বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর বাংলা ভাষণ: ভাষার বিশ্বকরণ

  • খায়রুল আলম   
  • ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৭:১৩

জাতিসংঘের সেক্রেটারিয়েট থেকে ইংরেজিতে ভাষণ দেয়ার কথা বলা হলে বঙ্গবন্ধু আগেই জানিয়ে দেন, তিনি বাংলায় ভাষণ দেবেন। মাতৃভাষার প্রতি দরদ ও মমত্ববোধ থেকে তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন। তিনি তার ভাষণে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ ও মুক্তি সংগ্রামে সমর্থনকারী দেশ ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ছিল শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মিলিত সংগ্রাম।”

আজ ২৫ সেপ্টেম্বর, বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক গৌরবময় দিন। ১৯৭৪ সালে এ দিনে আমাদের মহান নেতা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে সর্বপ্রথম বাংলায় ভাষণ দেন। আর এ ভাষণের মাধ্যমে তিনি আমাদের সত্ত্বা ও আত্মমর্যাদাকে বিকশিত করেছিলেন বিশ্বদরবারে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাভাষা পেয়েছিল এক নতুন রূপ।

তিনি বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে অনন্য এক উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছিলেন। এর আগে মাতৃভাষায় এমন তেজোদীপ্ত ভাষণ কখনও কেউ দিতে পারেনি। এটিই ছিল বিশ্বের সর্বোচ্চ দরবারে জাতির পিতার প্রথম ও শেষ ভাষণ।

এ নিয়ে তিনি ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থে লিখেছেন-

“আমি বাংলায় বক্তৃতা করলাম।… কেন বাংলায় বক্তৃতা করব না?… পূর্ব বাংলার ছাত্ররা জীবন দিয়েছে মাতৃভাষার জন্য। বাংলা পাকিস্তানের সংখ্যাগুরু লোকের ভাষা। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথকে না জানে এমন শিক্ষিত লোক চীন কেন দুনিয়ায় অন্যান্য দেশেও আমি খুব কম দেখেছি। আমি ইংরেজিতে বক্তৃতা করতে পারি। তবু আমার মাতৃভাষায় বলা কর্তব্য।” নিজের কর্তব্যবোধ সম্পর্কে সদাজাগ্রত বঙ্গবন্ধু মাতৃভাষায় বক্তৃতা দেয়ার সিদ্ধান্তটি আগেই নিয়েছিলেন।

বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদের বয়ানে জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর বাংলা বক্তৃতার ইংরেজি ভাষান্তর করার গুরু দায়িত্বটি অর্পিত হয়েছিল ফারুক চৌধুরীর (প্রয়াত) ওপর। তিনি ছিলেন লন্ডনে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার। ছুটিতে দেশে এসেছেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ, ‘ফারুক, তোমার ছুটি নাই। তোমাকে এখানে কাজ করতে হবে।’ কাজগুলো হচ্ছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর আসন্ন বাংলাদেশ সফরের প্রস্তুতি গ্রহণ এবং বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নির্ধারণে বার্মার (বর্তমান মিয়ানমার) সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা শুরু করতে প্রতিনিধি দল নিয়ে বার্মায় গমন। বার্মা থেকে ফেরার পর বঙ্গবন্ধু ফারুক চৌধুরীকে ডেকে বলেছিলেন, ‘তোমার লন্ডন যাওয়া চলবে না। তুমি আমার সঙ্গে নিউইয়র্ক যাবে এবং জাতিসংঘে আমি বাংলায় যে বক্তৃতাটি করব, তাৎক্ষণিকভাবে তুমি সেই বক্তৃতার ইংরেজি ভাষান্তর করবে।’

একথা শুনে ফারুক চৌধুরী একটু ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। তখন পরিস্থিতি সহজ করতে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘রিহার্সাল দাও। বক্তৃতা ভাষান্তরের সময় ভাববে যেন তুমিই প্রধানমন্ত্রী। তবে পরে কিন্তু তা ভুলে যেও।’

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে জাতিসংঘের ১৩৬তম সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি লাভ করে বাংলাদেশ।

আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্ষেত্রে এটি ছিল বঙ্গবন্ধুর বড় সাফল্য। বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি ও সদস্যপদ অর্জনে জাতির পিতার নিরলস কূটনৈতিক চেষ্টা ও সাফল্যগাথা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এর মাত্র ৮ দিন পর ২৫ সেপ্টেম্বর তৈরি হয় আরও একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।

১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ২৯তম অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে বাংলায় যে যুগান্তকারী ভাষণটি দেন সেটি ছিল বিশ্বের বঞ্চিত, নির্যাতিত ও নিষ্পেষিত মানুষের ন্যায়সংগত অধিকার প্রতিষ্ঠা ও বিশ্বশান্তির জন্য বলিষ্ঠ উচ্চারণ।

জাতিসংঘের সেক্রেটারিয়েট থেকে ইংরেজিতে ভাষণ দেয়ার কথা বলা হলে বঙ্গবন্ধু আগেই জানিয়ে দেন, তিনি বাংলায় ভাষণ দেবেন। মাতৃভাষার প্রতি দরদ ও মমত্ববোধ থেকে তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন। তিনি তার ভাষণে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ ও মুক্তি সংগ্রামে সমর্থনকারী দেশ ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ছিল শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মিলিত সংগ্রাম।”

তিনি জাতিসংঘের আদর্শ, শান্তি ও ন্যায়বিচারের বাণীর সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বাংলার লাখও শহিদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণপূর্বক বিশ্বশান্তি ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় সম্মিলিত উদ্যোগের আহ্বান জানান। জাতির পিতা তার ভাষণে এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের লড়াই ও ত্যাগের উদাহরণ টেনে বলেন, অন্যায় এখনও চলছে এবং বর্ণবাদও পূর্ণমাত্রায় বিলুপ্ত হয়নি। জনগণের ন্যায়সংগত অধিকার ও বর্ণবাদের অবসান ঘটাতে নতুন বিশ্বব্যবস্থার আহ্বান জানান তিনি। ফিলিস্তিন, জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়ার মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার ও মুক্তিসংগ্রামের কথাও বলেন।

বঙ্গবন্ধু তার বক্তব্যে একদিকে বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন, অপরদিকে ক্ষুধায় আক্রান্ত দেশগুলোর জন্য জরুরি সহায়তার কথাও বলেছেন। তিনি অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়ে প্রতিটি মানুষের জন্য সুখী ও শ্রদ্ধাশীল জীবন নিশ্চয়তার তাগিদ দেন। অনাহার, দারিদ্র্য ও বেকারত্বের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধভাবে ন্যায়সংগত আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান। যে ব্যবস্থার মাধ্যমে বিশ্বের সমস্ত সম্পদ ও প্রযুক্তিজ্ঞানের যথাযথ বণ্টনের মাধ্যমে একটি জাতির কল্যাণের দ্বার উন্মুক্ত হবে, যেখানে প্রতিটি ব্যক্তি সুখী ও সম্মানজনক জীবনের ন্যূনতম নিশ্চয়তা পাবে। তিনি বলেছেন, “আমি জীবনকে ভালোবাসি তবে আমি মানুষের মুক্তির জন্য জীবন উৎসর্গ করতে ভয় পাই না।”

সেই ঐতিহাসিক ক্ষণের স্মৃতি থেকে একাধিক বিশিষ্টজনের লেখায় জানা যায়, জাতিসংঘ অধিবেশনে সচরাচর সবাই উপস্থিত থাকে না। অনেক চেয়ার খালি পড়ে থাকে। কিন্তু ওইদিন বঙ্গবন্ধুর ভাষণের সময় অধিবেশন কক্ষ ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। গ্যালারিগুলোতেও ছিল অভিন্ন চিত্র। কারণ শেখ মুজিবুর রহমান তখন কেবল একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী নন। বরং সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হওয়া একটি নতুন দেশের স্থপতি। সারাবিশ্বে আলোচিত তিনি। তাই সবাই এই নেতাকে দেখার জন্য, বক্তৃতা শোনার জন্য অধিবেশনে যোগ দিয়েছিল।

নিউইয়র্ক সময় বিকেল ৪টায় তাকে বক্তৃতার জন্য আহ্বান জানানো হয়। এ সময় সাধারণসভার সভাপতি আলজিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী (বর্তমান রাষ্ট্রপতি) আব্দুল আজিজ ব্যুতফলিকা নিজ আসন থেকে উঠে এসে বঙ্গবন্ধুকে মঞ্চে তুলে নেন। বক্তৃতা মঞ্চে দাঁড়ান গলাবন্ধ কোট, কালো ফ্রেমের চশমা, আর ব্যাকব্রাশ করা চুলের বঙ্গবন্ধু। দীর্ঘদেহী, স্মার্ট, সুদর্শন আর আভিজাত্যপূর্ণ এক সৌম্য ব্যক্তিত্ব শেখ মুজিবকে দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারেনি নানা দেশের প্রতিনিধিরা।

নাতিদীর্ঘ ভাষণের সূচনায় বঙ্গবন্ধু বলেন “আজ এই মহিমান্বিত সমাবেশে দাঁড়াইয়া আপনাদের সঙ্গে আমি এই জন্য পরিপূর্ণ সন্তুষ্টির ভাগীদার যে, বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ আজ এই পরিষদে প্রতিনিধিত্ব করিতেছেন। আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের পূর্ণতা চিহ্নিত করিয়া বাঙালি জাতির জন্য ইহা একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।”

মাতৃভাষায় বঙ্গবন্ধু মুজিবের এই ঐতিহাসিক বক্তৃতার পর অধিবেশনে সমাগত পাঁচটি মহাদেশের প্রতিনিধি এবং সমগ্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বহুল পঠিত জাতিসংঘের ‘ডেলিগেট বুলেটিন’ বঙ্গবন্ধুকে ‘কিংবদন্তির নায়ক মুজিব’ বলে আখ্যায়িত করে। বুলেটিনটিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়কদের প্রদত্ত মন্তব্য-প্রতিক্রিয়া পত্রস্থ করা হয়। বুলেটিনের সম্পাদকীয়তে লেখা হয়- “এ যাবৎ আমরা কিংবদন্তির নায়ক শেখ মুজিবুর রহমানের নাম শুনেছি। এখন আমরা তাকে কাজের মধ্যে দেখতে পাব।” জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সম্পর্কে বলা হয়- “বক্তৃতায় ধ্বনিত হয়েছে মুজিবের মহৎকণ্ঠ।”

বাংলার এই নেতার মহান বীরত্ব দেখে বিশ্ব নেতারা হয়েছিলেন বিস্মিত! শোষিত মানুষের পক্ষে উচ্চারিত ভাষণে সাম্রাজ্যবাদের ভিত কেঁপে উঠেছিল। বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে বলেছিলেন, বিশ্ব আজ দুভাগে বিভক্ত, শোষিত। আর আমি শোষিতের পক্ষে।

এর আগে বিশ্ব পরিসরে মাতৃভাষা বাংলাকে এমন করে কেউ পরিচয় করিয়ে দেয়নি। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে প্রথম বাঙালি হিসেবে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। তার মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে প্রথম বাংলা ভাষা পরিচিতি পেয়েছিল। কিন্তু বিশ্বাঙ্গনের কোথাও তিনি বাংলায় বক্তব্য রাখেননি।

১৯৯৮ সালে অমর্ত্য সেন অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পান। নোবেল পুরস্কার পাওয়া দ্বিতীয় বাঙালি তিনি। তিনিও তার বক্তব্যটি রেখেছিলেন ইংরেজিতে। বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূস ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান। ড. মুহম্মদ ইউনূস চাইলে তার বক্তব্যের পুরোটি বাংলায় দিতে পারতেন। তাতে বাংলা ভাষা বিশ্বজনের কাছে আরও পরিচিত ও সম্মানিত হতে পারত। তিনি তার ৩৫ মিনিটের ভাষণের মধ্যে মাত্র দেড় মিনিট বাংলা বলেছেন।

জাতির পিতার পর বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে চেতনায় ধারণ করে লালন করেছেন আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই তিনি জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দিতে পেরেছেন সুদৃঢ় আত্মপ্রত্যয়ে। এবারও তিনি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেবেন বাংলায়।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন ইউনেসকো ২১ ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ ঘোষণা করে। এরপর শেখ হাসিনা যতবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে এসেছেন, ততবার বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষার স্বীকৃতি দেয়ার দাবি করেছেন। ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণ ইউনেসকো স্বীকৃতি পেয়েছে।

বিশ্বব্যাপী ৩৫ কোটি মানুষ বাংলায় কথা বলে। তবে বাংলা ভাষা বলতে বিশ্ব বাংলাদেশকেই বোঝে। মাতৃভাষা বিবেচনায় বাংলা এখন চতুর্থ। সংখ্যার দিক দিয়ে সপ্তম।

ইউনেসকো ২০১০ সালে বাংলা ভাষাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুরেলা ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা পড়ানো হয়।

এদিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তার সম্মানে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের উত্তর লনের বাগানে একটি বেঞ্চ উৎসর্গের পাশাপাশি একটি বৃক্ষরোপণ করার অনুমতি দিয়েছে জাতিসংঘ। আর এই ঘটনাকে ঐতিহাসিক হিসেবে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গত সোমবার নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় জাতিসংঘ সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী এই বৃক্ষ রোপণ করেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এই বৃক্ষ শতবর্ষ পরেও টিকে থাকবে। শান্তির বার্তাই বয়ে বেড়াবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা সবসময় শান্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন। দরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্যই ছিল তার এই সংগ্রাম। ওই বৃক্ষটির কাছে বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে একটি বেঞ্চ উন্মুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। বেঞ্চটিতে বঙ্গবন্ধুর বাণী রয়েছে। গত শুক্রবার তিনি বাংলায় ভাষণ দিয়ে আবারও জাতির পিতার কথা জাতিসহ বিশ্বকে স্মরণ করিয়ে দিলেন।

লেখক: সাংবাদিক

এ বিভাগের আরো খবর