ব্যবসার খরচ কমাতে সুসংবাদ আছে ২০২১-২২ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে। ‘আগাম কর’ কমানোর পাশাপাশি ভ্যাট ফাঁকির অপরাধে জরিমানা শিথিলের প্রস্তাব রেখেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে যেকোনো পণ্য আমদানিতে অন্যান্য শুল্ক করের সঙ্গে ‘বাড়তি’ হিসেবে ৪ শতাংশ আগাম কর কেটে নেয়া হয়। প্রস্তাবিত বাজেটে আগাম করের হার ৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ আগাম কর কমল ১ শতাংশ।
তবে শর্ত রাখা হয়েছে, যারা দেশীয় শিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামাল আমদানি করবে শুধু, তারাই ৩ শতাংশ হারে আগাম কর দেবেন।
অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেন, ‘আগাম কর ১ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব কার্যকর হলে বাংলাদেশের শিল্প উদ্যোক্তাদের ব্যবসার খরচ কমবে।’
তবে ব্যবসায়ীরা বলেছেন, এতে খুব একটা লাভ হবে না। কারণ, আগাম কর কমলেও ফেরত পাওয়া নিয়ে জটিলতা থাকে। যতদিন পর্যন্ত আগাম কর ফেরত প্রক্রিয়া সহজ না করা হবে, ততদিন ব্যবসার খরচ কমবে না।
ভ্যাট ফাঁকির জরিমানা কমল
ব্যবসায়ীদের পরিত্রাণ দিতে ভ্যাট ফাঁকির জরিমানা কমানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
বর্তমানে যে পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকি দেয়া হয়, জরিমানা হিসেবে তার দ্বিগুণ আদায় করা হয়। প্রস্তাবিত বাজেটে ভ্যাট ফাঁকি দিলে জরিমানা দ্বিগুণের পরিবর্তে সমপরিমাণ করার কথা বলা হয়েছে।
আগে ভ্যাট বিলম্বে পরিশোধ করলে অতিরিক্ত হিসেবে দুই শতাংশ সরল সুদ আদায় করা হতো। প্রস্তাবিত বাজেটে তা কমিয়ে ১ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আইনে শাস্তি ও জরিমানার বিধান অতিরিক্ত কঠোর করা হলে অনেক ক্ষেত্রেই প্রয়োগে জটিলতা তৈরি হয়। এতে করে স্বাভাবিক ব্যবসায়ীক কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হয়। প্রস্তাবিত বাজেটের পদক্ষেপ কার্যকর হলে ব্যবসায়ীরা হয়রানিমুক্ত হবেন এবং নির্বিঘ্নে ব্যবসা করতে পারবেন।’