বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাজেট: পুঁজিবাজারে বাড়তে পারে লভ্যাংশ

  •    
  • ৩ জুন, ২০২১ ১৮:৫৬

চলতি অর্থবছরে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট কর ২৫ শতাংশ। আগামী অর্থবছরে এটি ২২ দশমিক ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর যেগুলো তালিকাভুক্ত নয়, সেগুলো বর্তমানে ৩২ দশমিক ৫ হারে কর দেয়। আগামী অর্থবছরে তারা কর দেবে ৩০ শতাংশ হারে।

আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজার নিয়ে সরাসরি কিছু বলা না হলেও করপোরেট কর কমানোর কারণে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশ দেয়ার সক্ষমতা বাড়তে পারে। কারণ, তাদের আগের চেয়ে আড়াই শতাংশ হারে কম কর দিতে হবে। এর ফলে কর-পরবর্তী মুনাফা বাড়বে।

তবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও মার্চেন্ট ব্যাংক এই সুবিধা পাবে না। কারণ, তাদের করের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে কর দিতে হয় ৪০ শতাংশ করে।

২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘সরকার পুঁজিবাজার গতিশীল ও উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে নানাবিধ সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। স্টক এক্সচেঞ্জকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার উদ্দেশ্যে ও যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আরও কিছু পদক্ষেপ শিগগিরই বাস্তবায়ন করা হবে।’

এ সময় তিনি করপোরেট কর চলতি অর্থবছরের তুলনায় আড়াই শতাংশ কমানোর কথা বলেন। অবশ্য তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত- দুই ধরনের কোম্পানিই এই সুবিধা পাবে।

চলতি অর্থবছরে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট কর ২৫ শতাংশ। আগামী অর্থবছরে এটি ২২ দশমিক ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হেয়ছে। আর যেগুলো তালিকাভুক্ত নয়, সেগুলো বর্তমানে ৩২ দশমিক ৫ হারে কর দেয়। আগামী অর্থবছরে তারা কর দেবে ৩০ শতাংশ হারে।

বিএসইসির পক্ষ থেকে বাজেটে করপোরেট কর ২০ থেকে সাড়ে ২২ শতাংশের মধ্যে রাখার প্রস্তাব করা হয়। সেই সঙ্গে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে করের ব্যবধান ৫ শতাংশের বেশি রাখার সুপারিশ করা হয়।

অর্থমন্ত্রী শেষ পর্যন্ত তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করের ব্যবধান সাড়ে ৭ শতাংশ রাখলেন।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক রকিবুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী যে বাজেট প্রস্তাব করেছেন তাতে পুঁজিবাজারের জন্য ভালো হবে। করপোরেট কর কমানো হয়েছে, এতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো আগের চেয়ে বেশি লভ্যাংশ দিতে পারবে।’

মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুর রহমান মনে করেন, তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে করপোরেট করের পার্থক্য ১০ শতাংশ থাকা উচিত। তাতে কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী হতো।

বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী জানান, মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর মধ্যে যারা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে পরিশোধিত মূলধনের ২০ শতাংশ আইপিও মাধ্যমে তালিকাভুক্ত হবে, তাদের আয়করে ১০ শতাংশ রেয়াত দেয়া হবে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন মোবাইল ফোন কোম্পানির জন্যও করহার কমনো হয়েছে ৫ শতাংশ করে।

খুশি নয় মার্চেন্ট ব্যাংক

অর্থমন্ত্রী করপোরেট কর কমালেও ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান আর মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর জন্য কোনো সুখবর রাখেননি। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগের মতোই ৪০ শতাংশ হারে আর মার্চেন্ট ব্যাংককে ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।

মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনার কারণে পুঁজিবাজারের লেনদেন বন্ধ ছিল গত বছর। তখন মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে লোকসান দিতে হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর গতি ফেরাতে করহার কমানো উচিত। বাজেট পাসের সময় সরকার যেন এটা বিবেচনা করে।’

কালোটাকা নিয়ে কিছু বলা নেই

একই সঙ্গে বিগত কয়েক বছর ধরে আলোচনায় থাকা কালোটাকা বা অপ্রদর্শিত অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বিষয়েও কোনো কিছু বলা হয়নি। অবশ্য এই সুবিধা নিয়ে পুঁজিবাজারে এর আগে খুব বেশি বিনিয়োগ হয়েছে এমন নয়।

ডিএসইর পরিচালক রকিবুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘বাজেট এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এটি নিয়ে আলোচনার সুযোগ আছে।’

এ বিভাগের আরো খবর