বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিনিয়োগ সহায়ক সামাজিক নিরাপত্তার বাজেট: ডিসিসিআই

  •    
  • ৩ জুন, ২০২১ ২০:৪৯

ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, রাজস্ব সহায়ক বেশ কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপের কারণে ঘোষিত বাজেট বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানবান্ধবও হয়েছে।

প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বিনিয়োগ সহায়ক, সামাজিক নিরাপত্তা এবং অন্তর্ভূক্তিমূলক বাজেট বলে মন্তব্য করেছে ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই)।

নতুন অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের ওপর ঢাকা চেম্বারের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সংগঠনের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেট একটি ব্যয়বহুল বাজেট হলেও এর মাধ্যমে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, ব্যবসায়ীদের আর্থিক প্রণোদনা, সামাজিক নিরাপত্তা ব্যয় বৃদ্ধি ও জনগণকে করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি থেকে রক্ষার উদ্যোগ রয়েছে। ফলে এটি জীবন জীবিকার ভারসাম্য রক্ষায় একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক বাজেট হয়েছে। তাছাড়া রাজস্ব সহায়ক বেশ কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপের কারণে ঘোষিত বাজেট বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানবান্ধবও হয়েছে।’

তবে এত বড় বাজেট বাস্তবায়ন এই সময়ে চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মন্তব্য করেন রিজওয়ান রাহমান। তিনি বলেন, ডিসিসিআই রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ জানাচ্ছে। একই সঙ্গে ব্যাংকিং খাত ছাড়া বিকল্প অর্থ সংস্থানের জন্য শক্তিশালী পুঁজিবাজার ও বন্ড মার্কেট গঠনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণেরও প্রস্তাব করেন তিনি।

রিজওয়ান রাহমান বলেন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে বাজেটে লিস্টেড ও নন-লিস্টেড কোম্পানীর ২ দশমিক ৫ শতাংশ করপোরেট কর হার কমানো হয়েছে। পাশাপাশি, হোম অ্যাপলায়েন্স, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, অটোমোবাইল, তথ্যপ্রযুক্তির মতো নতুন শিল্পে কর অবকাশ সুবিধা দেয়া হয়েছে। ওয়ান পারসন কোম্পানির ক্ষেত্রে করপোরেট কর হার ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশেষত আয়কর ও ভ্যাট হার হ্রাস, গ্রস রিসিট, গবেষণা এবং আমদানি কাঁচামালের উপর অগ্রিম কর হ্রাস করা, স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় বৃদ্ধি ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির সুপারিশ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেছে সরকার।

তিনি বলেন, এসব উদ্যোগ বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক হবে। তবে করপোরেট কর হার পর্যায়ক্রমে আরও হ্রাস করা প্রয়োজন, যাতে করোনা পরবর্তী সময়ে ব্যবসায়ীরা টিকে থাকতে পারে।

পর্যায়ক্রমে এই কর হার আরও কমানোর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন,এতে ক্ষুদ্র ও ছোট বিনিয়োগকারীরা উৎসাহিত হবে।

প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ঘোষিত সরকারি সহায়তা সহজ উপায়ে ব্যবসায়ীদের প্রদান করা গেলেও বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় ঘোষিত বাজেট সহায়ক হবে মন্তব্য করেন ডিসিসিআই সভাপতি।

রিজওয়ান রাহমান দাবি করেন, বর্তমান বাজেটে রাজস্ব ঘাটতি ও অর্থায়ন একটি চ্যালেঞ্জ। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৭ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপির এই উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে করোনা সংক্রমণ রোধ করা এবং সবার জন্য করোনা টিকা নিশ্চিত করা জরুরি।

ডিসিসিআই সভাপতি দাবি করেন, সিএমএসএমই খাতে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রথম প্রণোদনা প্যাকেজের মতো আরও বড় আকারের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা উচিত। একইসাথে এসব ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার কাছে ঋণ পৌঁছানোর জন্য বাধা দূর করাও জরুরি। এ লক্ষ্যে একটি সিএমএসএমই ন্যাশনাল ডাটাবেজ প্রণয়ন ও সিএমএসএমই-এর পুনঃসংজ্ঞায়ন করারও প্রস্তাব রাখেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর