আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট ‘ব্যবসাবান্ধব’ হওয়ায় খুশি বেনাপোলের ব্যবসায়ীরা। বাজেটের প্রভাবে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধির সাথে সাথে রাজস্ব আদায় বাড়বে বলে তারা মনে করছেন।
বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এমদাদুল হক লতা বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য যে বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে তা ব্যবসাবান্ধব ও জনবান্ধব। এ বাজেট দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করবে।
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব আলহাজ শামছুর রহমান বলেন, এবারের বাজেট অন্য বছরের তুলনায় ব্যবসাবান্ধব। বাজেটে শুল্কহার ও জরিমানা কমায় ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ ও আমদানিতে আগ্রহী হবে। বাজেটে আমদানি কর কমায় আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। আর আমদানির পরিমাণ বাড়লে রাজস্ব আদায়ও বৃদ্ধি পাবে।
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সাবকমিটির পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, কল্যাণমুখী বাজেটের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির সাথে সাথে দেশে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে। অর্থনীতির চাকা আরও সচল হবে। ভাগ্যের উন্নয়ন হবে সাধারণ মানুষের, এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ মফিজুর রহমান সজন বলেন, এবারের বাজেটে সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। বিনিয়োগ বেড়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। কমবে বেকারত্ব।
এদিকে বাজেটের প্রভাবে বিভিন্ন পণ্যের দাম কমা-বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। আর তাই ব্যবসায়ীরা গত কয়েক দিনে দোকানে মালামাল রাখছেন কম। ফলে বেনাপোলসহ শার্শা বাজারে বিভিন্ন পণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।
খুচরা বিক্রেতারা জানান, বাজেটের পর পাইকারি বিক্রেতারা তাদের মালামাল সরবরাহ করেননি। ফলে কিছু কিছু পণ্যের সংকট আছে।
বিশেষ করে নির্মাণসামগ্রীর দোকানে মালামাল নেই। বাজেটের আগে মিলমালিকরা তাদের পুরোনো অর্ডার বাতিল করে দিয়েছেন। এখন নতুন দাম হিসাব করে অর্ডার নেয়া হবে। এবারের বাজেটে রড-সিমেন্টের দাম কমার সম্ভাবনা থাকায় এ পরিস্থিতি বলে জানান ব্যবসায়ীরা।