বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বড় প্রকল্পে বেশি টাকা

  •    
  • ৩ জুন, ২০২১ ২২:০৯

বাজেটে সরকারের ফাস্ট ট্রাক প্রকল্পসহ বড় প্রকল্পে বড় বরাদ্দ রাখা হয়েছে। শুধু ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পে যাবে সম্মিলিত ভাবে ৩৮ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা।

আগামী অর্থবছরের (২০২১-২২) বাজেটে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ বড় প্রকল্পগুলো এগিয়ে নিতে চায় সরকার। এ জন্য এসব প্রকল্পে বড় অংকের অর্থ বরাদ্দও রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ৬ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকার যে বাজেট প্রস্তাব করেছেন, তাতে এক-তৃতীয়াংশের বেশি অর্থ ব্যয় হবে উন্নয়ন খাতে। আর বড় প্রকল্পগুলোতে যাবে উন্নয়ন বাজেটের প্রায় ২৫ শতাংশ অর্থ।

অর্থমন্ত্রী বাজেট প্রস্তাবে বলেন, ‘আমাদের সরকারের অন্যতম মৌলিক অঙ্গীকার হলো, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের মাধ্যমে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন। বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য বেসরকারি বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি, রপ্তানি বাণিজ্যের প্রসার, ব্যবসাবান্ধব কর ব্যবস্থাপনা, আর্থিক খাতের সংস্কার, সরকারি বিনিয়োগ তথা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বৃদ্ধি ইত্যাদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিষয়ে অগ্রাধিকার প্রাদান করা হয়ে থাকে।

‘অবকাঠামো খাতের মেগা প্রকল্প যেমন পদ্মা সেতু, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ, দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা সমুদ্র বন্দর, মহেশখালীর মাতারবাড়িতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, ঢাকা মেট্রোরেল ইত্যাদিসহ অবকাঠামো খাতের জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প।’

বাজেটে সরকারের ফাস্ট ট্রাক প্রকল্পসহ বড় প্রকল্পে বড় বরাদ্দ রাখা হয়েছে। শুধু ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পে যাবে সম্মিলিত ভাবে ৩৮ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা।

বাজেটে সর্বোচ্চ ১৮ হাজার ৪২৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে। বরাদ্দ বেড়েছে ৮ হাজার ২৫৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি টাকা।

৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্প পদ্মা সেতুতে রাখা হয়েছে ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে প্রকল্পের কাজ ৮৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। আর মূল সেতুর কাজ হয়েছে ৯৩ শতাংশ। আগামী বছরের জুনেই সেতুর মূল কাজ শেষ হওয়ার আশা রয়েছে।

পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পে রাখা হয়েছে ৩ হাজার ৮২৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

এছাড়া মাতারবাড়ি ২৬০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে রাখা হয়েছে ৬ হাজার ১৬২ কোটি টাকা।

দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে গুনদুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পে রাখা হয়েছে ১ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা। মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে আগারগাঁও রুটের নির্মাণে রাখা হয়েছে ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।

পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দরের দুই উন্নয়ন প্রকল্পে রাখা হয়েছে ৫৭০ কোটি টাকা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্পে ৩ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পে ৩ হাজার ২২৭ কোটি টাকা ২০ লাখ টাকা, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পে ২ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা, কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ প্রকল্পে ১ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে।

এডিপির আকার

গত মাসে এনইসি বৈঠকে নতুন এডিপি অনুমোদন হয়। আগামী অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি ১৪ লাখ টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে সরকারি তহবিলের ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৮৮ হাজার ২৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা যোগান দেয়া হবে। এডিপির এই আকার চলতি অর্থবছরের মূল এডিপির তুলনায় ২০ হাজার ১৭৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বেশি। এছাড়া সংশোধিত এডিপির তুলনায় ২৭ হাজার ৬৮১ কোটি ১৪ লাখ টাকা বেশি।

এ বিভাগের আরো খবর