল হিসেবে এর সাংগঠনিক ও মতাদর্শিক দক্ষতার প্রমাণ দিতে সক্ষম হয়।

স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগকে আদর্শের ত্যাগী, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের প্রধান আশ্রয়স্থলে পরিণত করতে কখনও পিছপা হননি। কিন্তু ৭৫-এর নারকীয় হত্যাকাণ্ডে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আদর্শিক, ত্যাগী ও দেশপ্রেমিক নেতাকর্মীদের রাজনীতিকে কঠিন এক চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেয়।

রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে সুবিধাবাদী, আদর্শচ্যুত, ডান ও উগ্রবাম মতাদর্শের রাজনীতিকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা হয়। এর ফলে দেশের রাজনীতিতে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী নেতাকর্মী ও সংগঠনের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে থাকে। তেমন প্রেক্ষাপটেই ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর পাঁচ বছর ত্যাগী-আদর্শবাদী, দক্ষ-অভিজ্ঞ ও পোড়খাওয়া নেতাকর্মীদের নিয়ে দেশ পরিচালনা করে।

২০০১ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে আদর্শের গুরত্ব প্রাধান্য পেয়েছিল। কিন্তু ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত দেশের রাজনীতিতে চরম সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ ও আওয়ামীবিরোধী শক্তির উত্থানের ফলে রাজনীতিতে আদর্শের জন্য সবসময় ত্যাগী এমন নেতাদের অবস্থান অপেক্ষাকৃত দুর্বল হতে থাকে।

পরবর্তী সময়ে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগ ২০১৩ পর্যন্ত আদর্শের রাজনীতিচর্চার সঙ্গে বেশি আপস করেনি। তবে দল ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকার কারণে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে আদর্শচর্চার চাইতেও ব্যক্তিগত সুবিধা অর্জন ও বিত্তবৈভবের মালিক হওয়ার প্রবণতা বাড়তে থাকে। এটি আরও বেশি বিস্তৃত হতে থাকে আওয়ামী লীগ পর পর তিনবার ক্ষমতায় থাকার ফলে।

একদিকে যেমন দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম হন; তখন আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে আদর্শহীন, দুর্নীতিপরায়ণ ও দুর্বৃত্তায়িত নেতাকর্মীর সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে যেতে থাকে। অপরদিকে দলের তৃণমূল থেকে উপরের স্তর পর্যন্ত সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক চিন্তাধারায় প্রসারিত হওয়ার কার্যক্রম দুর্বল হয়ে পড়ে। সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য ধারকের সংখ্যা কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে এটি বিবেচ্য।

দেশের রাজনৈতিক উত্থান-পতনের দীর্ঘ সময়ে আদর্শবান-নীতিনিষ্ঠ, সৎ-ত্যাগী এবং রাজনৈতিকভাবে প্রশিক্ষিত নেতাকর্মীর পুনরুজ্জীবন কাঙ্ক্ষিত মানে ও সংখ্যায় বাড়তে পারেনি। এছাড়া আওয়ামী লীগকে ১৯৭৫-এর পর থেকে আদর্শহীন, প্রতিক্রিয়াশীল, সুবিধাবাদী, সাম্প্রদায়িক ও ধনিক গোষ্ঠীর সঙ্গে রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রক্ষমতার চাপ সহ্য করেই অগ্রসর হতে হয়েছিল। ফলে দেশে সামগ্রিক আদর্শহীনতার বাস্তবতার প্রভাব পড়েছে আওয়ামী লীগসহ সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংগঠনের ওপর। আওয়ামী লীগ এর থেকে মুক্ত থাকতে পারেনি।

গত একযুগেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকার কারণে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে আদর্শের ধারকদের অবস্থান ক্রমাগত দুর্বল হয়েছে। তৃণমূল থেকে সংগঠনের সব স্তরেই বিত্ত-বৈভবের প্রভাব পড়েছে। দলের ভেতরে উদীয়মান নেতাকর্মীদের বেশিরভাগই নানা ব্যবসা-বাণিজ্য, সরকারি নির্মানকাজসহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা আদায় করে নেয়ার ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ব্যবহার করেছে। এটি অবশ্য আগের সরকারের আমল থেকেই চলে আসছিল। আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার কারণে নেতাকর্মীদের মধ্যে সেসব সুযোগ গ্রহণের মানসিকতা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে একেবারে তৃণমূলপর্যায়ে স্থানীয় এমনসব ব্যক্তি দলের পদ-পদবি বাগিয়ে নেয়, যাদের প্রাতিষ্ঠানিক ও রাজনৈতিক শিক্ষার ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে।

এরা লুটপাট, চাঁদাবাজি, সরকারের দেয়া বিভিন্ন ভাতা আত্মসাৎ, রাস্তাঘাট নির্মাণে অর্থ লোপাটসহ নানা ধরনের অপরাধকর্মে জড়িয়ে পড়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই আবার স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার জনপ্রতিনিধি হওয়ার প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়েছে। উপজেলা, পৌর প্রশাসন, জেলা ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের তালিকাতেও নব্য এই ধনিকদের উঠে আসার সুযোগ ঘটেছে। বলা হয়ে থাকে সব স্তরের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাঠামোতে নব্য এসব অর্থবিত্তের মালিকদের কর্তৃত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের অনেকেরই আচার-আচরণ জনবান্ধবসুলভ নয়।

যারা জনবান্ধব রাজনীতি করার মানসিকতা রাখে তারা এদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না। ফলে আওয়ামী লীগের ভেতরে তৃণমূল থেকে উপরের দিকে শিক্ষিত-মার্জিত, দেশপ্রেমিক ও আদর্শবাদী নেতাকর্মীরা এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে সংগঠন ও অঙ্গসংগঠনগুলোতে আদর্শের ধারক-বাহক ও শিক্ষিত নেতাকর্মী যুক্ত হতে না পারা।

সাংগঠনিকভাবে আওয়ামী লীগের স্থানীয়পর্যায়ে তেমন কোনো কার্যক্রম পরিলক্ষিত হয় না। বিভিন্ন ব্যক্তি-সংগঠন বা অঙ্গসংগঠনের পদ-পদবি আঁকড়ে ধরে আছে। নতুন কাউকে সংগঠনে যুক্ত করছে না। কেন্দ্র থেকেও তৃণমূলপর্যায় পর্যন্ত সংগঠন ও অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের আমলনামা সংগ্রহ, পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করে দলের নীতি-আদর্শের পরিবীক্ষণ করা হচ্ছে না। ফলে তৃণমূলপর্যায়েও আওয়ামী লীগের আদর্শবিরোধী ও শৃঙ্খলা-পরিপন্থী নানা কর্মকাণ্ডের সঙ্গে অনেকে জড়িয়ে পড়েছে। এরা একধরনের প্রভাব, ভয়ভীতি ও সন্ত্রাস বিস্তার করতে মোটেও দ্বিধা করে না।

এদের কর্মকাণ্ডে আওয়ামী লীগ জনসমর্থন হারাচ্ছে। বিভিন্ন নির্বাচনে ওইসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে মনোনয়ন পেতে প্রচুর অর্থব্যয় করারও যথেষ্ট অভিযোগ রয়েছে। এরা কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন লাভ করতে পারলে স্থানীয়পর্যায়ে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারে সন্ত্রাসের আশ্রয় নিতেও দ্বিধা করে না। আবার যারা মনোনয়ন লাভে বঞ্চিত হয় তাদের অনেকেও আদর্শিকভাবে খুব বেশি নিষ্ঠাবান নয়। সেকারণে দেখা যায় মনোনয়ন লাভে বঞ্চিত ও মনোনীত ব্যক্তির মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত বেড়েই চলছে।

আদর্শিক ও ত্যাগী নেতাকর্মীরা প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না। দলের ভেতরে সাম্প্রদায়িক-আপসকামী অনেকেই যুক্ত হয়ে পড়েছে। তাদের রাজনীতি ও আদর্শে আওয়ামী লীগের নীতি-আদর্শের মিল তেমন খুঁজে পাওয়া যায় না। আওয়ামী লীগের ওপর থেকে তৃণমূল পর্যন্ত এই পরিবর্তনটি এখন এতটাই বিস্তার লাভ করছে যে, বেশিরভাগ অঞ্চলেই দল আর অঙ্গসংগঠনগুলোকে নামে ও সাইনবোর্ডে বিরাজ করতে দেখা গেলেও মাঠে-ময়দানে কিংবা জনগণের পাশে খুব বেশি পাওয়া যায় না।

নেতাকর্মীদের বেশিরভাগই কোথায় কী পাওয়া যাবে বা হওয়া যাবে সেসবের তদবির নিয়ে ব্যস্ত থাকে। নীতি-আদর্শের বালাই অনেকের মধ্যেই নেই। সেকারণে আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠনগুলোর মধ্যে তরুণ প্রজন্মের মেধাবী, যোগ্য ও সৃজনশীল প্রতিনিধিরা খুব বেশি জায়গা করে নিতে পারছে না। এদের জন্য দলের তৃণমূল থেকে জেলাপর্যায় পর্যন্ত দরজা বেশ শক্তভাবেই রুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ফলে আওয়ামী লীগের মধ্যে নতুন প্রজন্মের রক্তের সঞ্চালন কাঙ্ক্ষিত মানে ঘটতে পারছে না।

যার ফল হিসেবে দলে অসংখ্য জাহাঙ্গীর আলম, আব্বাস আলী, ডা. মুরাদ, ক্যাসিনো সম্রাট, হেলেনা জাহাঙ্গীর ও পাপিয়া তৈরি হয়েছে। যারা অর্থবিত্ত, ক্ষমতা, দম্ভ ও নানা অপকর্মে দলের মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করতে মোটেও কুণ্ঠিত হয়নি। ছাত্রলীগের পদ-পদবি বাগিয়ে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে যা খুশি তা করার নজিরও স্থাপন করেছে অনেকে। বুয়েটের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে বছরের পর বছর র‍্যাগিং, সহপাঠীদের ওপর নির্যাতন ও হত্যা করার মতো নিষ্ঠুরতাও অনেকে প্রদর্শন করেছে।

কুয়েটের ডাইনিং হলের ম্যানেজার নিয়োগ দেয়ার মতো কর্মে যুক্ত হয়ে একজন শিক্ষককে মানসিকভাবে নির্যাতন করার দুঃসাহসও যারা দেখায়- তারা সংগঠনকে নিজেদের কাজেই অপব্যবহার করে। ঢাকা শহরেই অসংখ্য নেতাকর্মী আছে যারা ভূমিদখল, চাঁদাবাজি ও প্রভাব বিস্তারের মতো কাজে যুক্ত রয়েছে। তাদের সবারই আমলনামা ইচ্ছা করলে পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে।

সময় এসেছে তৃণমূল থেকে ওপর পর্যন্ত নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক আমলনামা দেখে আওয়ামী লীগে রাখা না রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া। যারা আওয়ামী লীগকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করেছে তাদের কাছ থেকে আওয়ামী লীগের পাওয়ার কিছু নেই, তবে হারানোর অনেক কিছু আছে।

দেশে এখনও অনেক মেধাবী-শিক্ষিত, প্রজ্ঞা ও আদর্শবান এবং ২১ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ তরুণ-যুবক ও অভিজ্ঞ মানুষ রয়েছে যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একনিষ্ঠ ধারক হওয়ার অপেক্ষায় আছে। আওয়ামী লীগের বোধহয় তাদেরকে কাছে নেয়া ও পরীক্ষা করে দেখা প্রয়োজন। তাহলে আওয়ামী লীগ সামনের দিনগুলোতে নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।

লেখক: অধ্যাপক, গবেষক।

এ বিভাগের আরো খবর