বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সহিংসতা গণতন্ত্রের জন্য সুসংবাদ নয়

  • ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ   
  • ২৯ নভেম্বর, ২০২১ ১৬:৪৮

নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতা বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি সাধারণ সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। আমরা যদি স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতার দিকে লক্ষ করি, তাহলে যে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠবে সেটি হলো, এই সহিংসতা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জাতীয় নির্বাচনকেন্দ্রিক ছিল। কিন্তু ২০২১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রাজনৈতিক সহিংসতার পরিমাণ অন্য নির্বাচনগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। এবারের সহিংসতা মূলত হচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন উপদলের মধ্যে।

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হচ্ছে গণতন্ত্রের ভিত্তিভূমি। কারণ এখান থেকেই গড়ে ওঠে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব। একটি দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং সামগ্রিক উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় স্থানীয় সরকারের ভূমিকা অনন্য। গণতন্ত্রে কেন্দ্রীয় সরকার নীতি প্রণয়ন করবে এবং স্থানীয় সরকার সেই নীতিগুলো বাস্তবায়ন করবে- এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো যেহেতু জনগণের খুব কাছাকাছি অবস্থান করে, সেহেতু বিভিন্ন ধরনের সেবা ও পণ্য জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে এই প্রতিষ্ঠানগুলো সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে সক্ষম।

আমরা জানি, বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৯ ও ৬০ ধারায় কেন্দ্রীয় সরকারের নিচে স্থানীয়পর্যায়ে বিভিন্ন অঞ্চলে স্থানীয় সরকারের স্তর প্রতিষ্ঠা করা এবং সেই স্তরগুলো জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়ার বিধান রয়েছে। গ্রামীণ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে নিচের স্তর ইউনিয়ন পরিষদ প্রায় ২০০ বছরের অধিক সময় ধরে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অন্য স্তরগুলোর তুলনায় নিজেদের এখতিয়ারের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ স্বাধীনভাবে কাজ করে এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কল্যাণের সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি প্রতিষ্ঠান। যদিও এই প্রতিষ্ঠানের বাজেটনির্ভরতা রয়েছে সরকারের ওপর।

স্থানীয় সরকারে রাজনৈতিক দলভিত্তিক নির্বাচন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অনুশীলন করা হয়। এমনকি আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও এই প্রক্রিয়া চলমান। এই অনুশীলনের বিষয়টির কথা মাথায় রেখেই বাংলাদেশ সরকার স্থানীয় সরকারে রাজনৈতিক দলভিত্তিক নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করে। দলভিত্তিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ-উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থীরা দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেয়।

অন্যদিকে, এসব স্তরের সদস্য ও কাউন্সিলররা সরাসরি দলীয় প্রতীকে নির্বাচন না করলেও রাজনৈতিক দলগুলো চেষ্টা করে প্রতিটি নির্বাচনে স্থানীয়পর্যায়ে অনানুষ্ঠানিক দলীয় নমিনেশনের মাধ্যমে প্রার্থী বাছাইয়ের। দলীয় মনোনয়ন দেয়ার সময় স্থানীয় নেতা ও সংসদ সদস্য নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করার জন্য যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন না দিয়ে এমন অনেক প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়ার জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ করেন, যাদের দলের সঙ্গে তেমন কোনো যোগাযোগ নেই।

এমনকি অন্য দল থেকে আসা অনেক প্রার্থী মনোনয়ন পাওয়ায় দলের যোগ্য, ত্যাগী ও নিবেদিত প্রার্থীরা বঞ্চিত হয়েছেন। ফলে এলাকার সক্রিয় নেতাকর্মীরা দলীয় মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনি কাজে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন এবং অপেক্ষাকৃত জনপ্রিয় বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নেয়। আর এ কারণেই স্থানীয়ভাবে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভক্তির কারণে পরস্পরের বিরুদ্ধে আক্রমণের চেষ্টা করে।

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাড়ছে সহিংস ঘটনা। চলতি বছরে শুধু ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ঘিরেই প্রায় ২০০ সংঘাতের ঘটনায় ৪৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছেন অসংখ্য। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীদের নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনেরও নানা অভিযোগ উঠছে। এমন পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন ও ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তাদের মতে, নির্বাচন ঘিরে এ সংঘাত, বিশৃঙ্খলা ও হতাহতের দায় ইসি, সরকার ও দল হিসেবে আওয়ামী লীগকেই নিতে হবে। কারণ আইন ও বিধিমালায় নির্বাচন কমিশনকে যথেষ্ট ক্ষমতা দেয়া আছে। পাশাপাশি সরকারের সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এসব ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারছে না। এতে সংঘাত বেড়েই চলেছে। এছাড়া নির্বাচনি মাঠে দলীয়ভাবে বিএনপি না থাকায় অধিকাংশ স্থানেই রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের বিদ্রোহী প্রার্থী। তারা নিজেরাই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে। আওয়ামী লীগ তাদের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ধরে রাখতে পারছে না।

তৃতীয় ধাপের ১০০৭ ইউপিতে ভোট হবে ২৮ নভেম্বর। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটছে সংঘর্ষের ঘটনা। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ তৈরির জন্য নির্বাচন কমিশন কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? এখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এসব সহিংস ঘটনারোধে তারা কী ব্যবস্থা নিয়েছে? যেভাবেই হোক, পুলিশকে দ্রুত ঘটনার তদন্ত করতে হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব এসব ঘটনায় দায়ের করা মামলার চার্জশিট দিতে হবে। অবশ্য এক্ষেত্রে পুলিশকে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।

নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতা বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি সাধারণ সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। আমরা যদি স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতার দিকে লক্ষ করি, তাহলে যে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠবে সেটি হলো- এই সহিংসতা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জাতীয় নির্বাচনকেন্দ্রিক ছিল। কিন্তু ২০২১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রাজনৈতিক সহিংসতার পরিমাণ অন্য নির্বাচনগুলোর তুলনায় অনেক বেশি।

এবারের সহিংসতা মূলত হচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন উপদলের মধ্যে। কারণ বিএনপি এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা এই সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। যেহেতু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের সুযোগ রয়েছে, অনেক ক্ষেত্রেই বিএনপি প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ছেন। কিন্তু সাংগঠনিকভাবে দেশব্যাপী বিএনপি এতটা দুর্বল হয়ে পড়েছে যে, তাদের পক্ষে নির্বাচনগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জেতা কঠিন।

ফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং নিজেদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় মানুষ মারা যাচ্ছে, যেটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন এবং দেশের সামগ্রিক নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং নির্বাচন হবে প্রশ্নবিদ্ধ। ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের স্থানীয়পর্যায়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কোনো কোনো এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীরা চেয়ারম্যান-মেম্বার নির্বাচিত হয়ে যাচ্ছেন। এভাবে দুই ধাপের ইউপি নির্বাচনে বিএনপির শতাধিক চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় সরকারি দল আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা যারা পাচ্ছেন তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছেন একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। অধিকাংশ ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না পেয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েও কোথাও কোথাও ভোটে জিতে যাচ্ছেন।

এ পরিস্থিতিতে তৃণমূলপর্যায়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হওয়ায় সরকারি দল আওয়ামী লীগ সম্পর্কে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে। তাই দেশব্যাপী চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে সংঘাত-সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার কারণে সরকার ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ বিব্রত। আর এ কারণেই আইন সংশোধনের ৫ বছরের মাথায় আবার আগের মতো প্রতীক ছাড়া ইউপি নির্বাচনের কথা ভাবছে সরকার।

রাজনীতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর নানা হিসাব-নিকাশ, কৌশল ও মূল্যায়ন থাকবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তাতে এটা পরিষ্কার যে নির্বাচন কমিশনের দক্ষতা নিয়ে কোনো পক্ষেরই পরিষ্কার অবস্থান নেই। এ ব্যর্থতার দায় নির্বাচন কমিশনের।

ইউপি নির্বাচন নিয়ে যে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে, তা দূর করার উপায় হচ্ছে সামনের নির্বাচনগুলো অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত করা। নির্বাচন কমিশনকেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোকেও সহিংসতার পথ পরিহার করে নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। এসব ক্ষেত্রে দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়টি যত গুরুত্বপূর্ণ, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনের সক্রিয় তৎপরতা। নির্বাচনকেন্দ্রিক সব ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে দলমত নির্বিশেষে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিতে হবে এবং আইন প্রয়োগকারীদের অবশ্যই নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করতে হবে।

নির্বাচনকে অবাধ-সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচন কমিশন সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ ব্যাপারে আইনগত কোনো বাধা নেই। কিন্তু শুরু থেকেই তাদের কাজকর্মে একধরনের ঢিলেঢালা ভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীগুলোর কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করেই দায়িত্ব শেষ করছে।

নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও দলের মধ্যে উত্তেজনাও তত বাড়বে। তাই আগামীতে নির্বাচন কমিশনকে তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে আরও সক্রিয় ও সজাগ হতে হবে। যেকোনো মূল্যে নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচন নিয়ে আর কোনো মৃত্যু আমাদের কাম্য নয়।

অতীতেও স্থানীয়পর্যায়ের নির্বাচনে বিভিন্ন ধরনের সংঘাত ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সেসব তথ্য বিবেচনায় রেখে এবারও যাতে স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনে কোনো ধরনের সংঘাত ও সংঘর্ষের ঘটনা না ঘটে সে জন্য কর্তৃপক্ষের করণীয় নিয়ে নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই নানা মহল থেকে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা প্রদান করা হয়েছিল। দুঃখজনক হলো, তারপরও ইউপি নির্বাচনে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় সরকার থেকে শুরু করে জাতীয় নির্বাচন প্রতিটিতেই শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্বের বিষয়টি নতুন করে স্মরণ করিয়ে দেয়ার প্রয়োজন নেই। আগামীতে অনুষ্ঠেয় তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন এবং স্থানীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠিতব্য অন্যান্য নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচারণা ও ভোটগ্রহণ যাতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হতে পারে, সেদিকে নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোকে বিশেষ নজর দিতে হবে। লেভেল প্লেইং ফিল্ড প্রস্তুতসহ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। প্রার্থী, নেতাকর্মী ও সমর্থকদেরও নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে চলতে হবে।

নির্বাচনের সব অংশীজন উন্নত রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিচয় না দিলে এককভাবে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করা বেশ কঠিন। কাজেই উন্নত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় আগামীতে সব নির্বাচন সুষ্ঠু ও সফলভাবে আয়োজনের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলো দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবেন, এটাই দেশবাসী কামনা করে।

লেখক: গবেষক, কলাম লেখক। সাবেক উপমহাপরিচালক, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি

এ বিভাগের আরো খবর