প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোভিড-১৯ মহামারি থেকে জীবন বাঁচাতে মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হয়েছেন। মার্কিন প্রভাবশালী ফোর্বস ম্যাগাজিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন উদ্যোগের প্রশংসা করেছে। এর অনুসরণ করে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামও প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকার প্রশংসা করেছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এবং করোনা পরিচালনা ও টিকা কার্যক্রমের জন্য তার ভূয়সী প্রশংসা করে এবং এই খাতে ৯৪০ মিলিয়ন আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেয়।
টানা এক যুগেরও বেশি সময় দেশসেবার সুযোগ পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নতি ঘটাতে সক্ষম হয়েছেন। তার স্বীকৃতি জাতিসংঘের এই এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন অনেক স্বীকৃতি তিনি পেয়েছেন। এর আগে কমনওয়েলথভুক্ত দেশের সরকারপ্রধানদের মধ্যে অন্যতম সফল এবং অনুকরণীয় তিনজন নারী সরকারপ্রধানের একজন নির্বাচিত হন আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) দারিদ্র্য দূরীকরণ, পৃথিবীর সুরক্ষা এবং সবার জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণের সর্বজনীন আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের সঠিক পথে অগ্রসরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার’-এ ভূষিত করা হয়েছে। গত ২০ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে টেকসই উন্নয়ন বিষয়ে নবম বার্ষিক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে (ভার্চুয়াল) এই পুরস্কার গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্জনের জন্য এসডিএসএনসহ কয়েকটি সংস্থা প্রধানমন্ত্রীকে পুরস্কৃত করেছে। তারা বাংলাদেশের অবস্থা বিশ্লেষণ করেছে এবং মূল্যায়ন করে দেখেছে- বাংলাদেশ বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করছে। এ পুরস্কার বাংলাদেশের জনগণকে উৎসর্গ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও উন্নয়ন কৌশলবিদ অধ্যাপক জেফ্রি ডি স্যাকসের নেতৃত্বে জাতিসংঘ মহাসচিবের পৃষ্ঠপোষকতায় ২০১২ সালে এসডিএসএন প্রতিষ্ঠা করা হয়। টেকসই উন্নয়নের জন্য বাস্তবভিত্তিক সমাধান জোরদারে বিশ্বের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত বিশেষজ্ঞদের কাজে লাগানোই এ প্ল্যাটফর্মের লক্ষ্য। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক শেখ হাসিনাকে ‘জুয়েল ইন দি ক্রাউন অব দি ডে’ হিসেবে তুলে ধরেন এবং বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাস চলাকালেও এসডিজি প্রচারণা কার্যক্রম চালাতে তার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
এ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এ পুরস্কার হচ্ছে এসডিজি’র লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে জোরালো দায়িত্ব পালনের একটি প্রমাণপত্র। প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের (ইউএনজিএ) ফাঁকে কয়েকটি আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজিত জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সরকারপ্রধানদের গুরুত্বপূর্ণ রুদ্ধদ্বার বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
এ অনুষ্ঠানে স্যাকস বলেন, এ পুরস্কার হচ্ছে এসডিজির লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে জোরালো দায়িত্ব পালনের একটি প্রমাণপত্র। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী প্রজন্মের জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যৎ রেখে যাওয়ার জন্য একটি ‘সার্বিক বৈশ্বিক’ উদ্যোগের মাধ্যমে এই গ্রহের জরুরি অবস্থা মোকাবিলার জন্য বিশ্বনেতাদের প্রতি আশু সাহসী ও জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি নিউইয়র্কে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা-বিষয়ক নেতৃবৃন্দের এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এ আহ্বান জানান। বৈঠকে এ ব্যাপারে তিনি ছয়টি সুপারিশ পেশ করেছেন।
শেখ হাসিনা তার প্রস্তাবে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখতে প্যারিস চুক্তির কঠোর প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার জলবায়ু তহবিল আদায়ের ওপরও জোর দেন। এ তহবিলের ৫০ শতাংশ বিশেষ করে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোতে অভিযোজন ও স্থিতিস্থাপকতার জন্য ব্যবহার করা হবে।
উন্নয়নশীল দেশগুলোতে নতুন আর্থিক প্রক্রিয়া এবং সবুজ প্রযুক্তি হস্তান্তরের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে লোকসান এবং ক্ষয়ক্ষতির সমস্যা আর সেই সঙ্গে বৃহৎ আকারের জনসংখ্যার স্থানচ্যুতি মোকাবিলার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, মহামারি ও দুর্যোগের দ্বৈত বিপদ মোকাবিলায় বিশেষ করে জলবায়ু-সৃষ্ট দুর্যোগের বর্ধিত পৌনঃপুনিকতা আক্রান্ত সিভিএফ দেশগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা প্রয়োজন। শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে তাদের অভিযোজন ও প্রশমন প্রচেষ্টায় সহায়তা করার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব তুলে ধরে তিনি বলেন, জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো বৈশ্বিক গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনে সবচেয়ে কম অবদান রাখে, কিন্তু তারাই সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী। প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রতিক আইপিসিসি রিপোর্টের উল্লেখ করে বলেন, এটি ভবিষ্যৎ সম্পর্কে একটি ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরছে। কেননা বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে চলে গেলে তারা স্থায়ী ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় তার সরকারের ভূমিকা সম্পর্কে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ অভিযোজন ও স্থিতিস্থাপকতার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক পথিকৃৎ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
সম্প্রতি ইউএনএফসিসিসি’তে বাংলাদেশ একটি উচ্চাভিলাষী ও হালনাগাদ এনডিসি জমা দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার সবুজ প্রবৃদ্ধি, স্থিতিস্থাপক অবকাঠামো এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’ গ্রহণ করেছে। তিনি এটা স্পষ্ট করেন যে, সরকার জলবায়ু ঝুঁকি থেকে জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং তা থেকে জলবায়ু সমৃদ্ধির পথে যাত্রা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ) এবং ভি২০-এর চেয়ার হিসেবে তার সরকারের মূল লক্ষ্য জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর স্বার্থ রক্ষা করা। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ঢাকাস্থ জিসিএ দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে অন্যান্য জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর সঙ্গে সর্বোত্তম অনুশীলন এবং অভিযোজন জ্ঞান শেয়ার করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি উল্লেখ করেন যে, “স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্থনৈতিক কার্যক্রম নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। ক্ষুধা, দারিদ্র্য, নিরক্ষরতামুক্ত এবং ধর্মনিরপেক্ষ এক সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করব। তিনি বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে বলেন, কারণ কোভিড-১৯ মহামারি সত্ত্বেও আমাদের জিডিপি ৫.২৪% উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি। যখন অনেক উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশ কোভিড-১৯ মহামারির কারণে নেতিবাচক অবস্থার সঙ্গে লড়াই করছে”। তিনি বলেন, বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে এবং দেশের রেমিট্যান্স-প্রবাহ, কৃষি উৎপাদন এবং রপ্তানিতে পরিবর্তন এসেছে।
কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে সঙ্গে এর মোকাবিলায় দেশের সামগ্রিক চিকিৎসা ব্যবস্থার গতি বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্য বিভাগে একটি সমন্বিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়। উন্নততর কার্যকর চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ৪,০০০ নতুন চিকিৎসক, ৫,০৫৪ জন নার্স, ১,২০০ হেলথ টেকনোলজিস্ট ১,৬৫০ হেলথ টেকনিশিয়ান, ১৫০ কার্ডিওগ্রাফার এবং এক হাজার স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেয়া হয়।
কোভিড-১৯ সংক্রমণের তথ্য এবং পরিষেবা সরবরাহ করতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে হটলাইনে ৪,২১৮ চিকিৎসক যুক্ত করা হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে ৪৮ সদস্যের জাতীয় কমিটি গঠন করা হয় এবং বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের নেতৃত্বে একটি ১৮ সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল গঠন করা হয়। প্রায় ১১০০ আইসিইউ বেড ছাড়াও প্রায় ১২০০০ সাধারণ বেডসহ দেশে কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালের সংখ্যা বাড়িয়ে ১৫ করা হয়। ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতাল, যা কোভিড-১৯ সহযোগিতা কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রস আধনাম গ্যাবরিয়াস কভিড-১৯ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলা করা এবং একই সঙ্গে অর্থনীতিকে সচল রাখা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়, যদিও কোভিড-১৯ অভিযোজন এবং অর্থনৈতিক বিকাশকে টেকসই করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে।
এমনকি সারা বিশ্ব আজ দেড় বছরের অধিক সময় ধরে করোনা অতিমারিতে বিপর্যস্ত হয়ে আছে। এই মহামারি সামাল দিতে গিয়ে বিশ্বের উন্নত-অনুন্নত সব দেশের সরকারপ্রধানেরই দিশাহারা অবস্থা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যথেষ্ট সফলতার সঙ্গে কোভিড-১৯ মহামারি সামলে চলেছেন। বিশ্বের অনেক বিশেষজ্ঞই এই করোনা মহামারি ম্যানেজ করার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে আমাদের দেশকে উদাহরণ হিসেবে নিয়ে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে থাকেন।
এই প্রশংসনীয় কাজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমসাময়িক অন্য যেকোনো বিশ্বনেতার চেয়ে অনন্য এবং স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের অধিকারী এবং তিনি বিশ্বের ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্টের অন্যতম প্রধান নেতা। এমনকি কোভিড-১৯ চলাকালেও পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল প্রকল্প এবং অন্যান্য মেগা প্রকল্পগুলো কার্যকরভবাবে এগিয়ে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েও মনোবল ও বিচক্ষণতার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ কোভিড-১৯ সংকট কাটিয়ে উঠে এবং অদম্য উন্নয়নে আরও এগিয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী জনগণকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে, তিনি জনগণের টিকার ব্যবস্থা করবেন ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১ পর্যন্ত প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৩ কোটি ৮৫ লাখ মানুষ এবং ১ম ও ২য় উভয় ডোজ সম্পন্ন করেছেন ১ কোটি ৫৪ লাখ মানুষ। ইতোমধ্যে কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালে শেখ হাসিনা তার সুদূরপ্রসারী কর্মপরিকল্পনায় দেশের মানুষের জন্য সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
উন্নত অনেক দেশ যখন টিকা কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি, তখন প্রধানমন্ত্রীর অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে এই ভ্যাকসিন বাংলাদেশে আসে; এটি একটি অকল্পনীয় সাফল্য। বাংলাদেশ সরকার কোভিড-১৯ প্রতিরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্দেশিত ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করছে এবং এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ ভালোভাবে মোকাবিলা করেছে। একই সঙ্গে, অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখার চেষ্টা করছে।
বাংলাদেশের ধারাবাহিক অর্থনৈতিক উন্নতিসহ এমন সব যুগান্তকারী অর্জন সাধিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। জাতিসংঘের এই পুরস্কারটি এমন একটি সময় প্রদান করা হলো, যা সময়ের এবং বিরূপ বিশ্বপরিস্থিতির বিবেচনায় এই পুরস্কার অতীতের যেকোনো সময়ের পুরস্কার ও স্বীকৃতির চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ। একটু বাড়তি আনন্দ যোগ হতে পারে এ জন্য যে, জাতীয়ভাবে মুজিব শতবর্ষ পলনকালে এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার জন্মমাসে (২৮ সেপ্টেম্বর জন্মদিন) এ পুরস্কার পাওয়া গেল।
বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থসামাজিক উন্নতিতে ইতোমধ্যে অনেকের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে এবং দেশ-বিদেশে বসে যারা প্রিয় মাতৃভূমির বিরুদ্ধে অপপ্রচারের লিপ্ত রয়েছে তাদের জন্য উপযুক্ত জবাব হিসেবে দেখা যেতে পারে।
বিশ্বে বাংলাদেশের অর্জন ও সুনাম ক্ষুণ্ন করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্টের উদ্দেশ্যে দেশ-বিদেশে একটি মহল ক্রমাগত ষড়যন্ত্র এবং চক্রান্ত অব্যাহত রেখেছে। এ রকম বৈরী পরিবেশ মোকাবিলা করে সফলভাবে দেশ পরিচালনার অভিজ্ঞতা একমাত্র শেখ হাসিনা ছাড়া বিশ্বে আর কোনো নেতার নেই। প্রতিকূলতা, প্রতিবন্ধকতা এবং সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে সফল নেতৃত্ব দিয়ে বিশ্বে একটি অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় এবারের জাতিসংঘ এসডিজি অপ্রগতি পুরস্কার আরেক অসাধারণ এক স্বীকৃতি।
লেখক: প্রাবন্ধিক ও রিসার্চ ফেলো, বিএনএনআরসি