প্রস্তাবিত বাজেটে কম দামি সিগারেট, বিড়ি এবং জর্দা-গুলের দাম ও শুল্ক অপরিবর্তিত রাখায় নিম্ন আয়ের মানুষ ও নারীর স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ার আশংকা করছে তামাকবিরোধী সংগঠন প্রগতির জন্য জ্ঞান (প্রজ্ঞা) ও আত্মা।
প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় এ দুটি সংগঠন বলছে, এই বাজেট পাস হলে লাভবান হবে তামাক কোম্পানি, সরকার হারাবে বাড়তি রাজস্ব আয়ের সুযোগ।
প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, ‘তামাকবিরোধী সংগঠনগুলোর কর ও দাম প্রস্তাবের কোনো প্রতিফলন নেই প্রস্তাবিত বাজেট। তামাক কোম্পানিকে সুবিধা দিয়ে এই বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। এই প্রস্তাব পাস হলে আরেক দফা সস্তা হবে তামাকপণ্য, বাড়বে তামাকজনিত মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতি।’
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশীয়ভাবে উৎপাদিত সিগারেট, বিড়ি, জর্দ্দা, গুলের শুল্ক কর অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করেন। ফলে এসব পণ্যের দাম অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
প্রজ্ঞা ও আত্মা বলছে, প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেট বাজারের প্রায় ৭২ শতাংশ দখলে থাকা নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম অপরিবর্তিত রাখায় প্রস্তাবিত বাজেট কার্যকর হলে সিগারেটের প্রকৃত মূল্য কমবে এবং তরুণ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠী ধূমপানে উৎসাহিত হবে। একইসঙ্গে বিড়ি এবং বহুল ব্যবহৃত জর্দা-গুলের দাম ও শুল্ক অপরিবর্তিত রাখায় নিম্ন আয়ের মানুষ বিশেষত নারীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়বে।
সংগঠন দুটি বলছে, ‘উচ্চ এবং প্রিমিয়াম স্তরে শলাকাপ্রতি সিগারেটের দাম বাড়বে যথাক্রমে ৫০ পয়সা ও ৭০ পয়সা, যা মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির তুলনায় অতি নগণ্য। অন্যদিকে, ক্রটিপূর্ণ করকাঠামোর কারণে এই দামবৃদ্ধির একটা অংশ তামাককোম্পানির পকেটে চলে যাবে। তামাক কোম্পানিগুলোর আয় বাড়বে এবং তারা মৃত্যুবিপণনে আরো উৎসাহিত হবে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
‘জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বিড়ি এবং ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য জর্দা, গুলের কর ও মূল্য প্রস্তাবিত বাজেটে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে, যা অত্যন্ত হতাশাজনক। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি বিবেচনায় নিলে এসব তামাকপণ্য আরো সস্তা হয়ে পড়বে’।