বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

২০১৯ সালের সেরা স্টার্টআপ এবার পেল ১৯০ কোটি টাকা বিনিয়োগ

  • জসিম উদ্দিন আকাশ, ডেস্ক    
  • ২৭ অক্টোবর, ২০২০ ২০:১১

শপআপ, ২০১৯ সালে দেশ সেরা স্টার্টআপ নির্বাচিত হয়েছিল। তিন তরুণের গড়ে তোলা শপআপ ১৯ অক্টোবর বিনিয়োগ পায় ১৯০ কোটি টাকা। প্রথম বাংলাদেশি উদ্যোগ হিসেবে ‘সিরিজ এ’ বিনিয়োগ পেল প্রতিষ্ঠানটি। নিউজবাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন শপআপের প্রধান নির্বাহী ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা আফিফ জুবায়ের জামান

শপআপ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের আস্থার নাম। প্রতিষ্ঠানটি মূলত ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের এক ছাদের নিচে আনার কাজ করে।

এ ছাড়া উৎপাদনকারীকে পাইকারি বিক্রেতার সঙ্গে, পাইকারি বিক্রেতাকে খুচরা বিক্রেতার সঙ্গে এবং খুচরা বিক্রেতাকে ক্রেতার সঙ্গে সংযুক্ত করে প্রতিষ্ঠানটি।

পণ্য পৌঁছে দেওয়া, ই-পেমেন্ট, অনলাইনে দোকান চালানো থেকে শুরু করে একটা ছোট ব্যবসা চালাতে যত ধরনের সুবিধা লাগে, তার সবই পাওয়া যায় শপআপের কাছে।

 

বিনিয়োগ ১৯০ কোটি টাকা

২০১৬ সালে শুরু হওয়া শপআপ পাচ্ছে বেশ বড় অঙ্কের বিনিয়োগ। ‘সিরিজ এ’ তহবিল থেকে এই বিনিয়োগের চূড়ান্ত তথ্য ১৯ অক্টোবর প্রতিষ্ঠানকে জানানো হয়।

বিনিয়োগের পরিমাণ ১৯০ কোটি টাকা। মূলত নতুন কোনো উদ্যোগ যখন প্রাথমিক পুঁজি নিয়ে বাজারে ভালো ফল দেখায়, তাদের ক্ষেত্রে সিরিজ এ শ্রেণির বিনিয়োগ করা হয়।

 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ২০১৯ সালে দেশ সেরা স্টার্টআপ অ্যাওয়ার্ড নিচ্ছে সিফাত সারওয়ার

 

যারা বিনিয়োগ করছে

সিকোয়া ক্যাপিটাল ইন্ডিয়া, ফ্লারিশ ভেঞ্চার, ভিওন ভেঞ্চার ও স্পিডইনভেস্ট এবং সিঙ্গাপুরের লনসডেল ক্যাপিটাল সম্মিলিতভাবে শপআপে বিনিয়োগ করছে।

এই প্রথম বাংলাদেশের কোনো উদ্যোগ এত বড় অর্থ বিনিয়োগ পাচ্ছে।

নতুন এই বিনিয়োগ দিয়ে শপআপ আরও বেশি ক্ষুদ্র ব্যবসাকে তাদের প্ল্যাটফর্মের আওতায় নিয়ে আসতে চায়। 

 

অনলাইনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য

খুব দ্রুতই শপআপ অনলাইন ও অফলাইনের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য একটি পরিপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হয়ে ওঠে।

চলতি বছরের এপ্রিল থেকে আগস্টে আশপাশের দোকান থেকে তাদের অর্ডার বেড়েছে সাড়ে আট গুণ, আর পার্সেল সরবরাহ বেড়েছে ১৩ গুণ।

মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য এখন অনলাইনে সন্ধান করছে। ক্ষুদ্র বিক্রেতারাও টিকে থাকার জন্য অনলাইনে আসতে চাচ্ছেন।

 

বর্তমান সেবা

বর্তমানে শপআপ সাড়ে ছয় লাখের বেশি ব্যবসাকে সেবা দিচ্ছে, যা এশিয়ায় খুচরা ব্যবসায় এক অনন্য উদ্যোগ।

ছয়টি আলাদা পণ্যের মাধ্যমে গ্রাহকদের সেবা দেয় শপআপ। এর মধ্যে মোকাম ও শপআপ রিসেলের মাধ্যমে বিভিন্ন স্তরের ব্যবসায়ীদের যুক্ত করা হয়।

শপআপ ই-লোন ব্যবসায়ীদের ঋণসহায়তা দিয়ে থাকে।

শপআপ স্টোর ও শপআপ অ্যাসিস্ট ব্যবসা ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করে এবং রেডএক্স ডেলিভারি সার্ভিস পণ্যকে ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছে দেয়।

চাইলে আপনিও যুক্ত হতে পারেন

শপআপের সঙ্গে যুক্ত হওয়া খুবই সহজ। গুগল প্লে-স্টোরে থাকা শপআপের তিনটি অ্যাপ ডাউনলোড করে একজন উদ্যোক্তা রিসেলিং, ই-লোন ও ডেলিভারি সেবার সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন।

ওয়েবসাইট থেকেও বিভিন্ন সেবা ব্যবহারের সুযোগ মিলবে।

 

স্বপ্ন

আগামীর স্বপ্নের কথা জানতে চাইলে শপআপের প্রধান নির্বাহী ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা আফিফ জুবায়ের জামান নিউজবাংলাকে বলেন, 'এই দশক হচ্ছে আমাদের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের উত্থান এবং সফলতা অর্জনের দশক।

আমরা অনলাইন ও প্রযুক্তির সহায়তায় ক্ষুদ্র এবং মাঝারি ব্যবসার সফলতা অর্জনে বিশ্বাস করি। মূলত এই উদ্দেশ্যেই শপআপের যাত্রা শুরু।'‌

শপআপের উদ্যোক্তা আতাউর রহিম চৌধুরীও স্বর মেলান আফিফ জুবায়ের জামানের সঙ্গে। তিনিও বলেন, 'তথ্যপ্রযুক্তি এবং ইন্টারনেটই আমাদের প্রধান হাতিয়ার।

আর তা ব্যবহার করে ক্ষুদ্র ব্যবসাকে আরও প্রসারিত করবে শপআপ।'

প্রতিষ্ঠানের আরেক উদ্যোক্তা সিফাত সারওয়ার বলেন, 'আগামী এক দশকে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ব্যবসাকে আরও পরিণত করে তুলতে চাই আমরা।' 

এ বিভাগের আরো খবর