কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মীর মাসিক বেতন ১৫ হাজার টাকার বেশি হলে তা ব্যাংক বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দেয়া বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।
এ ছাড়া ব্যাংক বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে মাসিক বাসাভাড়া দেয়া বাধ্যতামূলক করছে সরকার।
পাশাপাশি অন্য যেকোনো ধরনের ব্যয় ৫০ হাজার টাকার বেশি হলে, সেটাও এর আওতায় আসছে।
সরবরাহ ও ঠিকাদারির বিল ব্যাংকিং বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে না করলে উৎসে করের অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হবে ।
আগামী ২০২১-২২ অর্থবছর থেকে এ নিয়ম চালু হতে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তব্যে এ প্রস্তাব করেন।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, এনবিআর এর আগেও এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে।
অনেক বাড়ির মালিক ঠিকভাবে ট্যাক্স পরিশোধ করেন না। অনেক প্রতিষ্ঠান কর্মীদের বেতনের সঠিক তথ্য প্রকাশ করে না। এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে সুশাসন নিশ্চিত হবে।
বর্তমানে তৈরি পোশাক খাতসহ বিভিন্ন খাতের মাঠপর্যায়ের কর্মীদের বেতন-ভাতা মোবাইল ফোনের আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর (এমএফএস) মাধ্যমে দেয়া হয়।
শুধু মার্চ মাসেই সারা দেশে বিকাশ, নগদ, রকেটসহ বিভিন্ন এমএফএসের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার বেতন-ভাতা দেয়া হয়েছে।
কিন্তু আয়কর অধ্যাদেশে এর কোনো স্বীকৃতি নেই।
আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী, ১৫ হাজার টাকার বেশি বেতন-ভাতা দিতে হলে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দিতে হবে। তা না হলে প্রতিষ্ঠান তা বেতন-ভাতার খরচ হিসেবে দেখাতে পারবে না।
বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ১৬ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতনধারী কর্মীদের ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বরের (টিআইএন) জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। এ ছাড়া তাদের আয়কর দেয়ার নিয়ম রয়েছে।
অপরদিকে বর্তমানে ২৫ হাজার টাকা বাসাভাড়া ব্যাংকের মাধ্যমে দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে।