বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ কবে?

  •    
  • ৫ জুলাই, ২০২১ ১৭:২৪

এনটিআরসিএর গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এমপিওভুক্ত ও নন-এমপিও স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৩১ হাজার ১০১ জনকে, মাদ্রাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনায় ২০ হাজার ৯৯৬ জনকে এবং সংরক্ষিত ২ হাজার ২০৭ জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ৫৪ হাজার শিক্ষককে কবে নিয়োগের সুপারিশ করবে শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে অপেক্ষা যেন শেষ হচ্ছে না নিয়োগ প্রত্যাশীদের। এনটিআরসিএ বলছে, আড়াই হাজার নিবন্ধনধারীকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ বাতিলে আপিল বিভাগের আদেশের সার্টিফাইড কপি হাতে পেলেই শেষ হবে অচলাবস্থা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ-এর সচিব ড. এ টি এম মাহবুব-উল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আদালত (আপিল বিভাগ) আমাদের পক্ষে রায় (আড়াই হাজার নিবন্ধনধারীকে নিয়োগ দিতে হাইকোর্টের আদেশ বাতিল) দিয়েছে। এ রায় যুগান্তকারী।

‘সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে আশা করছি, ৩-৪ দিনের মধ্যে রায়ের সার্টিফাইড কপি হাতে পাব। কপি হাতে পাওয়ার পরই ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ৫৪ হাজার নিয়োগের ফল প্রকাশ করা হবে।’

মাহবুব-উল করিম জানান, ফল প্রকাশের জন্য আনুষঙ্গিক সব ধরনের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

তবে আড়াই হাজার শিক্ষক নিয়োগ প্রত্যাশীদের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর বিচার-বিশ্লেষণ করে পরবর্তী পদক্ষেপ (রিভিউ) নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এনটিআরসিএ থেকে জানা যায়, গত ২৯ জুন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের সঙ্গে ৫৪ হাজার নিয়োগের ফল প্রকাশ নিয়ে পরামর্শ করে এনটিআরসিএর কর্তৃপক্ষ।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনটিআরসিএর এক কর্মকর্তা বলেন, রায়ের সার্টিফাইড কপি হাতে পাওয়ার পর রায় বিচার-বিশ্লেষণ করে ফল প্রকাশ করার বিষয়ে জোর দিয়েছেন উপমন্ত্রী।

দ্রুত ফল প্রকাশ চান চাকরিপ্রত্যাশীরা

নিয়োগপ্রত্যাশী মো. তৌফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক দিন ধরে আমরা এই নিয়োগের ফলের আশায় আছি। ২ বছর পর এই বিজ্ঞপ্তি (৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি) প্রকাশিত হয়েছে। করোনার এই মহামারিতে অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষাও বন্ধ। তাই আমরা চাই দ্রুত এনটিআরসিএ ফলাফল ঘোষণা করুক।’

তৃতীয় গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আরেক নিয়োগপ্রত্যাশী মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘এই নিয়োগে আবেদনের জন্য অনেক কষ্ট করে টাকা জোগাড় করেছিলাম। কিন্তু এত দিন পার হলেও এখনও ফল প্রকাশ হয়নি, যা দুঃখজনক। এনটিআরসিএ-এর কাছে দ্রুত এ নিয়োগের ফল প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।’

এই গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগপ্রত্যাশী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি শান্ত আহমেদ বলেন, ‘ফল প্রকাশ নিয়ে এনটিআরসিএ যে তালবাহানা শুরু করেছে তা মানা যায় না। আমরা যেকোনো উপায়ে দ্রুত ফল প্রকাশ করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের হস্তক্ষেপ চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘করোনার এই সময়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উচ্চশিক্ষিত বেকাররা। একদিকে কোনো নিয়োগ পরীক্ষা নেই, অন্যদিকে চাকরির বয়সও শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমরা এক গভীর সংকটের মধ্যে আছি। পরিবারের সবাই এই নিয়োগের ফলের আশায় অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।’

শিক্ষক নিবন্ধনের ১ থেকে ১২তম পর্যন্ত পাস করেও চাকরি না পাওয়া ২ হাজার ৫০০ জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে এনটিআরসিএকে সুপারিশ করে রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট। সে রায় ২৮ জুন বাতিল করে দেয় আপিল বিভাগ।

চলতি বছরের ৩০ মার্চ তৃতীয় ধাপে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫৪ হাজার ৩০৪ শিক্ষক নিয়োগে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ।

গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এমপিওভুক্ত ও নন-এমপিও স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৩১ হাজার ১০১ জনকে, মাদ্রাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনায় ২০ হাজার ৯৯৬ জনকে এবং সংরক্ষিত ২ হাজার ২০৭ জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর