বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বরাদ্দ বাড়ল বেসামরিক বিমান ও পর্যটন খাতে

  •    
  • ৩ জুন, ২০২১ ১৯:৫২

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে সরকার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।

নতুন অর্থবছরে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন খাতে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। নতুন অর্থবছরে তিনি এ খাতের জন্য ৪ হাজার ৩২ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ প্রস্তাব করেছেন। এটি মোট প্রস্তাবিত বাজেটের শূন্য দশমিক ৬৬ শতাংশ।

২০২০-২১ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন খাতে বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ৯৮৪ টাকা।

এটি বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি। আর মূল বাজেটের চেয়ে ৬ দশমিক ২৮ শতাংশ বেশি।

বাজেট বক্তৃতায় পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আলোকে পর্যটন শিল্পকে একটি উন্নত, টেকসই ও সমৃদ্ধ খাত হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পর্যটন খাত করোনা ভাইরাস মহামারির নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পর্যটন কার্যক্রম চালু রাখার জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর প্রণয়ন করেছে।

‘অধিকন্তু বাংলাদেশের প্রাকৃতিক, ঐতিহাসিক, সংস্কৃতিক, ধর্মীয়, তীর্থস্থান সমুহের অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বমানের বিমান পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সরকার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রকল্প হচ্ছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দ্বিতীয় পর্যায়ের উন্নয়ন প্রকল্প ও কমিউনিকেশন, নেভিগেটর অ্যান্ড সার্ভেইলেন্স এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম রাডার স্থাপন।

‘এছাড়াও সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উন্নয়ন, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উন্নয়ন ও কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ, যশোর বিমানবন্দর উন্নয়ন, পিপিপির আওতায় খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণ এবং সৈয়দপুর, যশোর ও রাজশাহী বিমানবন্দর রানওয়ে ১০ হাজার ফুট উন্নীতকরণ প্রকল্প।’

গত বছরের মার্চ থেকে দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হলে সবচেয়ে বেশি যে খাতটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেটি হলো বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন খাত। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গত বছরের মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত বন্ধ ছিল সব পর্যটন কেন্দ্র। এ সময় অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সব ফ্লাইটও বন্ধ ছিল।

জুলাইয়ের পর ধীরে ধীরে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচল শুরু হলেও অক্টোবরের আগে যাত্রী ছিল নিতান্তই কম। এ সময় অভ্যন্তরীণ পর্যটন কেন্দ্রগুলোও ছিলো অনেকটাই পর্যটক শূন্য। পরে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়। এ বছরের মার্চে এসে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় আবারও ক্ষতির মুখে পড়ে এ খাত।

অর্থমন্ত্রী বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন খাতের উন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ নেয়ার কথা বললেও তার বক্তৃতায় এর থেকে উত্তরণের বিষয়ে কোনো দিক নির্দেশনা আসেনি।

বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটস এসোসিয়েশনের (টোয়াব) প্রেসিডেন্ট মো. রাফেউজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রতিবছর আমরা দেখি বাজেটে যে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন খাতে যে বরাদ্দ রাখা হয় তার সিংহভাগই ব্যয় হয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তপক্ষের নানা প্রকল্পে। অল্প কিছু পায় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন।

‘সরকার যদি আসলেই পর্যটন খাতকে এগিয়ে নিতে চায়, এতে বরাদ্দ বেশি দিতে হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন উদ্যোগে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সম্পৃক্ত করতে হবে। বেসরকারি উদ্যোক্তাদের কাছে না টানতে পারলে এ খাতের উন্নয়ন সম্ভব নয়।’

এ বিভাগের আরো খবর