নারী উদ্যোক্তাদের করমুক্ত আয়ের সীমা ৫০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭০ লাখ টাকা করার প্রস্তাব আশাব্যঞ্জক। এতে পুরুষের পাশাপাশি ব্যবসার প্রতি নারী উদ্যোক্তাদের আগ্রহ বাড়বে। স্বনির্ভরতা বাড়বে। এটাই এই বছরের বাজেটের অন্যতম ইতিবাচক দিক।
বাজেট নিয়ে এমনটাই বললেন বগুড়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ নারী উদ্যোক্তা তাহমিনা পারভীন শ্যামলী।
তিনি মনে করেন, বিশেষ কারণ ছাড়া বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষ কাজের জন্য বাইরে যেতে চায় না। কৃষি নির্ভর এলাকা হওয়ায় ঘরে থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। অথচ এদের শ্রমশক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন সম্ভব।
তিনি বলেন, ‘এই বাজেট উত্তরাঞ্চলে বিনিয়োগবান্ধব পরিস্থিতি তৈরি করবে।’
গত বছর বগুড়া থেকে ১৪ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৫ কোটি ২৬ লাখ ২১ হাজার ৯৪ ডলারের পণ্য বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই আয়ের পরিমাণ ৪৪৫ কোটি ২৫ লাখ ৯৮ হাজার ৬৬ টাকা। ভৌগোলিক দিক থেকেও খুব গুরুত্বপূর্ণ এই জেলা। অথচ বড় কোনো কলকারখানা গড়ে ওঠে। এবারের বাজেটে এই দিকটির দিকে বিশেষ বরাদ্দের দাবি ব্যবসায়ীদের।
এবারের বাজেট ব্যবসাবান্ধব ও বিনিয়োগবান্ধব হিসেবে মন্তব্য করেছেন বগুড়া চেম্বার অফ কমার্সের পরিচালক মাহফুজুল ইসলাম রাজ।
তিনি বলেন, ‘রপ্তানি আয়ের দিক থেকে বগুড়া অনেক কারণে আশা জাগানিয়া জায়গা। এই বাজেট বিনিয়োগবান্ধব হওয়ায় বগুড়ায় দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে। এতে এই অঞ্চলে বড় বড় শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে। এতে উত্তরের বিভিন্ন অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে।’
উত্তরবঙ্গের অন্যতম ব্যবসা কেন্দ্র বগুড়া। পর্যটন শিল্প থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যবসায়ও অনেকটা এগিয়ে এ জেলা। বিভিন্ন কারণে এখানে গড়ে উঠেছে প্রায় শতাধিক হোটেল রেস্টুরেন্ট।
বগুড়া হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান বলেন, ‘আসলে কোনো এলাকার উন্নয়ন ঘটাতে গেলে শিল্পকারখানার বিকল্প কিছু নেই। পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের জন্য বাজেটে আরও বিশেষ কিছু দরকার।’
বগুড়া রিয়েল অ্যাস্টেট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাইরুল ইসলাম বলেন, ‘বগুড়ায় আাবাসন ব্যবসা অনেক উচ্চতর অবস্থানে চলে আসছে। কিন্তু দেশের সামগ্রিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা এই অঞ্চলের তেমন উন্নয়ন হয়নি। এবার ব্যবসাবান্ধব বাজেট প্রণয়ন হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি সদিচ্ছা থাকলে এই অঞ্চলের উন্নয়ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’