বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অন্ধ সাম্প্রদায়িকতা: জেগে ওঠো বাংলাদেশ

  • নাসির আহমেদ   
  • ২০ অক্টোবর, ২০২১ ১৩:৫৭

আওয়ামী লীগের মতো এত বড় রাজনৈতিক দল, গত একযুগ ধরে যে দলটি রাষ্ট্রক্ষমতায়, সেই দলের তৃণমূল পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকা হাজার হাজার কর্মী কেন নিজ এলাকা নিরাপদ রাখতে, উগ্র সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ করতে দৃষ্টিগ্রাহ্য ভূমিকা রাখতে পারবে না? এটা সত্যিই ভাবনার বিষয়।

বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতিতে প্রযুক্তির বিকাশ তথা ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার যে নতুন যুগের সূচনা করেছে তার ইতোবাচক অর্জনের পরিমাণ বিপুল। যোগাযোগ ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে ডিজিটাইজেশন। ১৭ কোটি মানুষের এই ভূখণ্ডে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের হাতেই এখন এন্ড্রয়েড সেলফোন। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ থেকে শুরু করে অফিস-আদালত সবক্ষেত্রেই ইন্টারনেট প্রযুক্তি অসাধারণ ইতোবাচক ভূমিকা পালন করে চলেছে। ব্যাংকে না গিয়ে ঘরে বসেই আর্থিক লেনদেন কেনাকাটা সবকিছু সম্ভব হচ্ছে শুধু ইন্টারনেট প্রযুক্তি-সুবিধার কারণে। কিন্তু এত বিশাল অর্জনের মধ্যেও ফুলের আড়ালে থাকা কাঁটার মতো ইন্টারনেট প্রযুক্তির অপব্যবহার আমাদের জাতীয় জীবনে বড় বড় বিপর্যয় ডেকে এনেছে।

বিশেষ করে অর্থ কেলেঙ্কারি এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অপপ্রচার ছড়িয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামা পর্যন্ত বাঁধিয়ে দেয়া হচ্ছে দেশজুড়ে। শুধু তাই নয়, সরকারের বিরুদ্ধে নানামুখী উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে বানোয়াট ভিজুয়াল চিত্র তৈরি করে দেশের ভেতর থেকে এবং বাইরে বসে চালানো হচ্ছে ভয়াবহ অপপ্রচার। এ ধরনের অপপ্রচার যে কত বড় বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে তার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে ধর্মপ্রাণ মানুষকে উস্কে দিয়ে দাঙ্গা পরিস্থিতির সৃষ্টি।

গত ১৪ অক্টোবর দুর্গাপূজার মহানবমীর দিন কুমিল্লার একটি পূজামণ্ডপে হামলার মধ্য দিয়ে যে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, অনেকেই ভেবেছিলেন তার সমাপ্তি হয়তো সেখানেই ঘটবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় ‘পবিত্র কোরআন অবমাননা’র প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে যে ভয়ংকর একতরফা সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে, তা দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষের কাম্য ছিল না।

যারা দেশপ্রেমিক এবং অসাম্প্রদায়িক মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাস করেন, নিজের ধর্মের মতো অন্যের ধর্মের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল, তারা আর যা-ই হোক এই ধরনের সহিংস ধর্মান্ধতার উন্মাদনা সমর্থন করতে পারেন না।

ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়া প্রচারণায় বিভ্রান্ত হয়ে কুমিল্লার পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনার পরবর্তী কয়েকদিন চট্টগ্রাম, লক্ষীপুর-নোয়াখালী এবং রংপুরসহ বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে যেভাবে উগ্রবাদীরা হামলা চালিয়েছে, তা চরম দুঃখজনক বললেও সবটুকু বলা হয় না।

রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মের নামে এমন সন্ত্রাস এভাবে চলতে দেয়া যায় না। এ ধরনের সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস রুখে দেয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মীদের যে প্রস্তুতি এবং প্রতিরোধ থাকা দরকার ছিল, তা যথাযথভাবে ছিল কি না সে প্রশ্নও ইতোমধ্যেই উঠেছে।

দেশের কোনো কোনো এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও তাদের ওপর হামলার যেসব দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে, তার পুনরাবৃত্তি আর কোথাও হবে না, এই মুহূর্তে এটাই নিশ্চিত করা জরুরি। এই হামলার ঘটনায় তীব্র বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে সারা দেশে।

শাহবাগে সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্র-যুবা তরুণ শ্রেশি। দেশের লেখক-সাহিত্যিক, সংস্কৃতিকর্মী-শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী-সাংবাদিকসহ সব মহলের সোচ্চার কণ্ঠস্বর ইতোমধ্যেই আমরা শুনতে পেয়েছি। এ অবস্থায় যা করণীয় তা হলো দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীসমূহের সর্বাত্মক সর্তকতা এবং রাজনৈতিক দলের বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সারা দেশে সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের।

আওয়ামী লীগের মতো এত বড় রাজনৈতিক দল, গত একযুগ ধরে যে দলটি রাষ্ট্রক্ষমতায়, সেই দলের তৃণমূল পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকা হাজার হাজার কর্মী কেন নিজ এলাকা নিরাপদ রাখতে, উগ্র সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ করতে দৃষ্টিগ্রাহ্য ভূমিকা রাখতে পারবে না? এটা সত্যিই ভাবনার বিষয়।

বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন ভেতরে-বাইরে ইতিবাচক বহু অর্জনে গৌরবান্বিত, তখন দেশের মাথা হেঁট করে দেয়ার মতো এমন জঘন্য সাম্প্রদায়িক হামলা কীভাবে মেনে নেয়া যায়? কারণ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতো আমাদের জাতীয় জীবনের গৌরব। সেই মহান গৌরবের ঐতিহ্য দেশের অহংকার। যেকোনো মূল্যে হোক, সেই গৌরবময় অহংকার রক্ষা করতেই হবে।

প্রতিমার পায়ের কাছে কীভাবে পবিত্র কোরআন শরিফ এলো! এই অপ্রত্যাশিত রহস্যের জট খুলতেই হবে। বাংলাদেশে হিন্দু সমাজের কোনো লোক এমন আত্মঘাতী কাজ করতে পারে বলে বিশ্বাস করা যায় না। আমরা সে বিশ্বাস করতেও পারি না। যে বা যারাই এই ভয়ংকর কাজ করে থাকুক, ফেসবুকে যারাই উগ্রতা ছড়িয়ে থাকুক, নিশ্চয়ই তদন্তে সবকিছু বেরিয়ে আসবে। দেশবাসীর সামনে স্পষ্ট হবে কারা কীভাবে কাদের ইন্ধনে এমন দুঃসাহসিক অপতৎপরতা চালিয়েছিল?

ইতোমধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্ষমা চেয়েছেন এই ঘটনায় প্রাণহানির জন্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুস্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, দোষীদের এমন কঠোর শাস্তি দেয়া হবে, যেন ভবিষ্যতে আর কেউ এ ধরনের দুঃসাহস দেখাতে না পারে। প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর মনের কথাটাই বলেছেন।

এ প্রসঙ্গে স্মরণ রাখতে হবে- দেশে একটা অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টির জন্য নানাদিক থেকে নানামুখী তৎপরতা গত কয়েক মাস ধরে লক্ষণীয় হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক ঘোলা পানিতে সুবিধার মাছ শিকার করতে দেশ-বিদেশে অনেকেই বহুদিন ধরে তৎপর। এমনকি আন্তর্জাতিক চক্রান্তও এর পেছনে থাকার আশংকা উড়িয়ে দেয়া যায় না।

ঘটনা যেভাবেই ঘটুক, আর যারাই ঘটিয়ে থাকুক, নিশ্চয়ই এর হদিশ মিলবে। তবে তার জন্য প্রয়োজন হবে সরকারের সর্বোচ্চ মহলের যে আন্তরিক সদিচ্ছা সেই সদিচ্ছা বাস্তবায়নকারীদের নিষ্ঠা এবং সৎ প্রচেষ্টা। শান্তিপ্রিয় দেশবাসীর প্রত্যাশা সাম্প্রদায়িকতার বিষদাঁত ভেঙে দিতে সরকার সম্ভাব্য সর্বাত্মক কঠোরতার পরিচয় দেবে।

দেশে আজ যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে হিন্দু সম্প্রদায়ের মনে এই আস্থার বোধ জাগিয়ে তুলতেই হবে যে, এদেশে তারা অসহায় নন। বাংলাদেশ তাদেরও মাতৃভূমি।

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তারাও পাকিস্তানি হানাদারবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, প্রাণ দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোতে ভারতের সরকার ও জনগণ আমাদের পরম বন্ধুর ভূমিকায় ছিল। বাংলাদেশ কৃতজ্ঞতার সঙ্গে সব সময় তা মনে রাখে।

ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে বাংলাদেশে কাউকে ছোট করেও দেখা হয় না। অন্তত রাষ্ট্রীয় জীবনে কোথাও এর কোনো চিহ্ন নেই। রাষ্ট্রের সব কর্মধারায় তা দৃশ্যমান। চাকরিতে, জনপ্রতিনিধিত্বে সর্বস্তরে- ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সচিবালয় পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত আছে হিন্দু সম্প্রদায়ের শত শত নাগরিক। এমন বৈষম্যহীন সমাজে তাদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজাকে অবলম্বন করে এমন দাঙ্গা বাধিয়ে দেয়ার মতো ষড়যন্ত্র হতে পারে, তা আমরা কল্পনাও করি না।

পবিত্র কোরআন অবমাননার অভিযোগ যদি কারো বিরুদ্ধে ওঠে, তা হলে তার প্রতিবাদ অবশ্যই করা হবে, কিন্তু তা কেন হবে এরকম সহিংস? ইসলামে তো সহিংসতার কোনো স্থান নেই! ‘লাকুম দ্বী নুকুম ওয়ালইয়াদ্বীন (যার যার ধর্ম তার তার) যে শান্তির ধর্ম ইসলামের শিক্ষা, সেই ধর্মে আস্থাশীল মানুষ ধর্ম নিয়ে সহিংসতায় মেতে উঠবে, এমন সুযোগই তো নেই। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের প্রতি আমাদের আকুল আবেদন, কেউ হীন স্বার্থান্ধ সুবিধাবাদীদের ফাঁদে পা দেবেন না। ইসলামের আদর্শ এবং সৌন্দর্য নষ্ট হতে দেবেন না।

গত ১৮ অক্টোবর শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে ‘শেখ রাসেল স্বর্ণপদক’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন: ‘একটা অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাংলাদেশকে গড়তে চাই। উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাই। সোনার বাংলাদেশ গড়তে চাই। যে দেশে কোনো অন্যায় থাকবে না। অবিচার থাকবে না। মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচবে; সেটাই আমি চাই।’

দেশ-বিদেশে এ কথা আজ কে না জানেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র নয়। এখানে শত শত বছর ধরে মুসলমান-হিন্দু বৌদ্ধ- খ্রিস্টানসহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষ পাশাপাশি শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। পাকিস্তানি শাসনামলে রাজনৈতিক স্বার্থে ধর্মান্ধ পাকিস্তানি শাসকরা, আরও স্পষ্ট করে বললে সামরিক শাসকরা এখানে বহুবার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা বাধানোর অপচেষ্টা করেছে, কিন্তু সাধারণ মানুষ তা সমর্থন না করায় ব্যর্থ হয়েছে তাদের সেই সব অপচেষ্টা।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর সাম্প্রদায়িকতার বিষদাঁত চিরতরে ভেঙে দেয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু সরকার ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিল। বঙ্গবন্ধু নিজে নামাজ পড়তেন, এককথায় ধর্মানুরাগী ছিলেন। কিন্তু ধর্মের নামে যারা রাজনীতি করে, যারা ধর্মের অপব্যবহার করে, তাদের ধর্মান্ধতাকে তিনি কোনোদিন সমর্থন করেননি।

ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়- দুঃশাসন, অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং সাম্প্রদায়িকতার অভিশাপ থেকে মুক্ত হওয়ার লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধুর সারা জীবনের সংগ্রাম। তার ডাকেই একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ করেছিল বাংলার মানুষ। তাই ৩০ লাখ শহীদের রক্তফসল এই বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান থাকতে পারে না।

১৯৭৫ সালে স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে বাংলাদেশকে অনেক দূরে সরে নিয়েছিল শাসকচক্র। ধর্মানুরাগের স্থলে স্থান করে নিয়েছিল ধর্মান্ধতা। ধর্মের নামে রাজনীতি উন্মুক্ত করে দেয়ার ফলে আবারও পাকিস্তানি রাজনৈতিক দর্শনে দগ্ধ হতে থাকে বাংলাদেশ।

সেই পরিস্থিতি থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি প্রায় ২৫ বছর আগে। আজ বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এশিয়ার এক উদীয়মান শক্তি। দরিদ্র দেশের গ্লানিমুক্ত হয়ে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের মর্যাদায় অভিষিক্ত। পৃথিবী আজ বাংলাদেশের বিস্ময়কর অর্থনৈতিক উত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

এরকম গৌরবময় অবস্থায় আমাদের হাজার বছরের সম্প্রীতির ঐতিহ্য নষ্ট হয়ে যাক, এটা কিছুতেই কাম্য হতে পারে না। সব রাজনৈতিক দল, সব ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছে আজ এই আবেদন, আসুন রাজনৈতিক হীনস্বার্থ পরিত্যাগ করে দেশের মর্যাদা এবং জাতীয় স্বার্থকে সমুন্নত রাখতে আমরা সর্বাত্মক ত্যাগ স্বীকার করি।

বাংলাদেশকে আর অসম্মানিত না করি। যদি দেশকে অপমানিত করি তাহলে লাখ লাখ শহীদের আত্মা আমাদেরকে অভিশাপ দেবে, যা আমাদের কারো কাম্য হতে পারে না।

সবশেষে বলতে চাই, দেশের প্রতিটি অঞ্চলে আওয়ামী লীগসহ সব অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলের উদ্যোগে সম্মিলিত শান্তি সমাবেশের আয়োজন করুন। সব ধর্মের মানুষের নিরাপত্তায় নিজ নিজ এলাকায় প্রতিরোধের দুর্গ গড়ে তুলুন। তা না হলে মৌলবাদী চক্র বাংলাদেশকে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিলে তখন আর কিছুই করার থাকবে না। এই পরিস্থিতি যেকোনো মূল্যে সামাল দিতেই হবে।

লেখক: কবি ও সিনিয়র সাংবাদিক। উপদেষ্টা সম্পাদক দৈনিক দেশের কণ্ঠ।

এ বিভাগের আরো খবর