বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘বাজেট বুজি না, ধান আলুর দাম দেও’

  •    
  • ৩ জুন, ২০২১ ২১:৩৭

বাজেটে কোন জিনিসের দাম বাড়ল আর কোনটার কমল, এ নিয়েও তেমন মাথাব্যথা নেই রংপুরের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর। উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য না পাওয়া আর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি নিয়েই তাদের সব চিন্তা।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেছেন বৃহস্পতিবার। এ নিয়ে দেশের রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা মাথা ঘামালেও তাতে আগ্রহ নেই রংপুরের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর।

উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাওয়া না-পাওয়া নিয়েই তাদের সব চিন্তা। বাজেটে কোন জিনিসের দাম বাড়ল আর কোনটার কমল, এ নিয়েও তেমন মাথাব্যথা নেই তাদের। শুধু চিন্তা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম যেন না বাড়ে।

রংপুরের পীরগাছার সাতদরগা এলাকার কৃষক মোখলেছুর রহমান মুকুল বলেন, ‘বাজেট দিয়ে আমাদের আর কী হইবে...। যেইলে জিনিস কিনি খাই, ওইলার দাম কমুক। পেঁয়াজের দাম ওমরা যেন না বাড়ায়।

‘মরিচের দাম হয় ২০০ টাকা, এইলের দাম বাড়লে তো কিনবেন পামো না। তোমরা সরকারোক কন ওমরা যেন হামরা যেইলে কিনি খাই সেইলের দাম না বাড়ায়...।’

তিনি আরও বলেন, ‘তোমরা কী করেন করো, বাজেট-টাজেট বুঝিনে, হামার ধান আর আলুর দাম বাড়ায়ে দেও।’

একই এলাকার নুর ইসলাম বলেন, ‘বাজেট দিয়ে হামার কৃষকের কী হইবে? তোমরা কী হামার আলুর দাম দিবেন, ধানের দাম দিবেন? ধান তো মশমোত (মৌসুম) ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় বেচাই। ধান বেচেয়া খচ্চের (খরচ) টাকা ওঠে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘হামার বাজেট-টাজেট দরকার নাই। সারা দিন কাজ করি। রাইতোত পাক করি খাই; ঘুমাই। তোমরা কী করবেন, কিসের দাম বাড়াবেন আর কমাবেন, সেটা আল্লাহ জানে আর সরকার জানে। এইলা কয়া কী করি, ওমরা যেটা করার সেটা করবেন।’

শাহাদত হোসেন নামে এক কৃষক বলেন, ‘কার কতা কাই শোনে চৈত মাসোত বান’। ও সাম্বাদিকের ছোয়া (সাংবাদিকের ছেলে) দুঃখের কতা কাই শোনে বাহে...

‘কৃষকরা ধানের দাম নাই, আলুর দাম নাই...। হামরা যে আলুত খরচ করি, সেই দাম পাই না। আলু নিয়ে সরকারের চিন্তা থাকলে হামরা ঠিকই দাম পাইলাম হয়, তাই না?’

চাষের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানো উৎপাদিত পণ্যের দাম বাড়ানোর দাবিও জানান তিনি।

ওয়াজেদুল ইসলাম রাজু নামে এক চাষি জানান, এক দোন (২৪ শতক) জমিতে ধান হয় আট থেকে ১০ মণ। খরচ হয় ৫ হাজার টাকার বেশি। বর্তমান দামে সাড়ে পাঁচ মাসে লাভ হয় দুই থেকে তিন হাজার টাকা। এই টাকায় কৃষকের চলে না।

আলুচাষিদের অবস্থাও একই জানিয়ে তিনি বলেন, একই পরিমাণ জমিতে আলু হয় ২০ থেকে ৩০ বস্তা। সেখানেও লাভ নেই। সরকারের উচিত এসব জায়গায় বিশেষ নজর দেয়া।

রংপুর চেম্বারের সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষি গবেষণা, সম্প্রসারণ ও উপকরণে অধিক বরাদ্দ থাকা উচিত। রংপুর বিভাগের অর্থনীতি মূলত কৃষিনির্ভর। তাই সংশোধিত বাজেটে রংপুর বিভাগে কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প জোন স্থাপনের ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের সুদৃষ্টি দিতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর