বছর ঘুরে এই দিনটি (২৫ সেপ্টেম্বর) এলেই স্মৃতিতে জেগে ওঠে এদেশের এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। জাতিসংঘে ভাষণ দিচ্ছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং সে ভাষণ মাতৃভাষা বাংলায়। রবীন্দ্রনাথের নোবেল বিজয়ের ৬১ বছর পর বাংলা ভাষা আরেকবার সম্মানিত হলো বিশ্ব সামাজে এবং তা বঙ্গবন্ধুর ভাষণের মধ্য দিয়ে।
সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ, নানা প্রতিকূলতার মধ্যে দেশের পুনর্গঠন আর বিশ্ব সমাজে স্বীকৃতি আদায়ের জন্য বঙ্গবন্ধু দিনরাত চেষ্টা করে যাচ্ছেন। পর পর দুবছর পাকিস্তানের বিরোধিতা এবং চীনের ভেটোর কারণে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ।
অবশেষে বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী কূটনৈতিক চেষ্টায় ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সদস্যপদ লাভ করে বাংলাদেশ। এর ঠিক এক সপ্তাহ পরে জাতিসংঘের ২৯তম সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু। নানা কারণে সে ভাষণ ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। একদিকে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের উদার মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ, অপরদিকে মানব সভ্যতার কল্যাণে জাতিসংঘকে আরও কার্যকর ভূমিকা গ্রহণের জন্য বঙ্গবন্ধুর উদাত্ত আহ্বান।
বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর দুঃখ-দুর্দশা মোচনের জন্য জাতিসংঘকে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বঙ্গবন্ধুর আহবান সারা পৃথিবীতে প্রশংসিত হয়েছিল। সেসঙ্গে প্রকাশ পেয়েছিল বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর টিকে থাকার সংগ্রামে শক্তি, সাহস ও আত্মপ্রত্যয়ের দৃঢ় চেতনা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সে ভাষণের ঐতিহাসিক তাৎপর্য আলোচনার আগে আরও একটি তথ্য অনিবার্যভাবে আসে, তা-হলো তার সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও জাতিসংঘে বাংলাদেশকে গৌরবময় ভূমিকায় উপস্থাপন। তার ধারাবাহিক নেতৃত্ব বাংলাদেশকে যে বহির্বিশ্বে উন্নত থেকে উন্নততর মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করছে, জাতিসংঘের নানামাত্রিক সম্মাননা ও স্বীকৃতিতে সে বাস্তবতাই দেদীপ্যমান করে তুলেছে। গতকাল শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদে পিতার মতোই প্রিয় মাতৃভাষা বাংলায় সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
মহামারির এ সময়ে ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সব মানুষের টিকাপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করা, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ভূমিকা গ্রহণ, বিশ্বের জলবায়ু বিপর্যয় রোধে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণের আহ্বানসহ গুরুত্বপূর্ণ কটি দফা তিনি উপস্থাপন করেছেন। এজন্য দেশ-বিদেশে ইতোমধ্যেই প্রশংসিত হয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা দীর্ঘ ৪৭ বছরের ব্যবধানে জাতিসংঘে বাংলাদেশ আজ এক মর্যাদাবান রাষ্ট্র হিসেবে মহিমান্বিত। যে বিশ্ববাস্তবতায় ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘে ভাষণ দেন, সেসময়ের অনেক বিবর্তন ঘটেছে কিন্তু এত বছর পরেও তার সে ভাষণের তাৎপর্য এতটুকু ম্লান হয়নি।
তিনি নামিবিয়াসহ স্বাধীনতা সংগ্রামে নিয়োজিত বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে তার অবস্থান তুলে ধরেন স্পষ্ট ভাষায়। ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য নিরসন, বর্ণবাদ, দারিদ্র্য, বেকারত্ব নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, আবহাওয়া ও জলবায়ু বিপর্যয় রোধে সম্মিলিত প্রয়াস এর ওপর গুরুত্বারোপ করে যে বক্তৃতা করেছিলেন, এর আবেদন এখনও ফুরিয়ে যায়নি। কারণ এই সমস্যাগুলো ৪৭ বছর পরও বৈষম্যপীড়িত পৃথিবীতে রয়ে গেছে।
বঙ্গবন্ধুর বক্তব্যের তাৎপর্য যেমন শাশ্বত, তেমন বাংলা ভাষায় প্রথম জাতিসংঘে বক্তৃতা করার ঘটনাটিও গুরুত্বপূর্ণ। ভাষা ও জন্মভূমির প্রতি তার যে তীব্র অনুরাগ এর কোনো তুলনা নেই। সত্য বটে রবীন্দ্রনাথ গীতাঞ্জলি কাব্যের জন্য ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন, কিন্তু নোবেল ভাষণ দিয়েছিলেন ইংরেজিতে। পরবর্তীকালে যে দুজন বাঙালি নোবেল পুরস্কার পায় তাদের একজন ড. অমর্ত্য সেন, আরেকজন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তারা কেউ নোবেল ভাষণ মাতৃভাষা বাংলায় দেয়নি। বক্তৃতা করে ইংরেজিতে। শুধু বঙ্গবন্ধুই ব্যতিক্রম।
বঙ্গবন্ধুকে প্রথমে অনুরোধ করা হয় ইংরেজিতে বক্তৃতা করার জন্য- ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি ইংরেজিতে বক্তৃতা করবেন।’ বঙ্গবন্ধু সবিনয়ে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বললেন-‘আমি মাতৃভাষা বাংলায় বক্তৃতা করতে চাই।’
বক্তৃতার শুরুতেই বললেন-
“মাননীয় সভাপতি, আজ এই মহিমান্বিত সমাবেশে দাঁড়াইয়া আপনাদের সাথে আমি এইজন্য পরিপূর্ণ সন্তুষ্টির ভাগীদার যে, বাংলাদেশের সাড়ে সাতকোটি মানুষ আজ এই পরিষদে প্রতিনিধিত্ব করিতেছেন। আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের পূর্ণতা চিহ্নিত করিয়া বাঙালি জাতির জন্য ইহা এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার অর্জনের জন্য এবং একটি স্বাধীন দেশের মুক্ত নাগরিকের মর্যাদা নিয়া বাঁচার জন্য বাঙালি জনগণ শতাব্দীর পর শতাব্দীব্যাপী সংগ্রাম করিয়াছেন, তাহারা বিশ্বের সকল জাতির সঙ্গে শান্তি ও সৌহার্দ্য নিয়া বাস করিবার জন্যে আকাঙ্ক্ষিত ছিলেন। যে মহান আদর্শ জাতিসংঘ সনদে রক্ষিত রহিয়াছে, আমাদের লক্ষ লক্ষ মানুষ সেই আদর্শের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করিয়াছেন। আমি জানি শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে সকল মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের উপযোগী একটি বিশ্ব গড়িয়া তুলিবার জন্য বাঙালি জাতি পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের এই অঙ্গীকারের সহিত শহীদানের বিদেহী আত্মাও মিলিত হইবেন।”
ওই বক্তৃতায় প্রয়োজনীয় কোনো দিক তিনি বাদ রাখেননি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও মুক্তির সংগ্রামে যেসব দেশ সমর্থন দেয়, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বঙ্গবন্ধু বলেন-
“যাহাদের ত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ বিশ্ব-সমাজে স্থান লাভ করিয়াছে, এই সুযোগে আমি তাহাদেরকে অভিনন্দন জানাই। বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে সমর্থনকারী সকল দেশ ও জনগণের প্রতি আমি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিতেছি। বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ছিল শান্তির জন্য সংগ্রাম, জাতিসংঘ গত ২৫ বছর ধরে এই শান্তির জন্য সংগ্রাম করিয়া যাইতেছে।”
বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি ওই বক্তৃতায় জনগণের অধিকার কেড়ে নেয়ার ক্ষেত্রে দেশে দেশে সেনাবাহিনী ব্যবহারের তীব্র নিন্দা জানান এবং বাংলাদেশসহ চারটি দেশ আলজেরিয়া, গিনিবিসাউ এবং ভিয়েতনামের নাম উল্লেখ করে বললেন- “এই দেশগুলি অপশক্তির বিরুদ্ধে বিরাট বিজয় অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।”
বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে ফিলিস্তিন, জাম্বিয়া, নামিবিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের সঙ্গেও একাত্মতা ঘোষণা করেন। বিশ্বের শোষিত-বঞ্চিত, দারিদ্র্যপীড়িত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশা করেন তার ভাষণে।
ওই সময় বন্যায় বিপর্যস্ত হয়েছিল বাংলাদেশ। দুর্গত মানুষের সহায়তার আহ্বান জানিয়ে বঙ্গবন্ধু একটি অসামান্য কথা বলেন। তার বক্তব্য ছিল আমাদের মতো জাতিসমূহ- যাদের অভ্যুদয় সংগ্রাম ও ত্যাগের মধ্য দিয়ে, তাদের অদম্য মানবীয় শক্তি রয়েছে।
তিনি বলেন- “আমাদের কষ্ট করতে হতে পারে কিন্তু আমাদের ধ্বংস নাই।”
দুরূহ বাধা অতিক্রমের অদম্য শক্তির প্রতি বঙ্গবন্ধুর ছিল দৃঢ় বিশ্বাস। বিশ্বের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা এবং সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি দেখে বিহ্বল হয়ে পড়েন তিনি। জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান মানুষের দুঃখ দুর্দশা লাঘবে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণের জন্য।
এর আগের বছর আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ দেশগুলোর সম্মেলনেও দরিদ্র ও লড়াকু দেশগুলোর মানুষের সে অদম্য শক্তির কথা তিনি বলেন। বলেন দ্বিধা-বিভক্ত পৃথিবীর বৈষম্যের কথাও। শোষক ও শোষিতে বিভক্ত পৃথিবীতে তিনি নিজেকে সুস্পষ্টভাবে শোষিতের পক্ষে ঘোষণা করেছিলেন এবং সে কারণে প্রচলিত পথ ছেড়ে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির দিকে যাচ্ছিলেন।
১৯৭৪-এর ২৫ সেপ্টেম্বরের ভাষণই জাতিসংঘে তার প্রথম এবং শেষ ভাষণ। পরের বছর সেপ্টেম্বর আসার আগেই তিনি সপরিবারে নিহত হন।
কিন্তু দারিদ্র্য ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ, আঞ্চলিক অখণ্ডতা আর সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি বিশ্বসমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার অনন্য ভাষ্যকার হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ আমাদের সঙ্গে বিশ্ববাসীকেও অনুপ্রাণিত করবে যুগ যুগ ধরে। বিশ্বসমাজও আজ তাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।
২০১৯ সালে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের উদ্যোগে ১৫ আগস্ট জাতিসংঘ ভবনে বঙ্গবন্ধুর স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। সেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরাও অংশগ্রহণ করে। অত্যাচারিত, নিপীড়িত মানুষের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামকে তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য উদাহরণস্বরূপ বলে মন্তব্য করে এবং বঙ্গবন্ধুকে বিশ্ব মানবের মুক্তির দূত হিসেবে বিশ্ববন্ধু বা ‘ফ্রেন্ডস অব দ্যা ওয়ার্ল্ড’ বিশেষণে ভূষিত করে।
আজ বঙ্গবন্ধুকন্যা তার দেখানো পথে বিশ্বনেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ১৯৯৬ থেকে (২০০১-২০০৮ সাল ছাড়া) বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন। বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়ে তিনি সব সময় জাতির পিতার মতোই বাংলায় ভাষণ দেন। বাংলা ভাষা ও বাঙালির প্রতি বঙ্গবন্ধুর যে গভীর ভালোবাসা সে প্রতিধ্বনিই যেন শুনি তার সুযোগ্য কন্যার কণ্ঠে।
জাতিসংঘে নানাক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ সম্মান এবং মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত। দারিদ্র্য মোচনের ক্ষেত্রে দ্রুত গতিতে অগ্রসর বাংলাদেশ। মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুহার কমিয়ে রয়েছে নেতৃত্বের আসনে। বিশ্ব পরিবেশ ও জলবায়ু নিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যে নেতৃত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন, তাতে তিনি বিশ্বনেতার সম্মান অর্জন করেন, এজন্য তাকে ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ’ সম্মাননায় ভূষিত করে জাতিসংঘ।
এবারসহ ১৭ বার জাতিসংঘে ভাষণ দেন তিনি। বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ, দারিদ্র্য বিমোচন, পরিবেশ বিপর্যয় রোধ, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, টেকসই উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকা নেতৃত্বস্থানীয়।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুর সমাধান, বিশ্বব্যাপী শরণার্থী মানুষের দুঃখ দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে তা মোচনের জন্য অসাধারণ ভূমিকা পালন করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এ বছর জাতিসংঘ তাকে ‘ক্রাউন জুয়েল’ বা মুকুটমণি অভিধায় ভূষিত করে। বাংলাদেশের জন্য বড় অর্জন।
বিশ্বের গোলযোগপূর্ণ দেশগুলোতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ যে অসামান্য ভূমিকা পালন করছে, সে শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বের ভূমিকা বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর জন্য যেমন গৌরবের, দেশের জন্য তেমনি অসামান্য অর্জন।
১৯৭৪ থেকে ২০২১ সাল- এ দীর্ঘ পথপরিক্রমায় বাংলাদেশ বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে যেতে যেভাবে ধাপে ধাপে গৌরবের সোপান অতিক্রম করছে, তাতে নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের গর্বিত হওয়ার কথা।
লেখক: কবি ও সিনিয়র সাংবাদিক। সাবেক পরিচালক (বার্তা) বাংলাদেশ টেলিভিশন।