বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাজেট: শিল্পায়নে বিশেষ বরাদ্দ না পেয়ে হতাশা

  •    
  • ৪ জুন, ২০২১ ২১:২২

রংপুর চেম্বার সভাপতি মোস্তফা চৌধুরী টিটু বলেন, ‘বাজেটে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া রংপুর বিভাগের ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পায়নের জন্য তেমন কোনো সুযোগ-সুবিধা ও বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়নি। দারিদ্র্য নিরসন ও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে রংপুর চেম্বারের প্রস্তাবগুলো সংশোধিত বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানাই।’

শিল্পায়নে পিছিয়ে পড়া রংপুর বিভাগের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়নি। নেয়া হয়নি বিশেষ মেগা প্রকল্প। বিভাগওয়ারি বৈষম্য দূর করতে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের দাবি তুলেছিলেন এ অঞ্চলের মানুষ।

শিক্ষাবিদ ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজেট তাদেরকে হতাশ করেছে।

দারিদ্র্য নিরসন ও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে শিল্প প্রতিষ্ঠায় উত্থাপিত প্রস্তাবগুলো সংশোধিত বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করার পুনর্দাবি জানিয়েছেন তারা।জরিপ অনুযায়ী, উন্নয়নের দৌড়ে অন্য বিভাগের চেয়ে পিছিয়ে রংপুর। বাড়ছে দারিদ্রের হার। ২০১০ সালে রংপুরে দারিদ্রের হার ছিল ৪২ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০১৬ সালে দাঁড়িয়েছে ৪৭ দশমিক ২ শতাংশ। আর গেল বছরের জরিপে দারিদ্রের হার ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ।

বৈষম্য দূর করতে রংপুর বিভাগে শিল্পায়নে জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের দাবি তুলেছিলেন সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবার ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রংপুর বিভাগের জন্য বিশেষ কোনো বরাদ্দ মেলেনি।

পঞ্চগড়ে চা বাগান, নীলফামারী ইপিজেড, রংপুর, গাইবান্ধা ও ঠাকুরগাঁওয়ে তিনটি চিনিকল ছাড়া ভারী কোনো শিল্পকারখানা নেই রংপুর বিভাগে। এ অঞ্চল আজও কৃষিনির্ভর।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, ‘বাজেট নিয়ে আমরা খুবই বিরক্ত। হাজার হাজার কোটি টাকার মেগা প্রজেক্ট চলছে, একটিও নেই রংপুরে। সরকারের হিসাবে রংপুর বিভাগে দুই কোটি মানুষ। এর এককোটিই গরীব। এই দারিদ্র দূরীকরণে কোনো কর্মসূচি নেই।

‘আমরা যে বৈষম্যে ছিলাম তা আছিই। এ থেকে বের হতে হলে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে।’

ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তা তাসলিমা তাসনিম কনা বলেন, ‘এ অঞ্চলে শিল্পায়নে সরকারকে বিশেষ তহবিল গঠন করতে হবে। একই সঙ্গে নিয়োগকারীদের কর ও ব্যাংক ঋণ প্রদানে সুবিধা প্রদান এবং দ্রুত গ্যাস সরবরাহ প্রয়োজন।গ্যাস না থাকায় ছোট শিল্প-কারখানাগুলো যেমন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তেমনি নতুন করে কোনো শিল্পও গড়ে উঠছে না। আমাদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে।’

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) রংপুর মহানগর কমিটির সভাপতি ফখরুল আনাম বেঞ্জু বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হচ্ছে সৈয়দপুরে। এখানে কারগো বিমান নামার সুযোগ আছে। এখন বিদেশি বিনিয়োগ দরকার। বাণিজ্যিক করিডোর করা যেতে পারে। সেজন্য অর্থনৈতিক জোন করা দরকার।’

বেঞ্জু বলেন, ‘কৃষিতে সম্ভাবনার অঞ্চল রংপুর। তাই কৃষি শিল্পকারখানা এবং বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এতে কর্মসংস্থান বাড়বে। অন্যদিকে অর্থনীতি চাঙা হবে। রংপুরে যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে? মেগা প্রজেক্ট কেন চালু করা হবে না? আমাদেরকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।’

রংপুর চেম্বারের সভাপতি মোস্তফা চৌধুরী টিটু বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে রংপুর বিভাগে পোশাক ও কৃষি ভিত্তিক শিল্প জোন গড়ে তোলার পাশাপাশি বিভাগের আট জেলার উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দ রাখা প্রয়োজন ছিল। উত্তরাঞ্চলের উন্নয়নের স্বার্থে ‘নর্থ বেঙ্গল ডেভেলপমেন্ট মিনিস্ট্রি’ গঠনের মত বিষয়গুলো অর্ন্তভুক্ত থাকা উচিৎ।’তিনি বলেন, ‘বাজেটে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া রংপুর বিভাগের ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পায়নের জন্য তেমন কোনো সুযোগ-সুবিধা ও বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়নি। দারিদ্র্য নিরসন ও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে রংপুর চেম্বারের প্রস্তাবগুলো সংশোধিত বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানাই।’

রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোরশেদ হোসেন বলেন, ‘এ অঞ্চলের দারিদ্র প্রশমনে এডিপিতে অবশ্যই বরাদ্দ বেশি দিতে হবে। বিশেষ করে কৃষি ভর্তুকি, শিল্পকারখানা, শিক্ষা ও চিকিৎসায় বেশি নজর দিতে হবে।

এ বিভাগের আরো খবর