বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভবন নির্মাণে খরচ কমবে

  •    
  • ৩ জুন, ২০২১ ১৮:৫৭

বিএসআরএমের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন সেনগুপ্ত বলেন, অবকাঠামো উন্নয়নে রডের বিকল্প নেই। দেশে বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এসব প্রকল্পের বেশির ভাগ খরচ কিন্তু রডে যাচ্ছে। আগাম কর অব্যাহতি দেয়ায় মেগা প্রকল্পের খরচ কমবে।

২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আগাম কর থেকে অব্যাহতির তালিকায় আছে রড ও সিমেন্ট। ব্যবসায়ী ও খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতে অবকাঠামো নির্মাণে খরচ কমবে, কমে আসবে সরকারের মেগা প্রজেক্টগুলোর ব্যয়।

বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইকলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসবিআরএ) তথ্য অনুযায়ী, দেশে ইস্পাতের চাহিদার প্রায় ৮৫ শতাংশের জোগান দেয়া হয় জাহাজ ভাঙা শিল্প থেকে।

ইস্পাত শিল্পের কাঁচামাল ওয়েস্টেজ ও স্ক্র্যাপ, ফেরো অ্যালয়, স্পঞ্জ আয়রন।

স্টিল মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী সদস্য ও দেশের শীর্ষস্থানীয় রড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন ইস্পাতের পরিচালক মো. সরোয়ার আলম নিউজবাংলাকে বলেন, আগাম কর অব্যাহতি দেয়া হলে টনপ্রতি রডের দাম এক হাজার টাকার বেশি কমবে। এতে ভোক্তারা লাভবান হবেন।

দেশের শীর্ষস্থানীয় আরেক রড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএমের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন সেনগুপ্ত বলেন, অবকাঠামো উন্নয়নে রডের বিকল্প নেই। দেশে বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এসব প্রকল্পের বেশির ভাগ খরচ কিন্তু রডে যাচ্ছে। আগাম কর অব্যাহতি দেয়ায় মেগা প্রকল্পের খরচ কমবে।

অবকাঠামো উন্নয়নের এই বাজেট ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে জানিয়ে বাংলাদেশ স্টিল মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য মো. সরোয়ার আলম বলেন, দেশ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বছর বছর এলাকার চেহারা বদলাচ্ছে। মানুষ অবকাঠামো উন্নয়নে ঝুঁকে গেছে। রডের দাম কমলে অবকাঠামো উন্নয়নের গতি আসবে। এতে করে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাবে।

এর আগে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ইস্পাত খাতের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে এনবিআরে দেয়া চিঠিতেও ইস্পাত খাতের সব আমদানি পণ্যের ওপর আরোপিত ৫ শতাংশ অগ্রিম কর অব্যাহতি চাওয়া হয়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত সেক্টরের মধ্যে অন্যতম হবে ইস্পাত খাত। স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতেও শিল্পটির দীর্ঘ সময় প্রয়োজন। ২০২০ সালের মার্চ ও এপ্রিলেই ইস্পাত খাতে সম্ভাব্য লোকসানের পরিমাণ প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা।

‘এ পরিস্থিতি চলমান থাকলে বছর শেষে খাতটিতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। করোনা-উত্তর সময়ের ইস্পাত খাতের উদ্যোক্তাদের আর্থিক দুরবস্থা প্রশমনে অগ্রিম কর প্রত্যাহার করতে হবে।’

সরোয়ার আলম বলেন, ‘আমরা অগ্রিম কর অব্যাহতির জন্য এনবিআরকে চিঠি দিয়েছিলাম। এনবিআর বিষয়টি বিবেচনা করছে। সরকার ইস্পাত খাতের সমস্যা বুঝতে পেরেছে। তাই অগ্রিম কর অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে এই খাত চাঙা হবে।’

জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট (প্রস্তাবিত) উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।

এ বিভাগের আরো খবর