বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রক্ত উপত্যকা আফগানিস্তান কবে স্বস্তির দেশ হবে

  •    
  • ২৭ আগস্ট, ২০২১ ১৬:৩২

টানা ৪২ বছর আফগানিস্তান সোভিয়েত, তালেবান এবং মার্কিন বাহিনীর অবস্থানের কারণে শুধু রক্তক্ষয়ী যুদ্ধই দেখেনি, উগ্র জঙ্গিবাদী শক্তির উত্থান ও বিস্তারের এক উর্বর ভূমিতেও পরিণত হয়েছে। এর প্রভাব বিস্তৃত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং আমাদের উপমহাদেশে। কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না আফগানিস্তানে নতুন নেতৃত্ব দেশের মানুষকে সামান্য স্বস্তি দিতে পারবে কি না।

তালেবানরা রক্তপাতহীনভাবে কাবুলে প্রবেশ করেছে চলতি মাসের ১৫ তারিখে। মার্কিন বাহিনী আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে দেশটি ছেড়ে যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০ বছর তাদের সেনাপ্রহরায় আফগানিস্তান নিয়ন্ত্রণ করেছিল। আশরাফ ঘানি সরকার উৎখাত হয়। প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি দেশ ছেড়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আশ্রয় নেন। আফগানিস্তানের বিশাল সেনাবাহিনী কোনো ধরনের প্রতিরোধ না করেই তালেবানদের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পথ খুলে দিয়েছে। এসব ছিল বেশ বিস্ময়কর। সরকার পতনের পর তালেবান নেতারা আফগানিস্তানে ফিরতে শুরু করেছে। এখনও তারা কোনো সরকার গঠন করেনি। আফগানিস্তান থেকে অসংখ্য মানুষ শরণার্থী হয়ে ইউরোপ ও আমেরিকায় পাড়ি জমাচ্ছে। অনেকে এখনও যাওয়ার অপেক্ষায় আছে।

ধারণা করা হচ্ছে ৩১ আগস্টের পর আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে। তালেবানদের সঙ্গে অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর সমঝোতা হলে একটি অন্তর্বর্তীকালীন তালেবান ও অ-তালেবান মিলিয়ে সরকার গঠন হতে পারে। যে সরকারই গঠিত হোক না কেন তাতে তালেবানদের প্রভাব নিরঙ্কুশ থাকবে এমনটি নিশ্চিত করেই বলার কারণ আছে। একটি ধারণা দেয়া হচ্ছে যে, তালেবানরা এবার বেশ কৌশলী এবং অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেই পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। তবে আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে তালেবানদের নতুন উত্থানের প্রতি অনেকের যেমন নীরব সমর্থন ও পর্যবেক্ষণ রয়েছে, আবার অনেকেই অতীত অভিজ্ঞতা থেকে তালেবানদেরকে বিশ্বাসে কিংবা আস্থায় নিতে পারছে না। যারা আস্থায় নিতে পারছেন না তাদের একটি অংশ দেশত্যাগে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারাই কাবুল বিমানবন্দরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশত্যাগের অপেক্ষায় আছে। তালেবানরা সরকার গঠন এখনও না করলেও সব কিছু তারাই নিয়ন্ত্রণ করছে, তাদের আদেশ-নির্দেশ সবখানে পালন ও প্রচার করা হচ্ছে।

গণমাধ্যম থেকে যতটুকু জানা যাচ্ছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে যে, দেশ ছাড়া এবং ছাড়তে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা আফগানদের বেশিরভাগই ডাক্তার, প্রকৌশলী এবং বিভিন্ন পেশার বিশেষজ্ঞ। আফগানিস্তানে এ ধরনের অভিজ্ঞ ও দক্ষ বিশেষজ্ঞের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। এদের এভাবে দেশ থেকে চলে যাওয়ার দৃশ্য দেখেই তালেবান মুখপাত্ররা তাদেরকে বিদেশে না যাওয়ার আহবান জানিয়েছেন। আফগানিস্তানে তাদেরকে কাজ করার ক্ষেত্রে কোনো বাধা দেয়া হবে না এবং আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে তাদের সুযোগ দেয়া হবে বলেও নিশ্চয়তা দেয়া হচ্ছে। এরপরও দক্ষ ও অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞদের অনেকেই চলে যাচ্ছেন। কেউ কেউ হয়ত যাত্রা করছেন। বিশেষজ্ঞদের দেশে রাখার উপলব্ধি তালেবানদের একটু দেরিতে হয়েছে কি না জানি না। তবে প্রথম থেকেই তালেবানদের কিছু বক্তব্যে অনেকেই তাদেরকে আগের অভিজ্ঞতা ও পরিচয় থেকেই বুঝে নিয়েছেন। বিশেষত নারী স্বাধীনতা দেশে যেটুকু অর্জিত হয়েছে, সেটি তালেবান শাসনামলে থাকবে না সেই উপলব্ধি সাধারণ সচেতন নারীদের প্রথম থেকেই ছিল। নারীরা এখনও রাস্তায় বের হওয়ার ক্ষেত্রে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছে। তাদের জীবন-জীবিকাও কতটা তালেবানরা চলতে দেবে সেটি নিশ্চিত নয়। তালেবানদের মুখপাত্রের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেয়া হচ্ছে যে, নারীরা চাকরি করতে পারবে, তবে আপাতত তাদেরকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে।

আফগানিস্তানে অদূর ভবিষ্যতে শরিয়া আইন চালু হতে যাচ্ছে- এটি নিশ্চিত করে বলে হয়েছে। ফলে আফগানিস্তানে নারী স্বাধীনতা, নারী শিক্ষা, নারীদের চাকরি এবং আফগানদের মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার কতটা রক্ষা করা হবে সে সম্পর্কে সন্দেহের যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। তাছাড়া ভবিষ্যৎ সরকারে তালেবানদের মতাদর্শগত প্রভাব নিরঙ্কুশ থাকলে আফগানিস্তান অচিরেই পুরাতন দ্বন্দ্বে আবার জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কেননা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, গণতান্ত্রিক বিশ্ব আফগানিস্তান থেকে যত বেশি দূরে সরে যাবে তত বেশি চীন, রাশিয়া, পাকিস্তান এবং মধ্যপ্রাচ্যের উগ্র মতাদর্শের রাষ্ট্র ও সরকারগুলোর প্রভাব রাষ্ট্র ও দেশটির ভেতরের সংঘাতকে আরও জটিল করে তুলবে। এমনিতেই আফগানিস্তান অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও বিভিন্ন জাতিগত দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বে এক কঠিন সময় অতিক্রম করছে। এই মুহূর্তে খাদ্যসংকট তীব্র হয়ে উঠছে, অন্যান্য পণ্য সামগ্রীও মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানে কোনো কঠোর তালেবানি শাসন দিয়ে পরিবর্তন সম্ভব হবে না।

বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চলে যাওয়ার পর আফগানিস্তানে এখন বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর সমন্বয়ে একটি জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠন অপরিহার্য। সেই সরকারকে অবশ্যই হতে হবে মধ্যপন্থার। তাহলেই কেবল দেশটিতে আর্থ-সামাজিক, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তন ও উন্নয়নের ধারা সৃষ্টির যে সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে সেটি কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলে আফগানিস্তান দীর্ঘ সময় যেমন নানা যুদ্ধ বিগ্রহ, দ্বন্দ্ব-সংঘাতে একটি রক্ত উপত্যকায় পরিণত হয়েছিল আগামীতেও দ্বন্দ্ব-সংঘাতের অবসান এবং দারিদ্র্য বিমোচন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হলে অতীতের পুনরাবৃত্তি ঘটার সম্ভাবনা থেকে যাবে।

আফগানিস্তান একটি অর্ধলক্ষ বছরের জনবসতিপূর্ণ একটি ভুখণ্ড। এখানে সুদূর অতীতকাল থেকেই বিদেশিদের দখল, বসতি স্থাপন, প্রভাব বিস্তার ঘটেছে। কিন্তু আফগানদের নিজস্ব রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে ওঠার সুযোগ খুব কমই এসেছে। এখানে বর্তমানে ৪২ শতাংশ যে পশতুন জনগোষ্ঠী বসবাস করছে এরাই আদি আফগান। কিন্তু এই আফগানরা ‘আফগান’ পরিচয়ে প্রাচীন ও মধ্যযুগে নিজেদের কোনো রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারেনি। বিদেশিদের আক্রমণ ও শাসনে আফগান ভূখণ্ড শাসিত হয়েছে।

১৭০৯ সালে গুরগিন খানকে পরাজিত করে ঝিলজাই গোত্রের নেতা মিরওয়াইস হুতাক প্রথম স্বাধীন আফগান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন। অভ্যন্তরীণ নানা দ্বন্দ্ব-সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার কারণে ১৭৭২ সালের পর থেকে আফগানিস্তানের বিরাট অংশ প্রতিবেশীদের দখলে চলে যায়। ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৮৩৯-৪২ সাল আফগানিস্তান দখলে প্রথম ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধ সংঘটিত করে। যুদ্ধে আফগানরা জয়ী হয় এবং কাবুলের ক্ষমতায় দোস্ত মুহম্মদ খান বসেন। ব্রিটিশরা আফগানিস্তান দখলের ইচ্ছা ত্যাগ করেনি। শের আলী খানের শাসনামলে ১৮৭৮ সালে ইংরেজরা দ্বিতীয়বার আফগানিস্তান আক্রমণ করে।

দুই বছর যুদ্ধের পর ইংরেজরা আফগান ক্ষমতা গ্রহণ করলেও অভ্যন্তরীণ শাসন স্থানীয়দের হাতে রেখে বিদেশনীতি নিজেদের হাতে নিয়ে আসে। আফগানিস্তান ব্রিটিশদের আধা উপনিবেশে পরিণত হয়। কিন্তু আফগান জাতিগোষ্ঠী বিদেশি কতৃত্ব গ্রহণ করতে পারেনি। স্বাধীনচেতা আফগানরা ইংরেজদের বিতাড়িত করার জন্য ১৯১৯ সালের ৬ মে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। এই যুদ্ধ অল্পসময়ের মধ্যেই পরিসমাপ্তি ঘটে। সন্ধি অনুযায়ী আফগানরা ইংরেজদের ভারতসীমান্ত ডুরান্ড এলাকা পর্যন্ত মেনে নেয়, ইংরেজরা আফগানিস্তানের স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনার অধিকার ফিরিয়ে দেয়।

২০ শতকের শুরু থেকে আফগানিস্তানে পাশ্চাত্যের প্রভাব, নারী স্বাধীনতা, শিল্প-সাহিত্য ও শিক্ষার প্রভাব বাড়তে থাকে। আমানউল্লাহর শাসনামলে (১৯১৯-১৯২৯) আফগানিস্তানে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছিলেন। আফগান সমাজে পরিবর্তনের এই হাওয়া রক্ষণশীল সম্প্রদায়ের পছন্দ হয়নি। ১৯২৯ সালে ক্ষমতা দখল করেন নাদির খান।

১৯৩৩ সালে তিনি নিহত হলে জহির শাহ রাজা হন। ১৯৭৩ সালে রাজা জহির শাহকে ক্ষমতাচ্যুত করে আফগানিস্তানকে প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করে দাউদ খান। ১৯৭৮ সালে পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি সামরিক বাহিনীর সমর্থনে ক্ষমতা দখল এবং দাউদ খানকে হত্যা করে। নূর মুহাম্মদ তারাকী প্রেসিডেন্ট হন। আফগানিস্তানে সামাজিক ও রাজনৈতিক বিপ্লব নিশ্চিত করার জন্য সেনাবাহিনী ও তারাকী সরকার সোভিয়েত বাহিনীকে আমন্ত্রণ জানায়। সোভিয়েত বাহিনীর এই অবস্থানটি আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে, মধ্যপ্রাচ্য ও পশ্চিমা দুনিয়া মেনে নিতে পারেনি। সেখান থেকে শুরু হয় রক্তপাতের আরেক নতুন অধ্যায়, গঠিত হয় বিদেশি সাহায্যে মুজাহিদিন বাহিনী। আফগান সরকারকে উৎখাতের জন্য দেশি এবং আন্তর্জাতিক সব শক্তি ভয়াবহ এক যুদ্ধে লিপ্ত হয়।

১৯৮৯ সালে সোভিয়েত বাহিনী চলে যাওয়ার পর আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এই গৃহযুদ্ধে ১৯৯২ সালের সরকারের পতন হয় কিন্তু একদল মুজাহিদিন তালেবান নামে উগ্র জঙ্গিবাদী দল গঠন করে ১৯৯৬ সালে কাবুল দখল করে নেয় । যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সহায়তায় ২০০১ সালে তালেবানদের ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ এবং পশ্চিমা দুনিয়ার সমর্থনে আফগানিস্তানে প্রায় ২০ বছর যাবৎ বিভিন্ন মেয়াদে সরকার ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু গৃহযুদ্ধ ও রক্তপাত বন্ধ করা যায়নি। তালেবানরা দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে তাদের অবস্থান ধরে রেখেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সামরিক খাতে বিপুল অর্থ ব্যয় করেও শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তানে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের অভ্যন্তরীণ সমালোচনার চাপে আফগানিস্তান থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। সেখান থেকে তালেবানদের সঙ্গে কাতারের রাজধানী দোহারে ২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তালেবানদের আফগান সরকারের মর্যাদা প্রদান করে। এই চুক্তি অনুযায়ী জো বাইডেন মার্কিন সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়। আফগান সরকারের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যায়। তালেবানরা বিনা বাধায় কাবুল দখল করে নেয়।

টানা ৪২ বছর আফগানিস্তান সোভিয়েত, তালেবান এবং মার্কিন বাহিনীর অবস্থানের কারণে শুধু রক্তক্ষয়ী যুদ্ধই দেখেনি, উগ্র জঙ্গিবাদী শক্তির উত্থান ও বিস্তারের এক উর্বর ভূমিতেও পরিণত হয়েছে। এর প্রভাব বিস্তৃত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং আমাদের উপমহাদেশে। কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না আফগানিস্তানে নতুন নেতৃত্ব দেশের মানুষকে সামান্য স্বস্তি দিতে পারবে কি না। যদি তা বিশ্বাস করত তাহলে এভাবে ভিটেমাটি, ঘরবাড়ি ছেড়ে অগ্রসর আফগানরা বিদেশে অনিশ্চিত জীবন গ্রহণ করতে এতটা মরিয়া হয়ে উঠতো না। কেউ এটিও জানে না আগামী দিনের মধ্য এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য আফগানিস্তানকে কেন্দ্র করে কেমন শান্তিতে থাকতে পারবে?

লেখক: অধ্যাপক-গবেষক।

এ বিভাগের আরো খবর