বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জীবন-জীবিকা ও সমৃদ্ধির বাজেট: চট্টগ্রাম চেম্বার

  •    
  • ৩ জুন, ২০২১ ২২:৩২

চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘চট্টগ্রাম শাহ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর উন্নয়ন ও টার্মিনাল নির্মাণ করা হলে এই বিমান বন্দরের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পাবে। তবে বে-টার্মিনাল নির্মাণে সুনির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণা করা এবং চলমান মেগা প্রকল্পসমূহ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।’

জাতীয় সংসদে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটকে জীবন-জীবিকা ও সমৃদ্ধির বাজেট বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম।

বাজেট পরবর্তী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বাজেটে কর্পোরেট ট্যাক্স হ্রাস ও দেশীয় শিল্পকে সুবিধা প্রদান অর্থনীতিকে বেগবান করবে উল্লেখ করে এ বাজেট অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। একই সঙ্গে স্থানীয় ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহ যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে বলেও মনে করেন সভাপতি।

মাহবুবুল আলম বলেন, ‘উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা এবং একই সাথে বর্তমান পরিস্থিতিতে অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করার জন্য প্রস্তাবিত বাজেট সময়োপযোগী। কৃষি খাতে এবং যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে বরাদ্দ বাড়ানো ইতিবাচক।’

তিনি বলেন, আয় না থাকলে সম্পদের ওপর সারচার্জ পরিশোধের বিধান বাতিল করা হয়েছে এবং ন্যূনতম সারচার্জ বিলুপ্ত করা হয়েছে, যা প্রশংসনীয়। তবে ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো হয়নি। আমরা এ সীমা বৃদ্ধির দাবি জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘আমদানি পর্যায়ে সিমেন্ট শিল্পের কাঁচামাল এবং সিমেন্ট ও লৌহ জাতীয় পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে উৎসে কর কমানোয় নির্মাণ শিল্প এবং রপ্তানি উপকৃত হবে।’

মাহবুবুল আলম বলেন, ‘চট্টগ্রাম শাহ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর উন্নয়ন ও টার্মিনাল নির্মাণ করা হলে এই বিমান বন্দরের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পাবে। তবে বে-টার্মিনাল নির্মাণে সুনির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণা করা এবং চলমান মেগা প্রকল্পসমূহ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।’

এছাড়া তিনি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক আট লেনে উন্নীতকরণসহ দ্রুতগতির ট্রেন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও স্যাটেলাইট সিটি নির্মাণে প্রয়োজনীয় বরাদ্দের দাবিও জানান।

‘দেশের জনগণ সরাসরি উপকৃত হবে’

বাজেটে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রির শুল্ক কমানোয় দেশের জনগণ সরাসরি উপকৃত হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি খলিলুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘বাজেটে করোনা মহামারি মোকাবিলায় ১০ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে মহামারিতে দেশের জনগণকে বাঁচানোর জন্য উক্ত থোক বরাদ্দ ৩০ হাজার কোটি টাকায় উত্তীর্ণ করার সুপারিশ করছি।’

খলিলুর রহমান বলেন, ‘তৈরী পোশাক শিল্প খাতে ১ শতাংশ হারে প্রণোদনার প্রস্তাব চালু রাখার সিদ্ধান্ত বর্তমান পরিস্থিতিতে অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। অন্যদিকে কৃষি যন্ত্রপাতির শুল্ক কমিয়ে দেয়ায় দেশে কৃষি উন্নয়নসহ দেশের জিডিপি টার্গেট এগিয়ে নিবে।’

তিনি বলেন, ‘বেশ কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর শুল্ক কমিয়ে দেয়ায় দেশের জনগণ সরাসরি উপকৃত হবে বলে আমি মনে করি। পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, চট্টগ্রাম বে-টার্মিনাল, কর্ণফুলী ট্যানেল এবং চট্টগ্রাম কক্সবাজার রেল পথ প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানাচ্ছি। এসব প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের ফলে দেশের অর্থনীতির উন্নয়নের সাথে সাথে পর্যটন ক্ষেত্র থেকেও বিপুল রাজস্ব আয় আসবে বলে আমরা মনে করি।’

‘বৈশ্বিক মহামারি মোকাবিলার বাজেট’

মহামারির এই কঠিন সময়ে প্রস্তাবিত বাজেট অত্যন্ত সাহসী এবং সময়োপযোগী বলে মন্তব্য করেছেন চিটাগাং উইম্যান চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট মনোয়ারা হাকিম আলী।

তিনি বলেন, ‘পর পর দুই ধাপে মহামারির কারণে দেশের সর্বস্তরের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এমন মুহূর্তে বর্তমান সরকারের ঘোষিত বাজেট দেশের মানুষকে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখালো।’

মনোয়ারা হাকিম আলী বলেন, ‘মহামারি মোকাবিলায় ও স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ আরও বৃদ্ধির প্রয়োজন ছিল। তবে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রাম জেলার বাইরের জেলায় শিশু ও নবজাতক, নারী ও মাতৃস্বাস্থ্য, অনকোলজি, ওয়েল্ডিং ও প্রিভেনটিভ মেডিসিন ইউনিট থাকা সাপেক্ষে নূন্যতম ২৫০ শয্যার সাধারণ হাসপাতাল এবং ২০০ শয্যার বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপনে ১০ বছর পর্যন্ত কর ছাড়ের প্রস্তাব দেশের স্বাস্থ্য-খাতকে তৃণমূল পর্যায়ে পূনর্গঠন করতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।’

তিনি বলেন, ‘শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো মহামারিতে ভেঙে পড়া শিক্ষাখাতকে জাগিয়ে তুলবে। কৃষি-পল্লী উন্নয়ন এবং কৃষিখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর ফলে মহামারির এই দুঃসময়ে দেশের খাদ্য-নিরাপত্তার ঝুঁকি কমবে। এছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা খাত, যোগাযোগ ও অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ বাড়ানোয় সাধারণ জনগনের জীবন-মানের উন্নয়ন ঘটবে।’

মহিলা চেম্বারের সভাপতি বলেন, ‘নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে বাজেটে নানামুখী প্রস্তাবনাসমূহের সঠিক বাস্তবায়ন হলে দেশের নারীর অগ্রযাত্রায় সহায়ক ভূমিকা রাখবে। করোনা মহামারিতে সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত নারী উদ্যোক্তারা পুনরুজ্জীবিত হবে।’

এই নারী ব্যবসায়ী বলেন, ‘দরিদ্র ও অসহায় নারীদের আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ ও আইটি প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়। মহিলাদের জন্য ঢাকায় কমিউনিটি নার্সিং ডিগ্রী কলেজ স্থাপন, তৃণমূল পর্যায়ে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশ সাধন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পিছিয়ে পড়া নারীর উন্নয়ন হবে বলে আশা করছি।’

তিনি বলেন, ‘নারী উদ্যোক্তাদের একটি বড় খাত বিউটি পার্লার ব্যবসা। যেখানে উদ্যোক্তা, কর্মী ও সেবাগ্রহীতা প্রায় সকলেই নারী। এছাড়া পিছিয়ে পড়া আদিবাসী নারীরাও এই ব্যবসায় সরাসরি সম্পৃক্ত। এই খাতে সেবার মূল্য বৃদ্ধির ফলে মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত নারী উদ্যোক্তারা পুনরায় হুমকির মুখে পড়বে।’

মনোয়ারা হাকিম আলী বলেন, ‘বাজেটে আদিবাসী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সম্প্রদায়ের জীবন-মান উন্নয়ন এবং ক্ষুদ্র শিল্পে তাদের চলমান অংশগ্রহণ ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আলাদাভাবে প্রকল্প গ্রহণের প্রস্তাব করছি। যার ফলে তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি কৃষ্টি ও ঐহিত্য ধরে রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’

এ বিভাগের আরো খবর