নতুন অর্থবছরে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে চলতি অর্থবছরের চেয়ে প্রায় আট হাজার কোটি টাকা বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী।
পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ২০২১-২০২১ অর্থবছরে মোট ৬৯ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি, যা বর্তমান ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ছিল ৬১ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা।’
মন্ত্রী বলেন, ‘একটি আধুনিক ও টেকসই মহাসড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। একই সঙ্গে সড়ক নিরাপত্তা বৃদ্ধি, ঢাকা মহানগরীতে যানজট নিরসনে দ্রুতগতির গণপরিবহন ব্যবস্থা (এমআরটি ও বিআরটি) প্রবর্তনসহ মোটরযান ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নে পরিকল্পনা গ্রহণসহ বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান আছে।
‘বিগত ১২ বছরে সরকার সড়কপথের উন্নয়নে ৩৩১ট প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে এবং ৪৫২টি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করেছে।’
মেগা প্রকল্পের উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্মাণ, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালি পর্যন্ত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত মোট ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ বাস র্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি লেনের নির্মাণ, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ৩.৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের কাজ চলছে।
তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আশুলিয়া হয়ে সাভার ইপিজেড পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ হবে।
‘এছাড়া, ভুলতা-আড়াইহাজার-বাঞ্ছারামপুর সড়কে মেঘনা নদীর উপর সেতু নির্মাণ, বরিশাল-ভোলা সড়কে কালাবদর ও তেতুলিয়া সেতু নির্মাণ, মিঠামইন সেনানিবাস হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার মরিচখালী পর্যন্ত একটি দোতলা সড়ক নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন এবং নতুন সেতু ও ইনার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা, যমুনা নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনাসহ ঢাকা শহরে সাবওয়ে নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চলমান রয়েছে।’