চলতি অর্থবছরের প্রস্তাবিত নতুন বাজেটে দেশের সাংস্কৃতিক খাতে এক শতাংশ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ।
মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি জানান জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি সংস্কৃতি। ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে সংস্কৃতি নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। আমরা প্রস্তাব করছি, চলতি বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সংস্কৃতির জন্য বরাদ্দ ০.০৯৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে কমপক্ষে এক শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হোক।’
গোলাম কুদ্দুস বলেন, ‘মানবিক, অসাম্প্রদায়িক সমাজ নির্মাণে মানুষের চিন্তায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে দেশব্যাপী সাংস্কৃতিক জাগরণ প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের বিনিয়োগ অপরিহার্য। নামেমাত্র অনুদান দিয়ে সর্বগ্রাসী সংকট থেকে জাতিকে রক্ষা করা যাবে না।’
সাংস্কৃতিক অঙ্গনের উন্নতির জন্য সংবাদ সম্মেলন থেকে আরও ৯ দফা দাবি তুলে ধরেন তিনি।
এগুলো হলো-
১। প্রতি উপজেলায় সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নির্মাণ করা। একই সঙ্গে প্রতি উপজেলায় একজন প্রথম শ্রেণির শিল্পকলা অফিসার এবং সংগীত, নাটক, নৃত্য, আবৃত্তি ও চারুকলার স্থায়ী প্রশিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।
২। প্রতি জেলায় আধুনিক মিলনায়তন ও মুক্তমঞ্চ নির্মাণ করতে হবে। জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সংগীত, নাটক, নৃত্য, আবৃত্তি ও চারুকলার স্থায়ী প্রশিক্ষক দিতে হবে।
৩। রাজধানীসহ প্রত্যেক জেলায় সরকারি উদ্যোগে একটি যাত্রা প্যান্ডেল নির্মাণ করা।
৪। ঢাকা শহরে প্রতি পাঁচ লাখ লোকের জন্য একটি আধুনিক মিলনায়তন নির্মাণ করা।
৫। অসচ্ছল শিল্পীকে মাসে কমপক্ষে ১০ হাজার টাকা সহায়তা দেয়া।
৬। সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানকে সরকারিভাবে বার্ষিক এক লাখ টাকা অনুদান দেয়া।
৭। জাতীয় পর্যায়ে সাংস্কৃতিক ফেডারেশন এবং জাতীয় পর্যায়ে অবাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎসব আয়োজনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেয়া।
৮। কর্মহীন সংস্কৃতিকর্মীদের বিনা সুদে ক্ষুদ্র ঋণ দেয়া।
৯। প্রতি জেলায় চারুকলা প্রদর্শনীর জন্য আর্ট গ্যালারি এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনের জন্য মিনি অডিটরিয়াম নির্মাণ করা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি জুনায়েদ চৌধুরী, জয় বাংলা সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সালাহ উদ্দিন বাদল, পথনাটক পরিষদের সভাপতি মিজানুর রহমান, গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ফকির আলমগীরসহ অনেকে।