বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিশ্বসভায় বঙ্গবন্ধু, বাংলা-বাংলাদেশ

  • মুহম্মদ শফিকুর রহমান   
  • ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৫:০৩

বাংলার কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে বাংলায় কাব্য রচনা করে নোবেল পুরস্কার জিতে বাঙালি জাতিকে বিশ্বে পরিচিত করালেন আর বঙ্গবন্ধু তা বিশ্বসভায় প্রতিষ্ঠা করলেন। বাঙালিকে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। বরং গৌরবের দিক থেকে সামনের কাতারে।

২১ ফেব্রুয়ারি, ৭ মার্চ ও ২৬ মার্চের মতোই ২৫ সেপ্টেম্বর বাঙালি জাতির ইতিহাসে আরেকটি অনন্য দিন। বুক চিতিয়ে গর্ব করার দিন। ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘে বাংলা ভাষায় ভাষণ দিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু নিজে ভাষার অধিকারের জন্য লড়াই করেছেন, করেছেন কারাভোগ। ভাষার লড়াইয়ে যে অকাতরে প্রাণবিসর্জন দিয়েছিলেন বরকত, সালাম, রফিক, শফিক, জব্বারসহ আরও বঙ্গসন্তান, এই ২৫ সেপ্টেম্বরে সেই বাংলা ভাষা বঙ্গবন্ধু বিশ্বসভায় প্রতিষ্ঠা করেন।

বঙ্গবন্ধু কতভাবেই না আমাদের সম্মানিত করলেন, কতভাবেই না মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করলেন। প্রতিদানে আমরা দিলাম কী? পরিবারের অন্য সদস্যসহ হত্যা। নির্মমতা। অকৃতজ্ঞ বাঙালি এভাবে আমাদের ছোট করল। এই অপমানের প্রতিশোধ জাতির পিতার কন্যার নেতৃত্বে আমরা নিয়েছি। এটাই বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।

বাংলার কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে বাংলায় কাব্য রচনা করে নোবেল পুরস্কার জিতে বাঙালি জাতিকে বিশ্বে পরিচিত করালেন আর বঙ্গবন্ধু তা বিশ্বসভায় প্রতিষ্ঠা করলেন। বাঙালিকে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। বরং গৌরবের দিক থেকে সামনের কাতারে।

বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণটি দেয়ার কথা ছিল বিজয়ের পর পর ১৯৭২-৭৩ সালে। কিন্তু আমাদের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষে কিছু শক্তি বাংলাদেশের জাতিসংঘে প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বলে ১৯৭৪-এর ২৫ সেপ্টেম্বরের আগে ভাষণটি দিতে পারেননি। কিন্তু বাঙালির মহাকালের ইতিহাসের মহানায়ককে যে ঠেকানো যায় না বিশ্ব বুঝল একটু দেরিতে।

জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর ভাষণে বিশ্বশান্তি সমৃদ্ধি ও আত্মমর্যাদার সঙ্গে যাপিত জীবনের কথা বারবার এসেছে। বঙ্গবন্ধু বলেছেন-

“স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার অর্জনের জন্য এবং একটি স্বাধীন দেশে মুক্ত নাগরিকের মর্যাদা নিয়া বাঁচার জন্য বাঙালি জনগণ শতাব্দীর পর শতাব্দীব্যাপী সংগ্রাম করিয়াছেন, তাঁহারা বিশ্বের সকল জাতির সাথে শান্তি ও সৌহার্দ্য নিয়া বাস করিবার জন্য আকাঙ্ক্ষিত ছিলেন। যে মহান আদর্শ জাতিসংঘ সনদে রক্ষিত আছে, আমাদের লক্ষ লক্ষ মানুষ সেই আদর্শের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করিয়াছেন। আমি জানি, শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে সকল মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন উপযোগী একটি বিশ্ব গড়িয়া তোলার জন্য বাঙালি জাতি পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, আমাদের এই অঙ্গীকারের সাথে শহীদানের বিদেহী আত্মাও মিলিত হইবে।”

“বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম হইতেছে সার্বিক অর্থে শান্তি এবং ন্যায়ের সংগ্রাম আর সেই জন্যই জন্মলগ্ন হইতেই বাংলাদেশ বিশ্বের নিপীড়িত জনতার পার্শ্বে দাঁড়াইয়া আসিতেছে। জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার পরে এই ২৫ বৎসরের অভিজ্ঞতা হইতে দেখা যায় যে, এইসব নীতিমালার বাস্তবায়নে অব্যাহতভাবে কি তীব্র সংগ্রাম চালাইয়া যাইতে হইতেছে। এশিয়া, আফ্রিকা এবং ল্যাটিন আমেরিকার লক্ষ লক্ষ বীর যোদ্ধার চরম আত্মদানের মাধ্যমে শুধুমাত্র জাতিসংঘ সনদ স্বীকৃত আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার পুনরুদ্ধার সম্ভব।”

“আগ্রাসনের মাধ্যমে বে আইনিভাবে ভূখণ্ড দখল, জনগণের অধিকার হরণের জন্য সেনাবাহিনী ব্যবহার এবং জাতিগত বৈষম্য ও বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম এখনো অব্যাহত রহিয়াছে। আলজেরিয়া, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ এবং গিনিবিসাউ এই সংগ্রামে বিরাট বিজয় অর্জন করিয়াছে।”

“চূড়ান্ত বিজয়ে ইতিহাস যে জনগণ ও ন্যায়ের পক্ষেই যায়, এইসব বিজয় এই কথাই প্রমাণ করিয়াছে। কিন্তু বিশ্বের বহু অংশে এখনো অবিচার ও নিপীড়ন চলিতেছে। অবৈধ দখলকৃত ভূখণ্ড পুরাপুরি মুক্ত করার জন্য আমাদের আরব ভাইদের সংগ্রাম অব্যাহত রহিয়াছে এবং প্যালেস্টাইনি জনগণের বৈধ জাতীয় অধিকার এখনো পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয় নাই। উপনিবেশ বিলোপ প্রক্রিয়ার যদিও অগ্রগতি হইয়াছে, কিন্তু এই প্রক্রিয়া এখনো চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছায় নাই, বিশেষ করিয়া আফ্রিকার ক্ষেত্রে এই সত্যটি স্পষ্ট হইয়া উঠিয়াছে। এই অঞ্চলের জিম্বাবুয়ে (দক্ষিণ রোডেশিয়া) এবং নামিবিয়ার জনগণ জাতীয় মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্য দৃঢ়তার সাথে লড়াই করিয়া যাইতেছে। বর্ণবৈষম্যবাদ, যাহাকে মানবতার বিরোধী বলিয়া বার বার আখ্যায়িত করা হইয়াছে, তাহা এখানে আমাদের বিবেককে দংশন করা অব্যাহত রাখিয়াছে।”

মূলত এই ভাষণের পরই বিশ্বের মুক্তিকামী জনগণ আরেকজন বিপ্লবী নেতাকে তাদের মাঝে পেয়ে গেলেন। অবশ্য ওই সময়টাতে ভারতের মহীয়সী রাষ্ট্রনেতা শ্রীমতি ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী গান্ধী, যুগোস্লাভিয়ার জোসেফ ব্রোজ টিটু, আল-জিরিয়ার হুয়ারী বুমেদিন, কিউবার ফিদেল কাস্ট্রো, ফিলিস্তিনের ইয়াসির আরাফাত, চিলির ড. আলেন্দে প্রমুখ বিপ্লবী নেতৃবৃন্দ তৃতীয় বিশ্বকে জোটবদ্ধ করে বিশ্বের তাবৎ মুক্তিকামী মানুষের শত্রু সাম্রাজ্যবাদ বর্ণবৈসম্যবাদের ভিত কাঁপিয়ে তুলেছিলেন।

বাংলাদেশের জাতি-রাষ্ট্র পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ওই সময়টাতে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন তথা তৃতীয় বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের নেতা হয়ে উঠলেন। তার আগের বছর আলজিরিয়ায় জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের শীর্ষ রাষ্ট্রনেতাদের আসরেও বঙ্গবন্ধু ছিলেন সবার নেতা। সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর উচ্চারণ ছিল:

“বিশ্ব আজ দুভাগে বিভক্ত- শোষক আর শোষিত, আমি শোষিতের পক্ষে।”

বঙ্গবন্ধুর এই অকুতোভয় উচ্চারণ সেদিনের শোষিত বঞ্চিত মানুষের বুকে সাহস জুগিয়েছিল। অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে সাহস জুগিয়েছিল। দেশে দেশে সেনাবাহিনী কিংবা ধর্ম ও বর্ণবৈষম্যবাদ ব্যবহার করে যারা বিশ্বের মোড়লিপনা চালাচ্ছিল তারাও শঙ্কিত হয়ে উঠল। দেশে দেশে মুক্তিকামী মানুষের বিজয়ের রথ চলতে শুরু করল।

জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুই প্রথম রাষ্ট্রনায়ক, যিনি মাতৃভাষা বাংলায় বক্তৃতা করেন। বঙ্গবন্ধুকে প্রথমেই অনুরোধ করা হয়েছিল, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি ইংরেজিতে বক্তৃতা করবেন।’ কিন্তু প্রিয় মাতৃভাষা বাংলার প্রতি সুগভীর দরদ ও মমত্ববোধ থেকে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমি মাতৃভাষা বাংলায় বক্তৃতা করতে চাই। সিদ্ধান্তটি তিনি আগেই নিয়েছিলেন।

ভাষণে তার বিশ্বচিন্তা ও বৈশ্বিক নেতৃত্বগুল ফুটে ওঠার প্রমাণ মেলে এখানে-

“বিশ্ব খ্যাদ্য সংস্থার বিবেচনায় শুধু বাঁচিয়া থাকার জন্য যে সর্বনিম্ন সামগ্রীর প্রয়োজন, তাহার চাইতেও কম ভোগ করিয়াছে যেসব মানুষ, তাহারা আজ অনাহারের মুখে পতিত হইয়াছে। দরিদ্র দেশগুলির ভবিষ্যৎ আরও অন্ধকার। শিল্পোন্নত দেশগুলির রপ্তানি পণ্য, খাদ্যসামগ্রীর ক্রমবর্ধমান মূল্যের দরুন তাহা আজ ক্রমশ তাহাদের নাগালের বাহিরে চলিয়া যাইতেছে। খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ম্ভরতা অর্জনের জন্য তাহাদের প্রচেষ্টাও প্রয়োজনীয় উৎপাদনের সহায়ক সামগ্রীর ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি ও দুষ্প্রাপ্যতার ফলে প্রচণ্ডভাবে বিঘ্নিত হইতেছে। পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতির ফলে ইতিমধ্যেই দারিদ্র্য ও ব্যাপক বেকারির নিষ্পেষণে পতিত দেশগুলি তাহাদের পাঁচ হইতে ছয় শতাংশ উৎপাদন বৃদ্ধির হার সংবলিত পরিমিত উন্নয়ন পরিকল্পনা ছাঁটাই করার ভয়ানক আশঙ্কার হুমকিতে পতিত হইয়াছে। এই মুদ্রাস্ফীতির ফলে কেবলমাত্র উন্নয়ন প্রকল্পের খরচই বহুগুণ বাড়িয়া যায় নাই, উপরন্তু তাহাদের নিজস্ব সম্পদ কাজে লাগাইবার জন্য তাহাদের সামর্থ্যও প্রতিকূলভাবে কমিয়া গিয়াছে।

এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বিশ্বের জাতিসমূহ ঐক্যবদ্ধভাবে কার্যক্রম গ্রহণ করিতে না পারিলে মানুষের দুঃখ-দুর্দশা আরও চরমে উঠিবে, ইতিহাসে ইহার প্রমাণ পাওয়া যায়। মানুষের সেই দুঃখ-দুর্দশার আর কোনো পূর্ববর্তী নজির পাওয়া যাইবে না। ইহার পাশাপাশি অবশ্য থাকিবে গুটিকয়েক লোকের অপ্রত্যাশিত সুখ-সমৃদ্ধি। শুধুমাত্র মানবিক সংহতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ গড়িয়া তোলা এবং পারস্পরিক স্বনির্ভরতার স্বীকৃতি এই পরিস্থিতির যুক্তিযুক্ত সমাধান আনিতে পারে এবং এই মহাবিপর্যয় পরিহার করিবার জন্য জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ অত্যাবশ্যক।

একটি যথার্থ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়িয়া তোলার পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘকে এর আগে কোথাও এই ধরনের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করিতে হয় নাই। এই ধরনের ব্যবস্থায় শুধুমাত্র নিজ নিজ প্রাকৃতিক সম্পদের উপর প্রত্যেক রাষ্ট্রের সার্বভৌম অধিকারকে নিশ্চিত করাই নয়, ইহাতে একটি স্থায়ী এবং যথার্থ অর্থনৈতিক ব্যবস্থার জন্য বিশ্বের দেশগুলির সাধারণ স্বার্থের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক কাঠামো প্রণয়নেরও ব্যবস্থা থাকিতে হইবে। এই মুহূর্তে আমরা প্রত্যেক মানুষের জন্য মানবাধিকারের আন্তর্জাতিক ঘোষণায় স্বীকৃত মুক্তভাবে অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সুবিধা ভোগের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করার আন্তর্জাতিক দায়িত্বের কথা দ্ব্যর্থহীনভাবে পুনরুল্লেখ করিতেছি। আন্তর্জাতিক ঘোষণা অনুযায়ী, প্রত্যেকটি মানুষের স্বাস্থ্য এবং পরিবারের কল্যাণের জন্য পর্যাপ্ত জীবনযাত্রার ব্যবস্থা নিশ্চিত করিতে হইবে। আমরা এই ব্যাপারে সম্পূর্ণ সচেতন যে বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট শুধুমাত্র শান্তি এবং আন্তর্জাতিক সমঝোতার পরিবেশেই সমাধান করা সম্ভব।

এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে, বর্তমান অস্ত্র প্রতিযোগিতা নিয়ন্ত্রণ করার জরুরি ব্যবস্থা নিতে হইবে। ইহাতে শুধুমাত্র এই ধরনের পরিবেশই সৃষ্টি হইবে না, ইহাতে অস্ত্রসজ্জার জন্য যে বিপুল সম্পদ অপচয় হইতেছে, তাহাও মানবতার কল্যাণে নিয়োজিত করা যাইবে। বাংলাদেশ প্রথম হইতেই শান্তিপূর্ণ সহ-অবস্থান ও সকলের প্রতি বন্ধুত্ব— এই নীতিমালার উপর ভিত্তি করিয়া জোটনিরপেক্ষ নীতি গ্রহণ করিয়াছে। কেবলমাত্র শান্তিপূর্ণ পরিবেশই কষ্টলব্ধ জাতীয় স্বাধীনতার ফল ভোগ করিতে আমাদেরকে সক্ষম করিয়া তুলিবে এবং সক্ষম করিয়া তুলিবে দারিদ্র্য, ক্ষুধা, রোগ, অশিক্ষা ও বেকারির বিরুদ্ধে লড়াই করিবার জন্য আমাদের সকল শক্তি ও সম্পদকে সমাবেশ ও কেন্দ্রীভূত করিতে। এই ধারণা হইতে জন্ম নিয়াছে শান্তির প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি। এই জন্য সমঝোতার অগ্রগতি, উত্তেজনা প্রশমন, অস্ত্র সীমিতকরণ এবং শান্তিপূর্ণ সহ-অবস্থান নীতির সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, ল্যাটিন আমেরিকা— বিশ্বের যেকোনো অংশে যে কোনো প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হউক না কেন, আমরা তাহাকে স্বাগত জানাই। এই নীতির প্রতি অবিচল থাকিয়া আমরা ভারত মহাসাগরীয় এলাকা সম্পর্কে শান্তি এলাকার ধারণা, যাহা এই পরিষদ অনুমোদন করিয়াছে, তাহাকে সমর্থন করি।”

সম্প্রতি নিউইয়র্ক স্টেটের রাজধানী আলবেনিতে অনুষ্ঠিত সিনেট অধিবেশনে ‘বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে’ বিলটি উত্থাপিত হলে সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করা হয় এবং তারিখটিকে স্টেট ক্যালেন্ডারের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

নিউইর্য়ক স্টেট সিনেটের ওয়েবসাইটে দেয়া রেজ্যুলেশনে এই সংবাদ দিয়ে উল্লেখ করা হয় যে, যেহেতু ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের অধিবেশনে প্রথমবারের মত বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান বাংলায় ভাষণ দিয়েছিলেন সেজন্য এই দিনটি নিউইর্য়কের বাংলাদেশি অভিবাসীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আজকের এইদিনে মহাকালের ইতিহাসের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করছি।

লেখক: সংসদ সদস্য, চাঁদপুর-৪

এ বিভাগের আরো খবর